Bangladesh
বাংলাদেশ সরকারকে দ্বিপক্ষীয়ভাবে রোহিঙ্গা সমস্যা সমাধান করতে আহ্বান করল চীন
এশিয়া বিষয়ক বেইজিংয়ের বিশেষ দূত সান গোয়াজিয়াং বুধবার ঢাকায় পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে সচিব মো. শহিদুল হকের সাথে সাক্ষাৎ করেন।
এইবইথকের সময় উনি এই মন্তব্য করেছেন ও চিন দেশের এই বিষয় নিজেদের অবস্থান পরিষ্কার করে দিয়েছেন।
বৈঠকের পর শহীদুল হক সাংবাদিকদের জানানঃ "চীনও উদ্বিগ্ন। তারা মনে করে, এটা এই অঞ্চলের জন্য ভালো নয়। তারা বিষয়টির শান্তিপূর্ণ সমাধান চায়। তারা দ্বিপক্ষীয়ভাবে এর সমাধান চায়।"
বাংলাদেশের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খাঁন কামাল বুধবার বলেছেন যে মিয়ানমার রোহিঙ্গা মানুষদের ফিরিয়ে নেবে এই আশ্বাস পেলেও এখন শুধু দের ‘সদিচ্ছার’ অপেক্ষায় আছেন উনি।
রোহিঙ্গার সঙ্কটের মধ্যেই সোমবার মিয়ানমার ম্বারগেছিলেন মন্ত্রী।
নে পি দোতে দেশটির স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে আলোচনার পাশাপাশি মিয়ানমারের নেত্রী অং সান সু চির সাথে বৈঠকে করেন বাংলাদেশের মন্ত্রী।
আজ বাংলাদেশে ফিরে, মন্ত্রী বিমানবন্দরে সাংবাদিকদের বলেনঃ "সফরে আমরা আমাদের দাবি উপস্থাপন করেছি। আশা করছি, সব কিছু হবে।"
“দেখা যাক, আমরা অপেক্ষা করছি তাদের সদিচ্ছার উপর," উনি বলেন।
মিয়ানমার বাংলাদেশ থেকে রোহিঙ্গাদের ফিরিয়ে নেওয়ার কাজ শুরু করেছে।
এই মন্তব্যটি করেছেন দেশটির স্টেট কাউন্সিলর অং সান সু চি।
উনি এই মন্তব্যটি করেছেন বাংলাদেশের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামালের সঙ্গে বৈঠকের সময়, সংবাদ মাধ্যম সুত্রে জানা গেছে।
মন্ত্রীর সফরসঙ্গী স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জনসংযোগ কর্মকর্তা শরীফ মাহমুদ অপু সংবাদ মাধ্যমকে জানিয়েছেন যে কামাল আজকের বৈঠকের সময় মিয়ামারের নেত্রীকে বলেন যে রোহিঙ্গারা সেই দেশ থেকে না ফিরে এলে জঙ্গিবাদী কর্মকাণ্ডে সম্পৃক্ত হতে পারেন।
উনি আরও বলেন মিয়ানমারের নেত্রীকে যে এই ঘটনা ঘটলে দুই দেশের মানুষের জন্য ভালো হবে না।
সু চি আজকের এই বৈঠকের সময় বলেছেন যে মিয়ানমার থেকে ইয়াবার চোরাচালান বন্ধ করবার পদক্ষেপ নেবেন উনি।
অগাস্টে মিয়ানমারের রাখাইনে সহিংসতা শুরুর পর থেকে বাংলাদেশের মাটিতে পালিয়ে আশ্রয় নিয়েছেন পাঁচ লক্ষ্যের বেশি রোহিঙ্গা মানুষ।
বহুবার মিয়ামারকে এই মানুষদের ফিরিয়ে নেওয়ার জন্য আহ্বান করেছেন বাংলাদেশ সরকার।
তবে এখনও পর্যন্ত ফল হয়নি।
Image: Internet Search Grab