Bangladesh
নেত্রী শেখ হাসিনা আজ বিশ্বের সবচেয়ে প্রভাবশালী ১০০ জনের তালিকায়, গর্বের মুহূর্ত বাংলাদেশের জন্য
আজ উনি পৃথিবীর গুরুত্বপূর্ণ নেতাদের কাছে এক শক্তিশালী ও প্রভাবশালী নেত্রী।
আর তার ফল দেখা গেল টাইম ম্যাগাজিনের প্রকাশিত এক তালিকায়।
যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক বিশ্বখ্যাত 'টাইম ম্যাগাজিন'-এর করা বিশ্বের সবচেয়ে প্রভাবশালী ১০০ জনের তালিকায় স্থান করে নিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
বৃহস্পতিবার প্রকাশিত এই তালিকায় মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প, ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাক্রোঁ, জাপানের প্রধানমন্ত্রী শিনজো অ্যাবে, উত্তর কোরিয়ার প্রেসিডেন্ট কিম জং উন-এর নামও রয়েছে। বলিউড অভিনেত্রী দিপীকা পাড়ুকোনের নামও রয়েছে তালিকায়।
আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যমে শেখ হাসিনার নাম অবশ্য নতুন নয়।
ইতোপূর্বে যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক সংবাদমাধ্যম সিএনএন, কাতারভিত্তিক আল জাজিরা, যুক্তরাজ্যভিত্তিক বিবিসি ওয়ার্ল্ডে গুরুত্ব সহকারে তার সাক্ষাৎকার প্রচারিত হয়েছে।
বিভিন্ন সময়ে জাতিসংঘের পরিবেশবিষয়ক সর্বোচ্চ পুরস্কার ‘চ্যাম্পিয়ন অব দ্য আর্থ’, জাতিসংঘ ‘আইসিটি টেকসই উন্নয়ন পুরস্কার’, ডব্লিউআইপি (ওম্যান ইন পার্লামেন্ট) গ্লোবাল অ্যাওয়ার্ড-এর মতো নানা পুরস্কার ও সম্মাননায় ভূষিত হয়েছেন শেখ হাসিনা।
শুধু কি একটি ম্যাগাজিনের স্বীকৃতি, আজ ওনার কীর্তি প্রশংসা অর্জন করেছে বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ নেতাদের কাছেও।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সরকারের কর্মের উচ্ছ্বসিত প্রশংসা করেছেন কানাডার প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডো।
এই প্রশংসা মুলত শেখ হাসিনা সরকারের রোহিঙ্গা সমস্যা সমাধানে পদক্ষেপগুলি পেয়েছে।
২৫তম কমনওয়েলথভুক্ত দেশের সরকারপ্রধানদের বৈঠকের প্রথম নির্বাহী অধিবেশনে বক্তব্যে কানাডার নেতা হাসিনার প্রশংসা করেন।
উনি বলেনঃ "রোহিঙ্গা শরণার্থী সামাল দেওয়ার ক্ষেত্রে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দক্ষ নেতৃত্বের পরিচয় দিয়েছেন। কমনওয়েলথ নেতাদের অবশ্যই তাঁকে সমর্থন দিতে হবে।"
বিশ্বের বহু নেতাদের মত হাসিনা ও ট্রুডো এই গুরুত্বপূর্ণ বৈঠকে যোগ দিতে লন্ডনে আছেন।
মিয়ানমারের উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলীয় রাখাইন রাজ্যে সামরিক অভিযানের পর ১১ লাখের বেশি জোরপূর্বক বাস্তুচ্যুত রোহিঙ্গা মানুষ সেই দেশ থেকে পালিয়ে এসে বাংলাদেশে স্থান নিয়েছেন।
মানবিকতার কথা মাথায় রেখেই হাসিনা সরকার এই মানুষদের বাংলাদেশে স্থান দিয়েছেন।
বাংলাদেশ সরকার বহুবার এই মানুষদের মিয়ানমারে ফিরিয়ে নেওয়ার জন্য সেই দেশের সরকারকে অনুরোধ করেছেন।
তবে, এখনও পর্যন্ত ফল খুব পরিষ্কার নয়।
আগেও অনেকেই ওনাকে প্রশংসা করেছেন তবে এই বারে যিনি করলেন উনি একটু আলাদা সকলের থেকে।
কারণ উনি হলেন মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প।
ট্র্যাম্প বাংলাদেশের মানুষদের স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষে শুভেচ্ছা জানিয়েছেন।
আর টার পাশাপাশি, উনি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার প্রশংসাও করেছেন।
কি বিষয় প্রশংসাঃ
রোহিঙ্গা প্রসঙ্গে যেভাবে শেখ হাসিনা ও ওনার সরকার লড়েছেন তা ট্রাম্পের কাছেও গুরুত্ব পেয়েছে।
নিজের বার্তায় প্রশংসা করেছেন উনি শেখ হাসিনা সরকারের রোহিঙ্গা নীতিকে।
মিয়ানমারে নিপীড়নের মুখে বাংলাদেশে পালিয়ে আসা রোহিঙ্গাদের দুর্দশা লাঘবে ভূমিকার জন্য প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বের প্রশংসা করেছেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প।
বাংলাদেশের স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষে প্রধানমন্ত্রীকে পাঠানো এক শুভেচ্ছা বার্তায় রোহিঙ্গাদের আশ্রয় দেওয়ায় তাঁকে ধন্যবাদ জানান তিনি।
ট্রাম্প বলেন, ‘নিরাপত্তার জন্য আপনার দেশে পালিয়ে আসা রোহিঙ্গাদের দুর্দশা লাঘবে করণীয় নিয়ে আপনার নেতৃত্ব খুবই গুরুত্বপূর্ণ।
এই সব নারী, পুরুষ ও শিশুদের সহায়তায় আপনি যা যা করেছেন তার সব কিছুর জন্য আমি আপনাকে ধন্যবাদ জানাচ্ছি’।
গত ২৪ মার্চ মিয়ানমারের রাখাইনে সেনাবাহিনীর দমন অভিযান শুরুর পর সেখান থেকে পালিয়ে আসা সাত লাখের বেশি রোহিঙ্গা বাংলাদেশে আশ্রয় নিয়েছে।
এনাদের ছাড়াও বহু দেশের নেতা হাসিনা ও ওনার সরকারকে রোহিঙ্গা প্রসঙ্গে প্রশংসা করেছেন।