Bangladesh

রোহিঙ্গাঃ কানাডার সিনেটে বাংলাদেশের প্রশংসা

রোহিঙ্গাঃ কানাডার সিনেটে বাংলাদেশের প্রশংসা

| | 07 Oct 2017, 05:42 am
ঢাকা, অক্টোবর ৭ঃ একটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপে, কানাডার পার্লামেন্টের উচ্চকক্ষ সিনেটে শুনানি অনুষ্ঠিত হয়েছে মিয়ানমারে রোহিঙ্গাদের নির্যাতন, মানবাধিকার লঙ্ঘন ও এই বিষয় বাংলাদেশের ভূমিকা নিয়ে।

অটোয়ার পার্লামেন্ট হিলের সিনেটে মানবাধিকার বিষয়ক এ কমিটির শুনানী অনুষ্ঠিত হয়েছে  সেই দেশের স্থানীয় সময় বুধবারে।

এই কমিটির সভাপতি ছিলেন সিনেটর জিম মানসন।

এই গুরুত্বপূর্ণ শুনানীতে বিতাড়িত রোহিঙ্গাদের সাময়িক আশ্রয় ও মানবিক সহায়তা দেওয়ায় বাংলাদেশের ভূমিকাকে প্রশংসা করা হয়েছে।

কানাডায় নিযুক্ত বাংলাদেশের হাই কমিশনার মিজানুর রহমান এই সময় নিজের বক্তব্য দিয়েছেন।

শুনানীতে উনি উপস্থিত ছিলেন সিনেট মানবাধিকার কমিটির বিশেষ আমন্ত্রণে।

রোহিঙ্গাদের সমস্যা ও বাংলাদেশের অবস্থানের কথা উনি এই সময় তুলে ধরেন।

কিছুদিন আগে, রোহিঙ্গা প্রসঙ্গে বাংলাদেশ ও মিয়ানমারের মধ্যে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।

দুই দেশ এই বিষয় একটি ‘জয়েন্ট ওয়ার্কিং গ্রুপ’ গঠনের সিদ্ধান্ত নিয়েছে।


মিয়ানমারের প্রতিনিধি দল এই মুহূর্তে ঢাকায় সফররত আছেন।

 

এই দলের সাথে বাংলাদেশ সরকারের বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়েছে।

 

রোহিঙ্গা সংকট নিয়ে আন্তর্জাতিক চাপের মধ্যেই এই দল বাংলাদেশ সফর করছেন।

 

এই বৈঠকে মিয়ানমার প্রতিনিধি দলের নেতৃত্ব দেন দেশটির স্টেট কাউন্সিলর অং সান সু চির দপ্তরের মন্ত্রী কিয়া তিন্ত সোয়ে।

 

পররাষ্ট্রমন্ত্রী এএইচ মাহমুদ আলী, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খাঁন কামাল, পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলম, প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব কামাল আবদুল নাসের চৌধুরী ও পররাষ্ট্র সচিব শহিদুল হক বাংলাদেশের তরফ থেকে এই বৈঠকে অংশ নেন।

 

পররাষ্ট্রমন্ত্রী মাহমুদ আলী বৈঠকের বিষয় সাংবাদিকদের বলেনঃ 'অত্যন্ত সৌহার্দ্যপূর্ণ পরিবেশে' আলোচনা অনুষ্ঠিত হয়েছে।

 

উনি বলএন রোহিঙ্গা শরণার্থীদের ফিরিয়ে নেওয়ার কথাও বলে মিয়ানমার।

 

মন্ত্রী  বলেনঃ “আমরা উভয়ে সম্মত হয়েছি।এই জয়েন্ট ওয়ার্কিং গ্রুপের কম্পোজিশন কী হবে- সেটা আমরা বাংলাদেশও ঠিক করব, ওরাও ঠিক করবে। সম্মতিটা হয়েছে এই আলোচনায়।”

 

পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন যে দুই দেশ শান্তিপূর্ণভাবে এই সমস্যার সমাধান করতে চায়।

 

রোহিঙ্গাদের ফিরিয়ে নেওয়ার প্রসঙ্গ তোলা হলে, মন্ত্রী বলেনঃ"একটা সভা দিয়েতো সব সমাধান হবে না। জয়েন্ট ওয়ার্কিং গ্রুপটা তৈরি করতে হবে। আমরা আমাদের পক্ষ থেকে দেব, ওরা ওদের পক্ষ থেকে দেবে। এটা খুব তাড়াতাড়ি করেছি।”

 

উনি বলেন যে খুব শিগগিরই জয়েন্ট ওয়ার্কিং গ্রুপ  গঠন করা হবে।

 

গত ২৫ অগাস্ট থেকে এ পর্যন্ত প্রায় ৪ লাখ রোহিঙ্গা মানুষ এই দেশে আশ্রয় নিয়েছেন।

 

তারা মিয়ানমারে সহিংসতার মুখে পরে এই দেশে পালিয়ে এসেছেন।