Bangladesh
ইসলাম ধর্মকে ছোট করছে যে জঙ্গিরা তাদের বিরুদ্ধে লড়াইয়ের ডাক দিয়েছেন হাসিনা
এই মানুষটি হলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
বাংলাদেশ ও পৃথিবীর বুকে জঙ্গিবাদের হানা পড়েছে।
বিশ্বের নানান প্রান্তে চলছে জঙ্গিদের তাণ্ডবলীলা।
গত মাসে বাংলাদেশের বুকেও গুলশান হামলা আছড়ে পরেছিল।
২০ জন মানুষের হত্যায় রাঙ্গা গুলশানের রেস্তোরাঁ হামলার ঘটনার দায় স্বিকার করে জঙ্গি দল আইসিস।
গুলশানের পরে শোলাকিয়ায় বাংলাদেশের মাটিতে অনুষ্ঠিত সবচেয়ে বড় ঈদের জমায়েতের কাছে জঙ্গি হামলায় দুই পুলিশ নিহত হন।
বিশ্ববাসী এই ঘটনাগুলির নিন্দা করেন।
আর হাসিনা ও ওনার সরকার, দেশের মাটিতে এই হামলার পরে এক প্রকার যুদ্ধ ঘোষণা করেন জঙ্গিবাদের বিরুদ্ধে।
এই পরিস্থতিতে, হাসিনা কড়া ভাষায় জানিয়েছেন যে ইসলামের নামের যারা মানুষ হত্যা করছেন তারা এই পবিত্র ধর্মকে সর্বনাশ ঘটাচ্ছে।
হত্যার মাধ্যমে জঙ্গিরা শান্ত এই ধর্মকে মানুষের কাছে প্রশ্নবিদ্ধ করছে।
হাসিনা বলেনঃ "এই ধর্মটার সব থেকে বেশি সর্বনাশ নিজেরাই করছেন।"
মানুষের খুনে দ্বারা, শান্তির এই ধর্মকে জঙ্গিরা ' ছোট করে দিচ্ছে'।
দেশের মানুষকে আশ্বাস দিয়ে হাসিনা বলেন ওনার সরকার এই সমস্ত সমস্যা মোকাবিলা করবেন।
"সমস্যা আসবে, সমাধান আমাদের করতে হবে। সমাধান করি আমরা। সমাধান আমরা করব," উনি বলেন।
উনি বলেন যে সরকার দেশের মানুষের মধ্যে জঙ্গিবাদের বিরুদ্ধে সচেতনতা বৃদ্ধি করতে পেরেছে।
তবে শুধু হাসিনা নয়, সকল মন্ত্রিরাই ওনার সাথে এই জঙ্গি সমস্যার মোকাবিলায় একজোট হয়েছেন।
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল বলেছেন যে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার হাথ ধরে দেশের এগিয়ে যাওয়ার পথটি আটকানোর জন্য বিভিন্ন হামলা হচ্ছে।
উনি আরও বলেন যে সমস্ত হামলাগুলি এক সুত্রে গাঁথা।
"১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট জাতির জনককে হত্যা করা হয়েছে। এ আগস্টেই শেখ হাসিনাকে হত্যার চেষ্টা করা হয়েছিল," মন্ত্রী বলেন।
উনি আরও বলেন যে যারা পায়ের রগ কাটত, তারাই ১৯ জন পুলিশসহ দেড়শো মানুষকে হত্যা করেছে আগুন দিয়ে পুড়িয়ে, সন্ত্রাসের মাধ্যমে।
"এরাই টার্গেট কিলিং করেছে। এরা কখনোই জেএমবি হয়েছে, কখনো হুজি, কখনো আনসারুল্লাহ নাম নিয়েছে," মন্ত্রী বলেন।
উনি বলেন দেশের মাটিতে জঙ্গি সংঘঠন আইএস এর অস্তিত্ব নেই।
১৯ থেকে ২৫ বছরের উচ্চশিক্ষিত তরুণদের মগজ ধোলাইয়ের ফলে তারাই জঙ্গি সেজে আইএস বলে নিজেদের দাবি করছেন, বলেন মন্ত্রী।
উনি বলেনঃ "মানুষজন জঙ্গিবাদের বিরুদ্ধে বলছে।"