Bangladesh

Abrar: Another suspects views recorded

Abrar: Another suspects views recorded

Bangladesh Live News | @banglalivenews | 12 Oct 2019, 08:24 am
নিজস্ব প্রতিনিধি, ঢাকা, অক্টোবর ১২ : বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) ছাত্র আবরার ফাহাদকে পিটিয়ে হত্যার ঘটনায় গ্রেফতার বুয়েট শাখা ছাত্রলীগের ক্রীড়া সম্পাদক মেফতাহুল ইসলাম জিওন স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন।

শুক্রবার তাকে ঢাকা মহানগর হাকিম আদালতে হাজির করে জবানবন্দি রেকর্ড করার আবেদন করেন মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ডিবি পুলিশের পরিদর্শক ওয়াহিদুজ্জামান। আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে ফৌজদারি কার্যবিধি ১৬৪ ধারায় তার জবানবন্দি রেকর্ড করেন ঢাকা মহানগর হাকিম সরাফুজ্জামান আনছারী। জবানবন্দি রেকর্ড শেষে তাকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন আদালত। এর আগে গণ মঙ্গলবার জিওনের পাঁচ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন ঢাকা মহানগর হাকিম সাদবীর ইয়াসির আহসান চৌধুরী। রিমান্ড চলাকালে তাকে আজ আদালতে হাজির করা হয়।


অপরদিকে আজ বুয়েট শাখা ছাত্রলীগের আইনবিষয়ক উপ-সম্পাদক অমিত সাহা ও বুয়েটের শিক্ষার্থী হোসেন মোহাম্মদ তোহার পাঁচদিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন একই আদালত। এছাড়া আবরার হত্যার ঘটনায় গ্রেফতার আরও ১১ জন রিমান্ডে রয়েছেন। তারা হলেন- বুয়েট শাখা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক মেহেদি হাসান রাসেল, সহ-সভাপতি মুহতামিম ফুয়াদ, তথ্য ও গবেষণা সম্পাদক অনিক সরকার, গ্রন্থনা ও গবেষণা সম্পাদক ইশতিয়াক মুন্না, ছাত্রলীগ কর্মী মুনতামির আল জেমি, খন্দকার তাবাখখারুল ইসলাম তানভীর, মোজাহিদুর রহমান, মেহেদী হাছান রবিন, শামসুল আরেফিন রাফাত (২১), মো. মনিরুজ্জামান মনির (২১) ও মো. আকাশ (২১)।


এরআগে বৃহস্পতিবার (১০ অক্টোবর) আসামি বুয়েট ছাত্রলীগের উপ-সমাজকল্যাণ সম্পাদক ইফতি মোশাররফ সকাল ঘটনার সত্যতা প্রকাশসহ ঘটনার বিষয়ে নিজ ইচ্ছায় আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেন। ঢাকা মহানগর হাকিম সাদবীর ইয়াসির আহসান চৌধুরী তার জবানবন্দি রেকর্ড করেন। জবানবন্দি রেকর্ড শেষে তাকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন আদালত।


জবানবন্দি দেয়ার আগে সকালকে আদালতে হাজির করে আসামিকে কোর্টে পাঠানো ও জবানবন্দি রেকর্ডের আবেদন করেন মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ডিবি পুলিশের পরিদর্শক ওয়াহিদুজ্জামান। তদন্তকারী কর্মকর্তা আবেদনে বলেন, ‘আসামি ইফতি মোশাররফ সকাল ৬ অক্টোবর আবরার ফাহাদ রাব্বীকে বুয়েট শেরেবাংলা হলের ১০১১ নম্বর রুম থেকে হত্যার উদ্দেশ্যে ডেকে নিয়ে যান। ৬ অক্টোবর দিবাগণ রাতে (৭ অক্টোবর) হলের ২০১১ নম্বর রুমের ভেতরে নিয়ে ইফতিসহ মামলার এজাহারভুক্ত ও অন্য আসামিরা পূর্বপরিকল্পিতভাবে ক্রিকেটের স্টাম্প ও লাঠিসোটা দিয়ে আবরারের শরীরের বিভিন্ন জায়গায় প্রচ- মারধর করেন। মারধরের ফলে তিনি মারা যান।’