Bangladesh

ACC files case against OC Pradeep's wife, calls for her travel ban
প্রদীপ ও চুমকি (ফাইল ছবি)।

ACC files case against OC Pradeep's wife, calls for her travel ban

Bangladesh Live News | @banglalivenews | 01 Sep 2020, 07:42 am
নিজস্ব প্রতিনিধি, ঢাকা সেপ্টেম্বর ২০২০ : অবসরপ্রাপ্ত মেজর সিনহা হত্যা মামলায় গ্রেফতার হওয়ার পর টেকনাফের দোর্দণ্ড প্রভাবশালী ওসি প্রদীপ কুমার দাশের বিরুদ্ধে বেরিয়ে আসছে একের পর এক অভিযোগ। ইয়াবা চোরকারবারিদের আটক করে বিপুল পরিমাণ ঘুষ গ্রহণ ও ক্রসফায়ারে দেওয়ার বিভিন্ন অভিযোগে তার বিরুদ্ধে দায়ের হয়েছে বেশ কিছু মামলাও। আর এরইমধ্যে তার বিপুল পরিমাণ অবৈধ সম্পদের খোঁজ পেয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। তবে নিজের নাম ঢাকতে স্ত্রী চুমকি কারণকে এসব সম্পত্তির মালিকানা দিয়ে অজান্তে তাকেও ফাঁসিয়ে দিয়েছেন ওসি প্রদীপ। স্বামীর হস্তান্তরিত প্রায় চার কোটি টাকার অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগে দুদকের দায়ের করা মামলায় এক নম্বর আসামি হয়েছেন চুমকি কারণ। ওসি প্রদীপ এ মামলায় দ্বিতীয় আসামি। এ মামলায় ওসি প্রদীপকে গ্রেফতার দেখাতে এরইমধ্যে আদালতে আবেদন করেছে দুদক। আর চুমকি কারণকে গ্রেফতারের জন্য খুঁজে বেড়াচ্ছে সংস্থাটি।

বরখাস্ত এই ওসিকে দুদকের মামলায় গ্রেফতার দেখানোর আবেদন করা হয়েছে এ তথ্য সোমবার নিশ্চিত করেন দুদকের আইনজীবী মাহমুদুল হক মাহমুদ। তিনি বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, ‘দুদকের দায়ের করা মামলায় গ্রেফতার দেখানোর জন্য গত বৃহস্পতিবার (২৭ আগস্ট) মহানগর সিনিয়র স্পেশাল দায়রা জজ শেখ আশফাকুর রহমানের আদালতে আমরা আবেদন করেছিলাম। আদালত আগামী ১৪ সেপ্টেম্বর আমাদের আবেদনের ওপর শুনানির দিন ধার্য করেছেন।’

 

এদিকে মামলার প্রধান আসামি চুমকি কারণ দেশ ছেড়ে পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করতে পারে এমন আশঙ্কাও করছে দুদক। এ কারণে তার দেশত্যাগ ঠেকানোর ব্যবস্থা নিতে সোমবার (৩১ আগস্ট) পুলিশ সদর দফতরে চিঠি পাঠিয়েছে বলে জানিয়েছেন দুদকের ওই আইনজীবী। তিনি জানান, একই মামলায় তার স্ত্রী চুমকি কারণের বিদেশযাত্রা বন্ধেও ব্যবস্থা নিতে পুলিশ সদর দফতরে চিঠি দেওয়া হয়েছে।

 

এর আগে গত ২৩ আগস্ট প্রদীপ কুমার দাশ ও তার স্ত্রী চুমকি কারণের বিরুদ্ধে দুদক সমন্বিত জেলা কার্যালয়-১ এ বাদী হয়ে মামলাটি দায়ের করেন দুদকের সহকারী পরিচালক মো. রিয়াজ উদ্দীন। দুদক আইন, ২০০৪ এর ২৬ (২) ও ২৭ (১), মানিলন্ডারিং প্রতিরোধ আইন, ২০১২ এর ৪ (২) ধারা, ১৯৪৭ সালের দুর্নীতি প্রতিরোধ আইনের ৫ (২) ধারা এবং দণ্ডবিধির ১০৯ ধারায় তাদের বিরুদ্ধে মামলাটি দায়ের করা হয়।