Bangladesh
পৃথিবীর বুকে আজ বিশেষ স্থানে পৌঁছেছে বাংলাদেশ সেনা বাহিনী
বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির পথে অগ্রগতির পাশাপাশি, বাংলাদেশের সৈন্য ও নিরাপত্তা বাহিনী আজ দেশের গর্ব।
পৃথিবীর বুকে আজ বাংলাদেশের সেনা বাহিনী নিজের এক আলাদা স্থান করে নিয়েছে।
গ্লোবাল ফায়ার পাওয়ার ইনডেক্স ২০১৭তে বলা হয়েছে পৃথিবীর সর্ব শক্তিমান সেনা বাহিনীদের মাঝে বাংলাদেশের স্থান আজ ৫৭ নম্বর স্থানে।
প্রথম স্থানে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র।
তবে, বাংলাদেশ অবস্থান এই পুরো পৃথিবীর সমস্ত দেশকে দেখলে বেশ ভালো জায়গায় আছে।
গ্লোবাল ফায়ার পাওয়ার ইনডেক্স ২০১৭তে বলে হয়েছে যে বাংলাদেশ প্রতিরক্ষা খাতে তাদের বাজেট বরদ্দ করে ১৫৯ কোটি ডলার।
সেই অনুযায়ী, চীনের বাজেট ১৬১৭০ কোটি ডলার ও ভারতে ৫১০০ কোটি ডলার।
এশিয়ার আরেক দেশ পাকিস্তানের বাজেট হল ৭০০ কোটি ডলার।
ইনডেক্স অনুযায়ী, বিশ্বে সামরিক শক্তির দিক দিয়ে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের পরেই আছে রাশিয়া, চীন ও ভারত।
পাকিস্তানের এই মুহূর্তে পৃথিবীতে স্থান হল ১৩ নম্বর।
ভারতের পিছিয়ে থাকলেও বাংলাদেশের থেকে অনেকটাই এগিয়ে তারা।
বিশ্বের মোট ১৩৩টি দেশের ওপর এই তালিকাটি তৈরি করা হয়েছে।
গ্লোবাল ফায়ার পাওয়ার ডট কম এই তালিকাটি প্রকাশ করেছে।
রিপোর্টে আরও জানানো হয়েছে যে এক লাখ ৬০ হাজার সদস্যের সক্রিয় সামরিক বাহিনী রয়েছে বাংলাদেশে।
১৬৬টি এয়ারক্রাফট আছে বাংলাদেশের বিমান বাহিনীতে, জানিয়েছে রিপোর্ট।
আরও বলা হয়েছে যে বাংলাদেশের সেনাবাহিনীর কাছে আছে ৫৩৪টি ট্যাঙ্ক, ৯৪২টি সশস্ত্র সাজোয়া যান, ১৮টি স্বয়ংক্রিয় আর্টিলারি গান, ৩২টি রকেট প্রজেক্টর।
মোট ৮৯টি ‘নেভাল এসেট’ আছে বাংলাদেশের কাছে।
বাংলাদেশ হয়তো শক্তিশালী ভারত, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র বা চীনের কাছে অনেকটাই পিছিয়ে তবে গোটা পৃথিবীর ১৩৩ টি দেশের মধ্যে তালিকায় বেশ ভালো জায়গা করে নিয়েছে এশিয়ার দেশটি।
বাংলাদেশের সেনাবাহিনী আজ জাতিসংঘের শান্তিমিশনে বিশেষ জায়গা নিয়েছে।
এই বিষয়টি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নিজেও বলেছেন।
বাংলাদেশ সেনাবাহিনী আজ জাতিসংঘের শান্তিমিশনে একটি 'ব্রান্ড', এমনটাই বলেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
উনি বলেন যে আজ দেশের সেনাবাহিনী পৃথিবী জুড়ে প্রশংসা অর্জন করেছে।
"আমাদের সশস্ত্র বাহিনী শুধু দেশ নয়, সারা বিশ্বে এখন প্রশংসিত। জাতিসংঘ শান্তিমিশনে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী এখন ব্রান্ড নেম। দেশের উন্নয়ন, প্রাকৃতিক দুর্যোগে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রেখে যাচ্ছে," হাসিনা বলেন।
প্রধানমন্ত্রী গত মাসে বরিশালের বাকেরগঞ্জ উপজেলার লেবুখালীতে গিয়ে সেনানিবাস উদ্বোধন করবার সময় নিজের বক্তব্যে এই বিষয়গুলি বলেছেন।
হাসিনা বলেন ওনার সরকার সশস্ত্র বাহিনীকে আধুনিক, উন্নত ও যুগোপযোগী করতে দৃঢ়প্রতিজ্ঞ।
"আমাদের সরকার দেশের সশস্ত্র বাহিনীকে আধুনিক, উন্নত ও যুগোপযোগী করতে দৃঢ়প্রতিজ্ঞ। এ জন্য আমাদের সরকার আর্মড ফোর্সেস গোল ২০৩০ প্রণয়ন করে প্রতিরক্ষা বাহিনীর উন্নয়নে কাজ করে যাচ্ছে," হাসিনা বলেন।
হাসিনা বলেন এই দেশের সেনা বাহিনীর সাথে ওনার আত্মার যোগ আছে।
"সেনাবাহিনীর সঙ্গে আমার পারিবারিক ও আত্মিক সম্পর্ক রয়েছে। আমার ছোট ভাই ক্যাপ্টেন শেখ জামাল একজন চৌকস সেনা অফিসার ছিলেন। আরেক ভাই শেখ কামালও সেনাবাহিনীর কমিশনে যোগ দিয়েছিলেন" নিজের পরিবারের সুত্র টেনে এনে উনি বলেন।