Bangladesh
Around 2 lakh Rohingyas to be removed
এর আগে প্রথমে তিন হাজার একর ও পরে ২ হাজার ৮শ’একর বনভূমি রোহিঙ্গাদের দেওয়া হয়েছিল। ইতিমধ্যে নতুন করে বরাদ্দকৃত জমিতে ঝুঁকিপূর্ণ রোহিঙ্গা বসতিগুলো উচ্ছেদ করে তাদের সরিয়ে নেওয়া হচ্ছে।
কক্সবাজার জেলা প্রশাসন জানায়, আসন্ন বর্ষা মৌসুমে হতে প্রবল বৃষ্টিপাত হতে পারে। এতে বন্যা, ভূমিধস, ঘূর্ণিঝড় ও জলোচ্ছ্বাসের মত প্রকৃতিক দুর্যোগে পড়তে পারে প্রায় দুই লাখ রোহিঙ্গা। তাদের সরিয়ে নিতে বিভিন্ন আসতর্জাতিক সংস্থা যৌথভাবে কাজ করছে।
সূত্র জানায়, জেলার উখিয়া উপজেলার কুতুপালং রোহিঙ্গা ক্যাম্পের পশ্চিম পাশেই এ জমি বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে।
ঝুঁকিপূণ এলাকায় ইতোমধ্যেই লাল পতাকা ও বসতিগুলোতে লাল রং দিয়ে চিহ্নিত করা হয়েছে।
চিহ্নিত রোহিঙ্গা বসতিগুলো খুব দ্রুত সময়ের মধ্যে বন বিভাগের নতুন করে বরাদ্দকৃত জমিতে সরিয়ে নেয়া হবে।
নতুন এই জমিতে জাতিসংঘের ‘ইউএনডিপি’ ও ‘ইউএনএইচসিআর’সহ দাতা সংস্থাগুলোর সমন্বয়ে পাহাড়ের মাটি সমান করার কাজ চলছে, যেন এসব রোহিঙ্গা বসতিগুলো সেখানে সরিয়ে নেওয়া যায়।’
কক্সবাজারে শরণার্থী ত্রাণ ও পুনর্বাসন কমিশনার বলেন, রোহিঙ্গা ক্যাম্পে বসতিগুলো এপ্রিল মাসের শেষের দিকে স্থানান্তরের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।
এ পর্যন্ত প্রায় ১৫ হাজারের বেশি রোহিঙ্গা সরিয়ে নেওয়া হয়েছে। বর্ষায় ভূমিধস ঠেকাতে তাদের সরিয়ে নেওয়া হচ্ছে।
এছাড়াও ভাসানচরে এক লাখ রোহিঙ্গাকে পাঠানোর প্রক্রিয়া চলছে। ইতোমধ্যে সেখানে বাংলাদেশ নৌবাহিনীর তত্ত্বাবধানে সুনির্দিষ্ট মডেলে ঘরবাড়ি ও ঘূর্ণিঝড় আশ্রয়কেন্দ্র নির্মাণ শুরু হয়েছে।
বৃষ্টির মৌসুম নিয়ে আতঙ্কে আছেন রোহিঙ্গারাও।
উখিয়া কুতুপালং মধুরছড়া রোহিঙ্গা ক্যাম্পের এক গৃহবধূ জানান, তিনি পাহাড়ে কখনও বসবাস করেনি।
বাধ্য হয়ে তাকে পাহাড়ের ঢালুতে ঘর করতে হয়েছে। তার প্রতিরাতে ভয় লাগে যদি ঘরটা ভেঙে পাহাড়ের নিচে পড়ে যায়।
UNICEF/Brown