Bangladesh

Awami League's victory and BNP's defeat explained by PM Hasina

Awami League's victory and BNP's defeat explained by PM Hasina

Bangladesh Live News | @banglalivenews | 31 Dec 2018, 09:59 pm
নিজস্ব প্রতিনিধি, ঢাকা, জানুয়ারি ১: একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগের নিরঙ্কুশ জয় এবং বিএনপির পরাজয়ের ব্যাখ্যা দিলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

 বিদেশি সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময় অনুষ্ঠানে এ ব্যাখ্যা দেন তিনি।


শেখ হাসিনা বলেন, ‘ভালো কাজ করলে তার প্রতিদান পাওয়া যায়। বিএনপি-জামায়াতের তা-বের কারণে দেশের মানুষ তাদের প্রত্যাখ্যান করেছে।’ সোমবার সন্ধ্যায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সরকারি বাসভবন গণভবনের ব্যাঙ্কুযয়েট হলে বিদেশি পর্যবেক্ষক ও সাংবাদিকদের সঙ্গে এ মতবিনিময় অনুষ্ঠান হয়। এ সময় প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে আওয়ামী লীগের নির্বাচন পরিচালনা কমিটির কো-চেয়ারম্যান এইচ টি ইমাম এবং গওহর রিজভী উপস্থিত ছিলেন।


শেখ হাসিনার মতে, বিএনপি তথা জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের শোচনীয় পরাজয়ের কারণগুলো হচ্ছে, একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বিএনপি সাতটি আসন পেয়েছে তাদের নিজেদের কারণে। নির্বাচনে অংশ নিলেও তাদের প্রধান কে হবে তা তারা দেখাতে পারেনি। পার্শ্ববর্তী দেশ ভারতের দিকে তাকালে আপনারা দেখবেন, কংগ্রেসও গত নির্বাচনের আগে দেখাতে পারেনি তাদের প্রধান কে হবেন? তারা মানুষকে ওইভাবে আকৃষ্ট করতে পারেনি। ঐক্যফ্রন্টের ক্ষেত্রেও তাই-ই হযেছে।


‘বিএনপি তাদের জোটে মানবতাবিরোধীদের নমিনেশন দিয়েছে। একাত্তরে মানবতাবিরোধী কর্মকা-ের জন্য জামায়াত ইসলামীর নিবন্ধন বাতিল করেছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। সেই দলের ২৫ জনকে বিএনপি ও ঐক্যফ্রন্ট মনোনয়ন দিয়েছে, এজন্য তাদের মানুষ প্রত্যাখ্যান করেছে। এ ছাড়া বিএনপির মূল লিডাররা দুর্নীতি ও সন্ত্রাসের দায়ে অভিযুক্ত এবং আদালতের রায়ে অভিযুক্ত। তাদের একজন কারাগারে ও অন্যজন পলাতক। সুতরাং তাদের মূল নেতৃত্বের অভাব ছিল। পরাজয়ের এটিও একটি কারণ’ ।


শেখ হাসিনা বলেন, ‘বিগত ২০১৪ সালের নির্বাচনে অংশগ্রহণ না করে পেট্রলবোমা দিয়ে মানুষ মেরেছে, গাড়ি ও শিক্ষা প্রতিষ্ঠান আগুনে পুড়িয়ে দিয়েছে।’

 

বিএনপির এত কম আসন পাওয়া প্রসঙ্গে বিদেশি সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘তারা মনোনয়ন বাণিজ্য করেছে। যারা নির্বাচনে পাস করার মতো ক্যানডিডেট তাদের মনোনয়ন না দিয়ে টাকা নিয়ে অন্যদের মনোনয়ন দিয়েছে।’


আপনার এ বিপুল বিজয়ের পেছনের ম্যাজিকটা কী? বিদেশি সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের জবাবে শেখ হাসিনা বলেন, ‘ম্যাজিক কিছুই না। দেশের জনগণের কথা বিবেচনা করে দেশের মানুষ যেন ভালো থাকে সে জন্য কাজ করেছি। গত ১০ বছরে দেশের মানুষের জীবনযাত্রার মান বেড়েছে, প্রবৃদ্ধি বৃদ্ধি পেয়েছে, শিক্ষিতের হার বেড়েছে।

 

প্রাথমিক থেকে শুরু করে ডিগ্রি পর্যন্ত মেয়েদের পড়াশোনা ফ্রি করা হয়েছে।

 

এ ছাড়া শিশুকে যাতে স্কুলে পাঠায় সে জন্য মায়ের মোবাইল ফোনে টাকা পাঠানো হয়। বিনা পয়সায় প্রতি বছর প্রায় ৩৬ কোটি বই বিতরণ করায় শিক্ষার হার বেড়েছে।

 

যুবকদের জন্য চাকরির ব্যবস্থাসহ ট্রেনিং দিয়ে বিদেশে পাঠানো হচ্ছে। বেসরকারি খাত উন্মুক্ত করার কারণে চাকরির সুযোগ বেড়েছে। এ ছাড়া মানুষের মাথাপিছু আয় বেড়ে গেছে, ইণ্যাদি কারণে জনপ্রিয়তা বেড়েছে।

 

আমরা নারীর ক্ষমতায়ন করেছি, কৃষকরা যাতে ভালোভাবে ফসল ফলাতে পারে সে জন্য ঋণ দিচ্ছি, সার ওষুধে ভর্তুকি দিচ্ছি। দেশের প্রতিটি বাড়িতে স্বাস্থ্যসম্মত টয়লেটের ব্যবস্থা করেছি।

 

মেয়েরা লেখাপড়ায় অনেক দূর এগিয়ে গেছে। গার্মেন্টস শ্রমিকদের সর্বনিম্ন বেতন ছিল ৩০০০ টাকা আমরা তা ৮ হাজার টাকায় উন্নীত করেছি। অন্যান্য পেশাজীবীদের মজুরি বেড়েছে। সরকারি চাকরিজীবীদের বেতন একবারে ১২৩ ভাগ বৃদ্ধি করেছি, যা পৃথিবীর কোনো দেশে সম্ভব হয়নি। বেসরকারি প্রতিষ্ঠান তৈরির ক্ষেত্রে আমরা বিভিন্ন সুযোগ সুবিধা দিয়েছি।


মতবিনিময়কালে বিদেশি পর্যবেক্ষকদের ভিসা জটিলতা, সক্রিয় বিরোধী দলের অভাব ও রোহিঙ্গা শরণার্থীদের নিয়েও কথা বলেন প্রধানমন্ত্রী।