Bangladesh

B Chowdhury feels discussion was fruitful

B Chowdhury feels discussion was fruitful

Bangladesh Live News | @banglalivenews | 03 Nov 2018, 07:55 am
নিজস্ব প্রতিনিধি, ঢাকা, নভেম্বর ৩ : প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে সংলাপ প্রসঙ্গে যুক্তফ্রন্ট চেয়ারম্যান ও সাবেক রাষ্ট্রপতি এ কিউ এম বদরুদ্দোজা চৌধুরী বলেছেন, ‘আলোচনা ফলপ্রসূ হয়েছে।

আমরা সন্তুষ্ট। আরও আলোচনা হবে।’ শুক্রবার রাত পৌনে ১১টার দিকে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে সংলাপ শেষে গণভবন থেকে বেরিয়ে যাওয়ার সময় সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এসব কথা বলেন বি.  চৌধুরী। তিনি আরও বলেন, ‘আমরা নির্বাচনে যেতে প্রস্তুত। তবে বিষয়টি পরে বিস্তারিত ব্যাখ্যায় বলব।’


এর আগে শুক্রবার রাত ৮টার দিকে গণভবনে আওয়ামী লীগসহ ১৪ দলীয় জোটের সঙ্গে যুক্তফ্রন্টের এ সংলাপ শুরু হয়।

 

সংলাপের সূচনা বক্তব্যে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘সুষ্ঠু নির্বাচন অনুষ্ঠানে সংলাপ করছে আওয়ামী লীগ।’ সবাইকে নির্বাচনে অংশ নেওয়ার আহ্বানও জানান প্রধানমন্ত্রী।

প্রধানমন্ত্রীর সূচনা বক্তব্য শেষে যুক্তফ্রন্টের নেতারা একে একে তাদের সাত দফা দাবি তুলে ধরেন। সংলাপে যুক্তফ্রন্টের পক্ষ থেকে ২১ নেতাকর্মী অংশ নেন। বিকল্পধারা বাংলাদেশের পক্ষ থেকে অংশ নেন এ কিউ এম বদরুদ্দোজা  চৌধুরী, মহাসচিব আবদুল মান্নান, সাংগঠনিক সম্পাদক ওমর ফারুকসহ অন্য নেতারা।


এদিকে সংলাপ শেষে প্রধানমন্ত্রীর সরকারি বাসভবন গণভবনে সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেছেন,  ডা. একিউএম বদরুদ্দোজা  চৌধুরীর নেতৃত্বাধীন যুক্তফ্রন্টের সঙ্গে সংলাপ পজেটিভ হয়েছে। নির্বাচনে অংশগ্রহণের বিষয়ে তারা অত্যন্ত গঠনমূলক ও ইতিবাচক কথা বলেছেন। আমাদের কাছে মনে হয়েছে তারা হ্যাপি। শুক্রবার রাত পৌনে ৮টায় বৈঠক শুরু হয়ে রাত ১১টা পর্যন্ত চলে।


প্রধানমন্ত্রী তাদের দেয়া দাবির অনেকগুলোই মেনে নিয়েছেন জানিয়ে কাদের বলেন, যেমন তাদের প্রথম দাবি নির্বাচনে সকলের জন্য সমান সুবিধা নিশ্চিত করতে হবে। এছাড়া সংসদ হয় ভেঙে দিতে হবে নয়তোবা নিস্ক্রিয় করতে হবে। আমাদের নেত্রী বলেছেন সংসদের শেষ সেশন হয়ে গেছে, তাই এটি নিষ্ক্রিয় হয়ে আছে। নির্বাচনের যখন শিডিউল ঘোষণা হবে আমাদের সবাইকে নির্বাচনী আচরণবিধি মেনে চলতে হবে। তাদের দ্বিতীয় দফা দাবি পুরোটাই মেনে নেয়া হয়েছে। এছাড়াও তৃতীয় দফা দাবির আংশিক মেনে নেয়া হয়েছে। তা হলো নির্বাচনে সকল প্রকার নিরপেক্ষতা বজায় রাখার উদ্দেশ্যে নিরপেক্ষ নির্বাচনকালীন সরকার অথবা বর্তমান সরকারের নির্বাচন বিষয়ে সম্পূর্ণ ক্ষমতা সীমিত করার বিষয়ে আমরা একমত হয়েছি।