Bangladesh

উন্নত দেশ গড়বার জন্য শেখ হাসিনা সরকারের উপরে আস্থা রাখেন রাষ্ট্রপতি

উন্নত দেশ গড়বার জন্য শেখ হাসিনা সরকারের উপরে আস্থা রাখেন রাষ্ট্রপতি

| | 09 Jan 2018, 08:35 am
ঢাকা, জানুয়ারি ৮ঃ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে যে দেশের স্রকার উন্নয়নের ধারা দেশে এনেছেন তা আজ রাষ্ট্রপতি মোঃ আবদুল হামিদের প্রশংসাতে প্রকাশ পেয়েছে।

হামিদ বলেছেন যে উনি মনে করেন দেশের এখনকার সরকারের হাত ধরেই  ২০৪১ সালের মধ্যে বাংলাদেশ উন্নত দেশের কাতারে পৌঁছাবে।

 

উন্নয়নের ধারা অব্যাহত রেখেই এই জায়গায় বাংলাদেশকে নিয়ে যাবে সরকার, আশা প্রকাহ করেছেন হামিদ।

 

রাষ্ট্রপতি বলেনঃ "গত মহাজোট সরকারের ধারাবাহিকতায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন বর্তমান সরকার দিনবদলের সনদ ‘রূপকল্প-২০২১’ এবং মুক্তিযুদ্ধের চেতনার আলোকে ক্ষুধা ও দারিদ্র্যমুক্ত একটি প্রগতিশীল, গণতান্ত্রিক ও অসাম্প্রদায়িক ‘ডিজিটাল বাংলাদেশ’ গড়ার লক্ষ্যে নিরলস প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। এ লক্ষ্যে সরকারের নিরবচ্ছিন্ন প্রচেষ্টা ব্যাপক সাফল্য অর্জন করেছে।”

 

বাংলাদেশ এই মুহূর্তে  নিম্ন মধ্য-আয়ের দেশে উন্নীত হয়েছে।

 

এই প্রসঙ্গটি তুলে ধরে, হামিদ বলেনঃ  “এখন জাতির দৃষ্টি নিবদ্ধ হয়েছে ২০৪১ সালের দিকে-বিশ্বসভায় একটি উন্নত দেশের মর্যাদায় অভিষিক্ত হওয়ার মানসে। আমি দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করি, সরকার উন্নয়নের এ ধারা অব্যাহত রেখে জাতির আকাঙ্ক্ষা পূরণে সক্ষম হবে।”

 

সন্ধ্যায় জাতীয় সংসদে নিজের বক্তব্য রাখার সময় হামিদ এই মন্তব্যগুলি বলেন।

 

এখনকার সরকারের কথা ও ২০১৪ সালের নির্বাচনের বিষয়টি তুলে ধরে, হামিদ বলেনঃ “গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশের সংবিধান সমুন্নত এবং সংসদীয় গণতন্ত্রের ধারা অব্যাহত রেখে ২০১৪ সালে অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচনের মাধ্যমে দশম জাতীয় সংসদ গঠিত হয় এবং বর্তমান সরকারের ওপর দেশ পরিচালনার গুরুদায়িত্ব অর্পিত হয়।”

আজকে সংসদের অধিবেশন শুরু হয়।

 

আজকের অধিবেশন শুরু হয় বিকাল ৪টায় স্পিকার শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে।

 

আজকের অধিবেশনে উপস্থিত ছিলেন সংসদ নেতা ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, বিরোধী দলীয় নেতা রওশন এরশাদ।

 

আইনের শাসন সুসংহত ও সমুন্নত রাখা এবং সন্ত্রাস ও জঙ্গিবাদ দমনে সরকারের কার্যক্রমের প্রসঙ্গ তুলে ধরে হামিদ প্রশংসা করেছেন।

 

" “ত্রিশ লক্ষ শহীদের রক্তের বিনিময়ে অর্জিত গৌরবোজ্জ্বল স্বাধীনতা সমুন্নত ও মুক্তিযুদ্ধের চেতনা সমুজ্জ্বল রাখতে দেশ থেকে সন্ত্রাস ও জঙ্গিবাদ সম্পূর্ণরূপে নির্মূলের মাধ্যমে শোষণমুক্ত সমাজ প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলা গড়ে তুলতে বাঙালি জাতিকে আবারও ঐক্যবদ্ধ হয়ে কাজ করতে হবে," উনি বলেন।

 

শেখ হাসিনার নেতৃত্বে সরকারের উন্নয়নমূলক কাজের প্রসঙ্গ তুলে ধরে, হামিদ বলেনঃ "জাতীয় সংসদ দেশের জনগণের আশা-আকাঙ্ক্ষার কেন্দ্রবিন্দু। বর্তমান সরকার সার্বিক আর্থ-সামাজিক উন্নয়নে অভূতপূর্ব গতিশীলতা সঞ্চারণের মাধ্যমে বাংলাদেশকে একটি উন্নত ও আলোকিত দেশ হিসাবে প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে ঐকান্তিক প্রয়াস চালিয়ে যাচ্ছে। "

 

নিজের বক্তব্যে, হামিদ বর্তমান নির্বাচন কমিশনকে প্রশংসা করেন।

 

হাসিনা নিজেও সুন্দর বাংলাদেশ গড়তে বদ্ধপরিকর।

 

একটি নিয়ম শৃঙ্খলা পালন করা দেশ তৈরি করবার জন্য যা প্রয়োজন সকল পদক্ষেপ নিয়ে চলেছে শেখ হাসিনা সরকার।

 

কখনও উনি নরম আবার আরেকদিকে গ্রম হয়ে হাসিনা চেষ্টা করেন সুন্দরভাবে দেশকে পরিচালিত করতে।

 

যেমন মঙ্গলবার হাসিনা দেশের মানুষকে আরও পরিশ্রমী হওয়ার জন্য আহ্বান করলেন।

 

উনি  বলেছনে যে সুবিধাভোগীরা যেন কর্মবিমুখ না হয় সেই বিষয়টির উপরে মাথায় রেখেই যেন ভাতা দেওয়া হয়।

 

জাতীয় সমাজসেবা দিবসের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে নিজের বক্তব্য রাখার সময় হাসিনা এই কথাগুলি বলেছেন।

 

উনি বলেনঃ "কেউ যেন সম্পূর্ণভাবে ভাতার ওপর নির্ভরশীল না হয়। যে কর্মক্ষম, সে নিজে কাজ করে খাবে।"

 

“কিন্তু সে যেন অভুক্ত না থাকে সেদিকে লক্ষ্য রেখে অন্তত মাসে দশ কিলো চাল কিনতে পারে, সেই সমপরিমাণ আর তার সাথে আরো বেশি টাকা আমরা দিচ্ছি," হাসিনা বলেন।

 

সরকারের উপরে নির্ভরশীলতা ক্মাতেই উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে বলে হাসিনা বলেন, "যারা কর্মক্ষম তারা যেন কাজ করে নিজের উপার্জন বাড়াতে পারে।”

 

কঠোর ভাষায় উনি বলেনঃ "এর থেকে বেশি আমি দিতে চাই না। এই কারণে যে, তাহলে কেউ আর কেউ কাজ করবে না। হাত গুটিয়ে বসে ঘরে বসে থাকবে, আর ওইভাবেই চলতে থাকবে।”

 

একটি সংসার সরকারের দেওয়া ভাতায় চলে না, এই বিষয় মন্তব্যের উত্তর দেওয়ার সময় হাসিনা বলেনঃ "“অনেককেই বলতে শুনেছি, এই ভাতা দিচ্ছে, এই ভাতায় কী সংসার চলে ? সকল সংসার চালানোর দায়িত্ব তো সরকারের না। যার যার সংসার সে সে চালাবে। কেউ যেন অভুক্ত না থাকে, অবহেলিত না থাকে; সেটুকু দেখার দায়িত্ব সরকারের।”


স্কুল ও শিক্ষার দিকে ধ্যান দেওয়ার জন্য কিছুদিন আগে প্রত্যেককে আহ্বান করেন উনি।


হাসিনা শনিবার শিক্ষা মন্ত্রণালয়কে দেশের স্কুল স্তরের শিক্ষার মান ঠিক রাখার উদ্দেশ্যে তদারকি বাড়ানোর নির্দেশ দিয়েছেন।

 

“আমাদের স্কুলগুলোর দিকে একটু নজর দেওয়া দরকার। সেখানে সঠিকভাবে পড়াশোনা হচ্ছে কিনা; এই বিষয়টার দিকে একটু বিশেষভাবে নজর দিতে হবে। এটা খুবই জরুরি বলে আমি মনে করি," হাসিনা বলেন।

 

৮৩ দশমিক ৬৫ শতাংশ শিক্ষার্থী এই বছর পাস করেছেন অষ্টম শ্রেণির জুনিয়র স্কুল সার্টিফিকেট ও জুনিয়র দাখিল সার্টিফিকেট পরীক্ষা।

 

এদের মধ্যে এই পরীক্ষায় এক লাখ ৯১ হাজার ৬২৮ জন পেয়েছে জিপিএ-৫।

 

তবে, পরিসংখ্যান যা বলছে তাতে দেখা যাচ্ছে এ পরীক্ষায় পাসের হার বড় পতন হয়েছে।

 

পাশাপাশি,  পূর্ণাঙ্গ জিপিএ শিক্ষার্থী সংখ্যাও কমে গেছে।

 

গণভবনে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার হাতে এই বছরের ফলের পরিসংখ্যান তুলে দেন শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ।

 

এই বছর পাশে হার কমার বিষয় কথা বলতে গিয়ে হাসিনা বলেনঃ “এ বছর যেহেতু আপনাদের নজরদারি বেড়েছে; সে কারণে হয়ত একটু কম। আশাকরি ভবিষ্যতে যেন বাড়ে।”

 


উনি বলেন দেশের ছেলে ও মেয়েদের সকল প্রকারের সুবিধা দিচ্ছে ওনার সরকার।

 


“আমাদের ছেলেমেয়েরা লেখাপড়া করছে, আমরা সব রকম সুযোগ সুবিধা দিচ্ছি। সেখানে,তারা ফেল করবে কেন? তাদের মেধা আছে," হাসিনা বলেন।

 


জেএসসি-জেডিসিতে সম্মিলিতভাবে ৯৩ দশমিক ০৩ শতাংশ শিক্ষার্থী  গত বছর পাস করেছিলেন।

 

দুই লাখ ৪৭ হাজার ৫৫৮ জন জেএসসি-জেডিসি মিলিয়ে সেই বছর পূর্ণ জিপিএ পেয়েছিলেন।

 

২৪ লাখ ৬৮ হাজার ৮২০ জন শিক্ষার্থী  এই বছর অষ্টমের সমাপনী পরীক্ষায় অংশ নিয়েছিলেন।


আবার একভাবে উনি স্বপ্ন দেখেন ও দেখান।


কিছুদিন আগে বলেন যে ২০২১ সালের মধ্যে দেশের প্রতিটি ঘর আলোকিত করা হবে।


ইংরেজী বছরের শেষ দিন- ডিসেম্বর ৩১- হাসিনা বলেন ২০২১ সালের মধ্যে দেশের প্রতিটি ঘর আলোকিত করা হবে।

হাসিনা বলেন দেশের মানুষকে ওনার নৌকা প্রতীকে ভোট দিতে আহ্বান করেছেন।

 

হাসিনা দেশের মানুষকে বলেন যে ওনার সরকার উন্নয়ন ও কল্যাণের জন্য কাজ করবে।

 

"অতীতের মতো আগামী নির্বাচনেও নৌকার পাশে থাকুন। আমরা দেশের মানুষের ভাগ্য উন্নয়নে কাজ করছি, আগামীতেও করব," হাসিনা বলেন।

 

যশোর ঈদগাহ ময়দানে জেলা আওয়ামী লীগ আয়োজিত জনসভায় নিজের বক্তব্য রাখার সময় হাসিনা এই কথাগুলি বলেছেন।

 

যশোরের উন্নয়নের বিষয় কথা বলতে গিয়ে হাসিনা বলেনঃ "এ অঞ্চলের জলাবদ্ধতা দূর করার জন্য কপোতাক্ষসহ ভৈরব নদের জলাবদ্ধতা যদি দূর করতে পারি, তাহলে ভবদহের পানিনিষ্কাশনও সহজ হয়ে যাবে। ভবদহ সংস্কারেরও আমরা ব্যবস্থা নিয়েছি।"

 

হাসিনা বলেন বিএনপি-জামায়াত জোট দেশকে 'ভূতের' মত পেছনের দিকে চালিয়েছে।

 

উনি বলেন এই জোট ক্ষমতায় এলে হত্যা, সন্ত্রাস, লুটপাট ও সন্ত্রাস বেড়ে যায়।

 

হাসিনা বলেন উনি দুর্নীতির জন্য ক্ষমতায় আসেনি।

 

"আমি শেখ হাসিনা, জাতির পিতার কন্যা। আমি দুর্নীতি করতে আসিনি," হাসিনা বলেন।

 

পদ্মা সেতুর উদাহরণ তুলে ধরে উনি বলেনঃ "বিশ্বব্যাংক পদ্মা সেতু নির্মাণে আমাদের দুর্নীতি প্রমাণ করতে পারেনি। আমরা নিজেদের টাকায় পদ্মা সেতু নির্মাণ করছি। "