Bangladesh
Badshah returns money
তিনি টাঙ্গাইলের গোপালপুর উপজেলার হাদিরা ইউনিয়নের হাবিবপুর গ্রামের মো. নজরুল ইসলামের ছেলে।
২০০০ সালে একই উপজেলার আলমনগর ইউনিয়নের দক্ষিণ নবগ্রামের মো. আব্দুল হালিমের মেয়ে লতা বেগমকে বিয়ে করেন তিনি।
দাম্পত্য জীবনের বেশ কিছুদিন পর জানতে পারেন বিয়ের সময় তার বাবা স্ত্রীর পরিবার থেকে ৪০ হাজার টাকা যৌতুক নিয়েছেন।
এরপর তিনি লজ্জায় পড়ে যান। সেই থেকে অন্তরে ঘৃণিত ওই যৌতুকের দায় পরিশোধের মনোভাব লালন করেন তিনি।
তাদের ১৮তম বিবাহবার্ষিকীতে আব্দুর রহিম বাদশা পূর্বেও ভুল সংশোধনে নিজ উদ্যোগেই যৌতুক বাবদ নেয়া টাকা ফিরিয়ে দিলেন শ্বশুর আব্দুল হালিমকে। শুধু যৌতুকের টাকা পরিশোধ করেননি তিনি, স্ত্রীর পরিবারকে গৃহপালিত পশুও উপহার দেন তিনি।
বাদশার শ্বশুর মো. আব্দুল হালিম বলেন, আমার জামাতার এমন বুদ্ধিমত্তা দেখে আমার খুবই আনন্দিত। আমি চাই না, যৌতুক নিয়ে কেউ বিয়ে করুক। এটা একটি সামাজিক ব্যাধি। এ থেকে আমাদের বেরিয়ে আসতে হবে।
এ প্রসঙ্গে বাদশা বলেন, যৌতুক একটি সামাজিক ব্যাধি। আমি যৌতুকের টাকা ফিরিয়ে দিলাম।
আর আমি কখনও চিন্তা করিনি যৌতুক নিয়ে বিয়ে করবো।
এত বছর পরে হলেও আমি যৌতুকের টাকা ফেরত দিলাম। কারণ যৌতুক নেয়া ও দেয়া দুটোই অপরাধ। আমি চাইবো বিয়েতে কেউ যেন যৌতুক না নেন।