Bangladesh
Ban Ki moon wants political solution to Rohingya problem
বান কি মুন বলেন, ‘আমি মিয়ানমারকে অনুরোধ করবো তারা যেন দ্রুত রোহিঙ্গাদের নিরাপদে ফিরিয়ে নিয়ে যায়। মিয়ানমারের উচিত রোহিঙ্গাদের বিশ্বাস অর্জন করে নিরাপদে তাদের নিয়ে যাওয়া।’
জাতিসংঘের সাবেক মহাসচিব বলেন, রোহিঙ্গা ইস্যু অণ্যন্ত মর্মান্তিক এবং দুঃখজনক। জাতিসংঘের সাবেক মহাসচিব হিসেবে আমি মিয়ানমারকে এ সমস্যা সমাধানের আহ্বান জানাচ্ছি। মিয়ানমারের প্রতি ইতিবাচক পরিবেশ সৃষ্টির আহ্বান জানাই। যাতে রোহিঙ্গারা সেখানে ফেরার সাহস পায়।
বান কি মুন বলেন, ‘কিছু দিন আগে (গত ৯ জুলাই) পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. মোমেনের সঙ্গে আমি কক্সবাজারে গিয়েছিলাম। সেখানে রোহিঙ্গাদের অবস্থা দেখে দুঃখ পেয়েছি। ১১ লাখ মানুষ অল্প জায়গায় দুর্বিষহভাবে বসবাস করছে।’
তিনি বলেন, এ ধরনের সমস্যা বাংলাদেশের একার পক্ষে সমাধান করা সম্ভব নয়। তাই বিশ্বের অন্য দেশকে এগিয়ে আসতে হবে।
শুক্রবার রাতে সংক্ষিপ্ত সফরে ঢাকায় আসেন জাতিসংঘের সাবেক মহাসচিব বান কি মুন। শনিবার বিকেলে রাজধানীর আর্মি স্টেডিয়ামে ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়ের ১৩তম সমাবর্তনে বক্তৃতা করেন তিনি।
জাতিসংঘের সাবেক মহাসচিব বলেন, বিরাটসংখ্যক রোহিঙ্গার আশ্রয় দিয়ে মানবুার-উদারতার পরিচয় দিয়েছে বাংলাদেশ।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী আবদুল মোমেনের সঙ্গে খুবই স্বল্প সময়ের বৈঠক হয়েছে জানিয়ে বান কি মুন বলেন, বৈঠকে আমরা নিজেদের স্বার্থসংশ্লিষ্ট কিছু বিষয় আলোচনা করেছি। বৈশ্বিক জলবায়ু পরিবর্তনজনিু সমস্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশ কীভাবে মোকাবিলা করছে, আমরা সে বিষয়ে আলোচনা করেছি।
তিনি বলেন, টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা (এসডিজি) অর্জনে বাংলাদেশ বিশ্বে অনুকরণীয়। তরুণ জনগোষ্ঠী এবং নারীর ক্ষমতায়ন নিশ্চিতে বাংলাদেশ কীভাবে কাজ করছে, আমরা বৈঠকে তা জেনেছি।