Bangladesh

Bangabandhu was a generous man, did not take anything: PM Hasina
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা‘জাতীয় শোক দিবস’ উপলক্ষে সোমবার (৩১ আগস্ট) বাংলাদেশ ছাত্রলীগ আয়োজিত আল

Bangabandhu was a generous man, did not take anything: PM Hasina

Bangladesh Live News | @banglalivenews | 01 Sep 2020, 02:21 am
নিজস্ব প্রতিনিধি, ঢাকা সেপ্টেম্বর ২০২০ : আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, ‘জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান শুধু দিয়েই গেছেন, কিছু নিয়ে যাননি। কারণ তাকে হত্যার পর এবং ১৫ আগস্টে যারা নিহত হয়েছেন, কাউকেই ঘাতকরা দাফন-কাফন দেয়নি। জানাজাও দেয়া হয়নি।’

প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘বাংলার গরিব মায়েদের রেড ক্রিসেন্টের মাধ্যমে যে রিলিফ দিতেন, সেই রিলিফের শাড়ি-কাপড়ের পাড় ছিড়ে তা দিয়েই আমার বাবাকে দাফন দেয়া হয়েছিল। গ্রামের গরিব ও দরিদ্র মানুষকে তিনি যে কাপড় দিতেন, সেই কাপড়টা জড়িয়েই তিনি চলে গেছেন।’

 

সোমবার (৩১ আগস্ট) বিকেলে ‘জাতীয় শোক দিবস’ উপলক্ষে বাংলাদেশ ছাত্রলীগের পক্ষ থেকে আয়োজিত আলোচনা সভায় অংশগ্রহণ (ভার্চুয়াল) করে তিনি এসব কথা বলেন। প্রধানমন্ত্রী গণভবন প্রান্ত থেকে বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউয়ে আওয়ামী লীগ কার্যালয়ের সঙ্গে যুক্ত হন।

 

আলোচনা সভায় সভাপতিত্ব করেন ছাত্রলীগের সভাপতি আল নাহিয়ান জয়। অনুষ্ঠানের শুরুতে শহীদদের স্মরণে দাঁড়িয়ে এক মিনিট নীরবতা পালন করা হয়। প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘১৫ আগস্টে হত্যাকাণ্ডের পর যেহেতু আমার বাবার লাশটা টুঙ্গিপাড়া নেয়া হয়েছিল সেখানে মাওলানা সাহেব এবং আশেপাশে যারা ছিলেন তারা জোর করেছিলেন বলেই তার লাশ গোসলের সুযোগ দেয়া হয়েছিল। কাফনের কাপড় কেনার মতো কোনো দোকান খোলা ছিল না। কারফিউ দেয়া হয়েছিল। মানুষের কাছ থেকে তিনি কিছু নিয়ে যাননি, শুধু দিয়েই গেছেন। আমি এইটুকু বলব, কোনো আত্মত্যাগ বৃথা যায় না। তিনি যে স্বপ্ন দেখেছেন, এ দেশের মানুষের জীবনমান উন্নয়নের, ওইটাই আমার একমাত্র লক্ষ্য।’

 

ছাত্রলীগকে তিনি বলেন, ‘ত্যাগের মধ্যেই শান্তি, ভোগের মধ্যে নয়। মানুষকে কিছু দিতে পারলে শান্তি পাওয়া যায়। জাতির পিতার আদর্শ নিয়ে চললে, দেশের মানুষকে কিছু দিতে পারবে। ডিজিটালের মাধ্যমে দেশটা যেন এগিয়ে যায় সেটাই তোমাদের কাছে কামনা করি। আমরা যতই উন্নতি করি না কেন ‘সাইন্স’ এবং ‘টেকনোলজি’ না শিখলে আমরা উন্নতি কতে পারব না। এজন্য সাইন্স এবং টেকনোলজি বিশ্ববিদ্যালয় করে দিয়েছি। বিষয়ভিত্তিক অনেকগুলো বিশ্ববিদ্যালয় করে দেয়া হয়েছে। বেসরকারিভাবেও এসব বিষয়ের ওপর বিশ্ববিদ্যালয় করা হয়েছে। আমাদের ছেলে-মেয়েরা যেন বিভিন্ন ভাষা শিখতে পারে সেজন্য নয়টা ভাষা দিয়ে অ্যাপ তৈরি করে দেয়া হয়েছে। শিক্ষার মাধ্যমে আমরা আমাদের দেশকে এগিয়ে নিতে চাই। সেদিকে লক্ষ্য রেখে বিভিন্ন ব্যবস্থা হাতে নিয়েছি। আমাদের ছাত্র-ছাত্রীদের বিনা পয়সায় বই দিচ্ছি। পৃথিবীর আর কোন্ দেশ এত বই একসঙ্গে দিতে পারে, তা আমার জানা নেই। কিন্তু আমরা তা দিয়ে যাচ্ছি কারণ, শিক্ষা জাতির মেরুদণ্ড। শিক্ষা ছাড়া কোনো জাতি উন্নতি করতে পারে না। জাতি যখন শিক্ষিত হবে তখনই দেশ এগোবে।’