Bangladesh

Bangladesh Air Force is a country's pride: President Hamid

Bangladesh Air Force is a country's pride: President Hamid

Bangladesh Live News | @banglalivenews | 13 Dec 2018, 12:08 am
নিজস্ব প্রতিনিধি, ঢাকা, ডিসেম্বর ১৩: রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ বলেছেন, বাংলাদেশ বিমান বাহিনী জাতির গর্বের প্রতীক।

দেশের আকাশসীমার প্রতিরক্ষা ও সার্বভৌমত্ব রক্ষার পাশাপাশি জাতীয় যেকোনো প্রয়োজনে দেশ ও জনগণের পাশে দাঁড়িয়ে বিমান বাহিনীর সদস্যরা তাদের ওপর অর্পিত দায়িত্ব নিষ্ঠার সঙ্গে পালন করে যাচ্ছেন। বুধবার দুপুরে যশোর বিমান বাহিনী একাডেমির প্যারেড গ্রাউন্ডে বাংলাদেশ বিমান বাহিনীর ৭৫তম বাফা কোর্স ও ডিরেক্ট এন্ট্রি ২০১৮ কোর্সের কমিশনপ্রাপ্তি উপলক্ষে কুচকাওয়াজ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।


রাষ্ট্রপতি আরও বলেন, বাংলাদেশের ভৌগলিক অবস্থান, সামরিক কৌশলগত দিক, অর্থনৈতিক উন্নয়নের পরিধি ও সম্ভাবনার প্রেক্ষাপটে একটি আধুুনিক পেশাদার ও চৌকস বিমান বাহিনীর প্রয়োজনীয়তা জাতির পিতা উপলব্ধি করেছিলেন। এ উপলব্ধি থেকেই তিনি বিমান বাহিনীকে আধুনিকায়নের উদ্যোগ গ্রহণ করেন।

 

তিনি আরও বলেন, মহান মুক্তিযুদ্ধের সময় মাত্র তিনটি পুরনো বিমান নিয়ে বাংলাদেশ বিমান বাহিনীর যে যাত্রা শুরু হয়েছিল, তা আজ অনেকদূর এগিয়ে এসেছে।

বর্তমানে আমাদের বিমান বাহিনীতে যুক্ত হয়েছে অণ্যাধুনিক যুদ্ধ বিমান, পরিবহন বিমান, হেলিকপ্টার, উচ্চ ক্ষমতাসম্পন্ন আকাশ প্রতিরক্ষা রাডার, ক্ষেপনাস্ত্র এবং অণ্যাধুনিক সমরাস্ত্র। এসব যুদ্ধ উপকরণে বিমান বাহিনীর সক্ষমতা বহুলাংশে বৃদ্ধি পেয়েছে। বাংলাদেশ বিমান বাহিনীর অণ্যাধুনিক এবং দেশের সার্বিক নিরাপত্তা বৃদ্ধির লক্ষ্যে অন্যান্য বাহিনীর সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে ফোর্সেস গোল ২০৩০ বাস্তবায়িত হচ্ছে। আমাদের বিশ্বাস ফোর্সেস গোল বাংলাদেশ বিমান বাহিনীকে আরও শক্তিশালী করবে।


আবদুল হামিদ বলেন, সকলের জন্য বন্ধুত্ব, কারো সঙ্গে বৈরিতা নয়- জাতির পিতার অনুসৃত এ নীতির আলোকে আমাদের পররাষ্ট্রনীতি পরিচালিত হচ্ছে।

 

বাংলাদেশ যুদ্ধ নয়, শান্তি চায়। কিন্তু আমাদের বাহিনীসমূহ দেশের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্ব রক্ষায় দৃঢ় প্রতিজ্ঞ। এজন্য প্রয়োজন রয়েছে দক্ষতা, যুদ্ধ উপকরণ ও আত্মনির্ভরশীলতা। সেই লক্ষ্যে নিকট ভবিষ্যতে পঞ্চম প্রজন্মের যুদ্ধ বিমান, উচ্চ ক্ষমতাসম্পন্ন রাডার ও অণ্যাধুনিক সমরাস্ত্র বিমান বাহিনীতে সংযোজন করা হবে। এর মাধ্যমে বিমান বাহিনীর সক্ষমতা বহুগুণে বৃদ্ধি পাবে।


অনুষ্ঠানে রাষ্ট্রপতি কুচকাওয়াজ পরিদর্শন ও অভিবাদন গ্রহণ এবং ফ্লাইট ক্যাডেটদের মঝে পদক, সনদপত্র এবং ফ্লাইং ব্যাজ বিুরণ করেন। প্রশিক্ষণ সমাপনী কুচকাওয়াজের মাধ্যমে বিমান বাহিনীর ১০ জন মহিলা ক্যাডেটসহ ৬১ জন ফ্লাইট ক্যাডেট কমিশন লাভ করেন।

 

কুচকাওয়াজ শেষে বিমান বাহিনী একাডেমির বিভিন্ন প্রকার বিমানের মনোজ্ঞ ফ্লাইপাস্ট অনুষ্ঠিত হয়।

 

ফোর্সে সেরা চৌকস কৃতিত্বের জন্য ফ্লাইট ক্যাডেট স্কোয়াড্রন জুনিয়র আন্ডার অফিসার রিয়ানা আজাদকে ‘সোর্ড অব অনার’ এবং ফ্লাইট ক্যাডেট বিএম তানভীর ইসলাম রাব্বী জেনারেল সার্ভিস প্রশিক্ষণ কৃতিত্বের জন্য ‘কমান্ডান্টস ট্রফি’ লাভ করেন।


উড্ডয়ন প্রশিক্ষণে সেরা কৃতিত্বের জন্য ফ্লাইট ক্যাডেট আর এইচ এম নাফী ‘বীরশ্রেষ্ঠ মতিউর রহমান ট্রফি’ এবং গ্রাউন্ড ব্রাঞ্চে সেরা কৃতিত্বের জন্য ফ্লাইট ক্যাডেট মো. নাফিজ-আল-মানারকে ‘বিমান বাহিনী প্রধান ট্রফি’ প্রদান করা হয়।