Bangladesh

Bangladesh develops under Sheikh Hasina

Bangladesh develops under Sheikh Hasina

Bangladesh Live News | @banglalivenews | 18 Sep 2018, 09:04 am
ঢাকা, সেপ্টেম্বর ১৮ঃ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশ উন্নয়নের শিখরে পৌঁছে গেছে।এ বিষয়টি নিয়ে হয়তো দ্বিমত কারও নেই।

যবে থেকে হাসিনা এই সরকার গঠন করেছেন বাংলাদেশ উন্নতির পথেি শুধু হেঁটেছে।

আর এর ফল আন্তর্জাতিক মহলে পরিষ্কার।

তবে, আজকে নতুন একটি পর্বেও বাংলাদেশ উন্নতির পথে হেঁটেছে।

ইউএনডিপিতে মানব উন্নয়নের সূচকে অগ্রগতিঃ 

মাথাপিছু আয়, গড় আয়ুসহ বিভিন্ন মাপকাঠিতে উন্নতির পথ ধরে জাতিসংঘ উন্নয়ন কর্মসূচির (ইউএনডিপি) মানব উন্নয়ন সূচকে আরও এগিয়েছে বাংলাদেশ।

গতবছরের তথ্য উপাত্ত বিশ্লেষণ করে ইউএনডিপি শুক্রবার ‘মানব উন্নয়ন প্রতিবেদন-২০১৮’ প্রকাশ করেছে; তাতে দেখা যাচ্ছে, এক বছরে বাংলাদেশের অবস্থানের উন্নতি হয়েছে তিন ধাপ।


এবারের প্রতিবেদনে ১৮৯ দেশের মধ্যে বাংলাদেশ রয়েছে ১৩৬তম অবস্থানে। ২০১৭ সালের প্রতিবেদনে বাংলাদেশ ছিল ১৩৯তম অবস্থানে; তার আগের বছর ছিল ১৪২তম অবস্থানে। প্রতিটি দেশের স্বাস্থ্য, শিক্ষা, আয় ও সম্পদের উৎস, বৈষম্য, লৈঙ্গিক সমতা, দারিদ্র্য, কর্মসংস্থান, নিরাপত্তা, বাণিজ্য ও আর্থিক প্রবাহ, যোগাযোগ, পরিবেশের ভারসাম্য ও জনমিতির তথ্য বিশ্লেষণ করে এই মানব উন্নয়ন সূচক তৈরি করে ইউএনডিপি। এসব মাণদন্ড মিলিয়ে এবার বাংলাদেশের এইচডিআই স্কোর দাঁড়িয়েছে শূন্য দশমিক ৬০৮, যা গতবার শূন্য দশমিক ৫৭৯ ছিল। গতবারের মত এবারও সূচকে সবচেয়ে ভালো অবস্থানে রয়েছে নরওয়ে। ইউরোপের এ দেশটির এইচডিআই স্কোর শূন্য দশমিক ৯৪৯ থেকে বেড়ে শূন্য দশমিক ৯৫৩ হয়েছে। এই সূচকে আসা ১৮৯টি দেশকে অতি উন্নত, উন্নত, মধ্যম ও নিম্ন মানব উন্নয়নের চারটি স্তরে ভাগ করা হয়েছে। বাংলাদেশ রয়েছে মানব উন্নয়নের দেশের স্তরে। দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলোর মধ্যে বাংলাদেশ মানব উন্নয়নে নেপাল ১৪৯ ও পাকিস্তানের ১৫০ চেয়ে এগিয়ে থাকলেও শ্রীলঙ্কা (৭৬), মালদ্বীপ (১০১), ভারত (১৩০) ও ভুটানের (১৩৪) চেয়ে পিছিয়ে আছে। এর মধ্যে মালদ্বীপ গতবারের তুলনায় চার ধাপ, বাংলাদেশ তিন ধাপ এবং ভারত এক ধাপ এগিয়েছে। আর বাকি চার দেশের অবস্থানের অবনতি হয়েছে। এসডিজির লক্ষ্য হল ২০৩০ সালের মধ্যে কেউ যাতে পিছিয়ে না থাকে। এটাকে ভিত্তিক ধরেই মানব উন্নয়ন প্রতিবেদন তৈরি করা হয়েছে।


যেসব দেশের নাগরিকদের প্রত্যাশিত আয়ুষ্কাল বেশি, শিক্ষাব্যবস্থা উন্নত এবং মাথাপিছু আয় বেশি, সেসব দেশই তালিকায় সবচেয়ে ভালো অবস্থানে রয়েছে।

প্রতিবেদনের তথ্য অনুযায়ী, বাংলাদেশের নাগরিকদের প্রত্যাশিত আয়ুষ্কাল ৭২ বছর থেকে বেড়ে ৭২ দশমিক ৮ বছর হয়েছে; শিশুদের স্কুলে কাটানোর প্রত্যাশিত সময় গড়ে ১০ দশমিক ২ বছর থেকে বেড়ে ১১ দশমিক ৪ বছর হয়েছে এবং মাথাপিছু আয় (জিএনআই) বছরে তিন হাজার ৩৪১ ডলার থেকে বেড়ে হয়েছে তিন হাজার ৬৭৭ ডলার। আর সূচকের শীর্ষ অবস্থানে থাকা নরওয়ের নাগরিকদের প্রত্যাশিত আয়ুষ্কাল ৮২ দশমিক ৩ বছর, শিশুদের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে কাটানোর প্রত্যাশিত সময় গড়ে ১৭ দশমিক ৯ বছর এবং মাথাপিছু আয় (জিএনআই) বছরে ৬৮ হাজার ১২ ডলার।


হাসিনা পরিষ্কার জানিয়েছেন যে দুর্নীতি করতে উনি ক্ষমতায় আসেনিঃ

উন্নয়ন তখন সম্ভব যদি নেত্রী একটি দেশকে প্রগতির পথে নিয়ে যায়।

দুর্নীতি করতে নয়, দেশের মানুষের ভাগ্য পরিবর্তন করতে ক্ষমতায় এসেছি বলে মন্তব্য করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

শনিবার সকালে গণভবনে আইডিইবি'র ২২তম সম্মেলনের উদ্বোধনী আয়োজনে একথা বলেন তিনি।

আগামীতে দেশের প্রত্যন্ত গ্রামগুলোকেও নগরের সুযোগ-সুবিধা দিয়ে গড়ে তোলার প্রত্যয় জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন- মাঠ পর্যায়ের বিভিন্ন প্রকল্পের কাজ যাতে মানসম্পন্ন হয়- সে বিষয়ে সতর্ক থাকতে হবে ডিপ্লোমা প্রকৌশলীদের।

মাঠ পর্যায়ে বিভিন্ন প্রকল্প বাস্তবায়নে সরাসরি তত্ত্বাবধায়কের দায়িত্ব পালন করা ডিপ্লোমা প্রকৌশলীদের পেশাদার সংগঠন ইনস্টিটিউশন অব ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ার্স বাংলাদেশ-আইডিইবি'র ২২তম সম্মেলনের উদ্বোধনী আয়োজন এই প্রথম অনুষ্ঠিত হলো প্রধানমন্ত্রীর বাসভবন গণভবনে।

শনিবার বেলা ১০টায় সারাদেশ থেকে আসা কয়েক হাজার প্রকৌশলীদের সামনে তিনি উদ্বোধন করেন সংগঠনটির ২২তম জাতীয় সম্মেলনের। ডিপ্লোমা প্রকৌশলীদের উদ্ভাবিত দেশের প্রথম কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তাসম্পন্ন রোবট মি. টিভেটের কার্যকারিতা উপস্থাপন করা হয় প্রধানমন্ত্রীর সামনে।

উদ্বোধনী আয়োজনের বক্তব্যে প্রধানমন্ত্রী বলেন- গণমানুষের উন্নয়ন ও কল্যাণে কাজ করা আওয়ামী লীগ সরকার আগামীতে দেশের গ্রামগুলোতে পৌঁছে দেবে নগরের সুযোগ-সুবিধা।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, 'এত সব স্থাপনা, মিল কারখানা যা কিছুই হচ্ছে মূলত সেগুলো আপনারাই করে থাকেন। এজন্য আপনাদের আন্তরিক ধন্যবাদ। এসব কাজ যদি মানসম্মত হয়, সেদিকেও আপনারা দৃষ্টি দিয়ে থাকেন। আমরা গ্রামকেও উন্নত করতে চাই। গ্রামকেও শহরের মত উন্নয়নশীল হিসেবে গড়ে তোলার চেষ্টাই আমরা করছি।'