Bangladesh
Bangladesh fishermen recovers 6 tonne fish
এদিকে বৃহৎ আকৃতির পানপাতা মাছটি দেখতে ছুটে আসেন আশপাশের বিভিন্ন এলাকার মানুষ। মাছটি বাজারে আনা হলে দেখতে ভিড় জমান ব্যবসায়ীরা।
জানা যায়, ভৈরবের জেলে কাজল মিয়া আর গণি মিয়া মঙ্গলবার সকালে মেঘনা নদীতে জাল নিয়ে বের হন। দুপুর পর্যন্ত কোনো মাছ জালে ধরা পড়েনি তাদের। বিকেলে আশুগঞ্জের কাছে মেঘনা নদীতে জাল ফেললে টানার সময় ভারী কিছু জালে পড়েছে টের পান জেলে গণি মিয়া। বুঝে উঠতে পারছিলেন না জালে কি মাছ। জাল টেনে নৌকার কাছে আনতেই দেখেন বিশাল পানপাতা মাছ। অনেক কষ্টে মাছটি নৌকায় তোলেন। এ সময় খুশিতে আত্মহারা হন কাজল ও গণি মিয়া।
এরপর সন্ধ্যায় মাছটি আশুগঞ্জ বাজারে নেয়া হলে ক্রেতা ছিল না। রাতে মাছটি ভৈরবের আড়তে নিয়ে আসা হয়। ওজনে আট মণ হয়। মাছটি দেখে মানুষ ভিড় জমান। তারপর পারভেজ মিয়া ৪৫ হাজার ৫০০ টাকায় মাছটি কিনে নেন।
পারভেজ মিয়া বলেন, এত বড় মাছের ক্রেতা নেই। মাছটি কেটে টুকরা করে ৩০০ টাকা কেজিতে বিক্রি করেছি। এতে আমার কিছুটা লাভ হয়েছে।
জেলে কাজল মিয়া বলেন, নদীতে আমরা বোয়াল, রুই ও বড় মাছ মারতে যাই। কোনো দিন মাছ বেশি পাই আবার কোনো দিন কম পাই। জীবনে কখনও এত বড় মাছ আমার জালে ধরা পড়েনি।
ভৈরবের মাছ ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি মজিবুর রহমান বলেন, পানপাতা একটি বিরল প্রজাতির মাছ। এই মাছ এখন বিলুপ্তির পথে। মেঘনায় এ মাছ এখন তেমন দেখা যায় না।
ভৈরব উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা লুৎফর রহমান বলেন, পানপাতা মাছ গভীর পানিতে থাকে। সাগরের সংযোগস্থল মেঘনায় হয়তো ভুলপথে মাছটি এসে জেলের জালে ধরা পড়েছে।