Bangladesh
Bangladesh gearing up for polls, political battle gains momentum
মূল লড়াই শেখ হাসিনা ও ঐক্যফ্রন্টের মধ্যে হতে চলেছে।
শেখ হাসিনার উন্নয়নমূলক রাজনিতির এইবার হবে আসল পরীক্ষা। মানুষ কি হাসিনা ও ওনার উন্নয়নকে আবার একবার আস্থা রেখে ক্ষমতায় আনবে না কি বিরোধীরা বেশ কিছু বছর পরে ফিরবে সরকারে, এখন শুধুই সময়ের অপেক্ষা।
এই দুদিনে কি বলেছেন শেখ হাসিনাঃ
শেখ হাসিনা বলেছেন বিএনপির সন্ত্রাস, জঙ্গিবাদ ও জবরদস্তি দেশবাসী কখনও পছন্দ করেনি, ভবিষ্যতেও করবে না।
তাদের জবরদস্তি এদেশের মানুষ কখনও মেনে নেয়নি, হাসিনা বলেন।
আগামী ৩০ ডিসেম্বরের নির্বাচনে তারা আবারও এর জবাব দেবে। ৩০ ডিসেম্বর শান্তিপূর্ণ নির্বাচন হবে এবং সেখানে আওয়ামী লীগ জয়লাভ করে আবারও সরকার গঠন করবে বলে আশাবাদ প্রকাশ করেন তিনি।
Learn how #investment in #Bangladesh increased over the last 10 years under the leadership of #SheikhHasina https://t.co/a9oQKK2yC8
— Awami League (@albd1971) December 28, 2018
ভারতের এক খবরের কাগজকে হাসিনা বলেছেন যে আবার ওনারা ক্ষমতায় আসবেন।
ডিসেম্বর ৩০ নির্ধারিত হবে আগামী মেয়াদে দেশের শাসন ক্ষমতায় কে আসছেন। তবে নির্বাচনের প্রাক মুহূর্তে বর্তমান প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা অনেকটা আত্মবিশ্বাস নিয়েই বলছেন, ‘তার দল আওয়ামী লীগ আবারও ক্ষমতায় আসছে।’
কলকাতার জনপ্রিয় পত্রিকা আনন্দবাজারকে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এ কথা জানান।
শেখ হাসিনা বলেন, ‘বাংলাদেশের জনগণের উপর আমার বিপুল আস্থা। মানুষ আমাদের সঙ্গে রয়েছে।জনগণের ভোটেই আমরা নির্বাচিত হব।’
#Bangladesh opposition figurehead admits fielding #fundamentalist #WarCriminal Jamaat-e-Islami candidates in #election was stupid https://t.co/HTa1qihYFS
— Sajeeb Wazed (@sajeebwazed) December 28, 2018
এতটা নিশ্চিত কিভাবে হচ্ছেন? -এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ২০১৩-র নির্বাচনে প্রায় ৬শ’ স্কুল পোড়ানোর কথা বাংলাদেশের মানুষ ভুলে যায়নি। মুছে যায়নি প্রিসাইডিং অফিসারসহ অজস্র নাগরিককে হত্যার স্মৃতি। রাস্তা কেটে মানুষের যাতায়াত বন্ধ করে দেওয়া হয়েছিল। সেই সময়ে জনগণই রুখে দাঁড়িয়েছিলেন, ভোটও দিয়েছিলেন। সেই জনগণ আবারও আমাদেরই ভোট দেবেন।
দেশের যুব সম্প্রদায় আওয়ামী লীগ সম্পর্কে খুবই উৎসাহী বলে মনে করেন শেখ হাসিনা। বলেন, বাংলাদেশে মানুষের মন থেকে মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাসটাই মুছে ফেলা হয়েছিল। এখনকার নতুন প্রজন্মের মধ্যে সত্যকে জানার একটা আগ্রহ রয়েছে। ইন্টারনেটে খুঁজলেই একাত্তরের অনেক তথ্য এখন জানা যায়। ফলে মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস জানার বিষয়টি এখন অনেক সহজ হয়ে গিয়েছে। এর জেরে আওয়ামী লীগের প্রতি যুব সম্প্রদায়ের মতটাই পাল্টে গেছে।
তিনি বলেন, ‘এবারের নির্বাচনটা আগের মতো অত চ্যালেঞ্জিং নয়। বৈরীতার পরিবেশও নেই। বরং আমাদের স্বপক্ষে একটা পরিবেশ তৈরি হয়েছে। আগের নির্বাচনগুলোয় একটা বিভেদ লক্ষ্য করতাম। এবার কিন্তু একচেটিয়াভাবে সকলের সমর্থনটা আমাদের সঙ্গে রয়েছে। সেটা টেরও পাচ্ছি।’
কামাল কি বলেছেন জামাত নিয়ে?
এবার নির্বাচনে বিএনপির ধানের শীষ প্রতীকে জামায়াত নেতাদের মনোনয়ন দেওয়া বোকামি হয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের শীর্ষনেতা ও গণফোরাম সভাপতি ড. কামাল হোসেন।
A total of 188 foreign observers from 9 international organisations and a dozen foreign missions in #Bangladesh and 56 foreign journalists are set to observe the 30th December election https://t.co/RpXzmtnNfj
— Awami League (@albd1971) December 28, 2018
তিনি বলেন, জামায়াত নেতারা ধানের শীষ নিয়ে প্রার্থী হবে জানলে জামায়াত নেতারা প্রার্থী হবে জানলে ঐক্যফ্রন্টের দায়িত্ব নিতাম না ।’ বুধবার (২৬ ডিসেম্বর) ভারতের সংবাদমাধ্যম ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেসকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে তিনি এ কথা বলেন। সাক্ষাৎকারটি বৃহস্পতিবার প্রকাশিত হয়েছে।
এরশাদ দাঁড়িয়েছেন শেখ হাসিনার পাশেঃ
ঢাকা-১৭ আসনের প্রতিদ্বন্দ্বিতা থেকে নিজেকে সরিয়ে নিয়ে আওয়ামী লীগের প্রার্থী চিত্রনায়ক আকবর হোসেন পাঠান ফারুককে সমর্থন দিয়েছেন সাবেক রাষ্ট্রপতি ও জাতীয় পার্টির (জাপা) চেয়ারম্যান এইচ এম এরশাদ। বৃহস্পতিবার (২৭ ডিসেম্বর) বিকেল ৫টায় বারিধারার প্রেসিডেন্ট পার্কে জরুরি সংবাদ সম্মেলন ডেকে তিনি এ ঘোষণা দেন।
এরশাদ বলেন, ‘আমরা দেশের সার্বিক পরিস্থিতি বিবেচনা করে মহাজোটকে সমর্থনের সিদ্ধান্ত নিয়েছি। আমার বোন শেখ হাসিনাকে পূর্ণ সমর্থন করবো। আমি ঢাকা-১৭ আসনে নির্বাচন করতাম। কিন্তু নানা কারণে এ আসনে নির্বাচন করছি না। ফারুককে আমি পূর্ণ সমর্থন দিয়েছি। তিনি আমার কাছে এসেছিলেন আমি তাকে সমর্থন দিয়ে দোয়া দিয়েছি। পুলিশ বা নির্বাচন কমিশন সম্পর্কে কোনো বক্তব্য আছে কিনা জানতে চাইলে এরশাদ বলেন, ‘পুলিশের বিষয়ে কথা বলার এখতিয়ার আমার নেই।’
সহিংসুামুক্ত শান্তিপূর্ণ নির্বাচন দেখতে চায় যুক্তরাষ্ট্র : মিলার
নির্বাচনি সহিংসতায় উদ্বেগ প্রকাশ করেছে যুক্তরাষ্ট্র।
ঢাকায় দেশটির রাষ্ট্রদূত রবার্ট মিলার এ উদ্বেগ প্রকাশ করে বলেন, গত দুই সপ্তাহ ধরে নির্বাচনকে ঘিরে যে উচ্চমাত্রায় সহিংসতা হয়েছে তাতে তারা উদ্বিগ্ন। সংখ্যালঘু ও নারীসহ সকল পক্ষই এ সহিংসতার শিকার। তবে বিরোধীদলীয় প্রার্থীরাই বেশি সহিংসতার শিকার। বৃহস্পতিবার (২৭ ডিসেম্বর) বিকালে প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কে এম নূরুল হুদার সঙ্গে সাক্ষাৎ শেষে নির্বাচন ভবনে সাংবাদিকদের তিনি এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, ইসির সঙ্গে নির্বাচনের সুষ্ঠু পরিবেশ নিয়ে আলোচনা হয়েছে। আমরা বলেছি কে কোন দলের সেটা বিষয় নয়, আমরা বলেছি সব নাগরিক যেন ভোটকেন্দ্রে যেতে নিরাপদ বোধ করেন এবং পছন্দের প্রার্থীকে ভোট দিতে পারেন।
যুক্তরাষ্ট্রর রাষ্ট্রদূত বলেন, আগামী ৩০ ডিসেম্বরের জাতীয় সংসদ নির্বাচন সহিংসতামুক্ত ও শান্তিপূর্ণ দেখতে চায় যুক্তরাষ্ট্র। প্রধান নির্বাচন কমিশনারকে আমরা বলেছি, যুক্তরাষ্ট্র গত দুই সপ্তাহের নির্বাচনি সহিংসতার বিষয়টি অবগত আছে। বড় বড় নেতারাসহ সংখ্যালঘুরা সহিংসতার শিকার হয়েছে। আক্রান্ত অধিকাংশ বড় নেতাই বিরোধী দলের। পছন্দের প্রার্থীকে ভোট দেওয়ার জন্য সহিংসতা প্রতিরোধে নির্বাচন কমিশনের পরিকল্পনা কী জানতে এসেছিলাম। বাংলাদেশে আগামী ৩০ ডিসেম্বরের নির্বাচন অবাধ, সুষ্ঠু ও অংশগ্রহণমূলক দেখতে চায় যুক্তরাষ্ট্র।
তিনি বলেন, জাতিসংঘের মহাসচিব একটা বিবৃতি দিয়েছেন। সেই দাবি আমাদেরও। তিনি বলেছেন, নির্বাচনের আগে ও পরে সকল অংশীজনের কাছে তিনি সহিংসতামুক্ত শান্তিপূর্ণ, অবাধ ও অংশগ্রহণমূলক পরিবেশ নিশ্চিত করতে বলেছেন যেন সংখ্যালঘুসহ সকল বাংলাদেশি ভোটের অধিকার প্রয়োগ করতে পারেন। সুশীল সমাজ, পর্যবেক্ষকরা যেন সম্পূর্ণভাবে নির্বাচনি প্রক্রিয়ায় সহায়তা করেন।
দেশের নিরাপত্তা বাড়ানো হচ্ছেঃ
আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনে সারাদেশে ১০ হাজার র্যাব সদস্য মোতাযয়েন করা হবে।
দেশের কোথাও যদি কেউ সহিংসতা করার দুঃসাহস দেখায় সেটি প্রতিরোধে র্যাাবের পর্যাপ্ত প্রস্তুতি রয়েছে। বৃহস্পতিবার র্যাব মিডিয়া সেন্টারে আয়োজিত জাতীয় নির্বাচনের নিরাপত্তা বিষযয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে একথা জানান র্যাব মহাপরিচালক বেনজীর আহমেদ।
র্যাব মহাপরিচালক বলেন, সারাদেশে র্যাবের ৫৭ টি ক্যাম্প করা হয়েছে, মোতায়েন থাকবে ১০ হাজার সদস্য। দেশের যেকোনো প্রান্তে যেকোনো ধরনের সহিংসতা বা অন্য জরুরি প্রয়োজনে যেতে র্যাবের দুটি হেলিকপ্টার ব্যবহার করা হবে নির্বাচন কমিশন থেকে ইতোমধ্যে দুটি হেলিকপ্টার ব্যবহারের অনুমতি নেয়া হয়েছে। এ ছাড়াও সেনাবাহিনীর দু’টি হেলিকপ্টার স্ট্যান্ডবাই থাকবে।