Bangladesh

Bangladesh gets trouble from a Chinese Bank

Bangladesh gets trouble from a Chinese Bank

Bangladesh Live News | @banglalivenews | 04 Jul 2019, 07:26 am
নিজস্ব প্রতিনিধি, ঢাকা, জুলাই ৪ : ‘খুলনা ৩৩০ মেগাওয়াট ডুয়েল ফুয়েল কম্বাইন্ড সাইকেল বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণ’ প্রকল্পের কাজ শুরু হয় ২০১৭ সালের জানুয়ারিতে। শেষ হওয়ার কথা ছিল ২০১৯ সালের জুনে। আড়াই বছরে কাজ শেষ তো হয়নি, কেবল শুরু হচ্ছে! প্রকল্পের অগ্রগতি মাত্র ১২ থেকে ১৩ শতাংশ।

এ অবস্থায় গত ১৮ জুন জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটির (একনেক) সভায় প্রকল্পটির মেয়াদ প্রাক্কলিু সময়ের চেয়ে বেশি অর্থাৎ তিন বছর বাড়িয়ে ২০২২ সালের জুন পর্যন্ত করা হয়েছে। প্রকল্প সংশ্লিষ্টরা জানান, চলতি বছরের জুনের মধ্যে এ প্রকল্পের কাজ শেষ হলে বাংলাদেশের খরচ হতো তিন হাজার ২৫৩ কোটি ৭৭ লাখ টাকা। এখন খরচ করতে হবে তিন হাজার ৯১৯ কোটি ২৬ লাখ টাকা। তাদের দাবি, চুক্তিবদ্ধ চীনা ব্যাংক ঋণ দিতে দেরি করেছে। এজন্য প্রকল্পের কাজ যথাসময়ে শেষ করা যায়নি। চীনা ব্যাংক ঋণ দিতে দেরি করায় বাংলাদেশকে বাড়তি অর্থ গচ্চা দিতে হচ্ছে। এ অর্থের পরিমাণ ৬৬৫ কোটি ৪৫ লাখ টাকা!

 

বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণের এ প্রকল্পে ঋণ দিচ্ছে এক্সপোর্ট ক্রেডিট এজেন্সির (ইসিএ) আওতায় এক্সপোর্ট-ইমপোর্ট ব্যাংক অব চায়নার দ্য জিয়াংজু শাখা। এ প্রকল্পে মধ্যস্থতাকারী হিসেবে কাজ করছে ইসিএ।

 

এ বিষয়ে প্রকল্পের প্রধান প্রকৌশলী বলেন, ‘এ প্রকল্প এতটা পিছিয়ে যাওয়ার মূল কারণ হচ্ছে, চীনের ব্যাংকের কাছ থেকে ঋণ পেতে দেরি হওয়া। ঋণ পেতে প্রায় দুই বছর লেগে গেছে। অথচ প্রকল্পের মেয়াদ হলো আড়াই বছর।’

 

প্রকল্পের মূল অনুমোদিত ডিপিপি অনুযায়ী, এক্সপোর্ট-ইমপোর্ট ব্যাংক অব চায়নার দ্য জিয়াংজু শাখার ঋণ দেয়ার কথা ছিল দুই হাজার ১২ কোটি ৯৬ লাখ টাকা। কিন্তু অতিরিক্ত ৬৬৫ কোটি ৪৫ লাখ টাকার জোগান পেতে বাংলাদেশ এখন ব্যাংকটির কাছ থেকে অতিরিক্ত ৩৫৬ কোটি ৪৫ লাখ টাকা ঋণ নেবে। অর্থাৎ চীনের ব্যাংকটির কাছ থেকে বাংলাদেশ এখন ঋণ নিচ্ছে দুই হাজার ৩৭০ কোটি ৪১ লাখ টাকা।

 

২০২২ সালের জুনে প্রকল্পের কাজ শেষ হতেই বাংলাদেশকে এ ঋণের বিপরীতে শুধু সুদই দিতে হবে ১৯৪ কোটি ২২ লাখ ৬ হাজার টাকা। অতিরিক্ত ৬৬৫ কোটি টাকার খরচ মেটাতে বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ডকে দিতে হবে ১৯৬ কোটি দুই লাখ টাকা এবং বাংলাদেশ সরকার রাজস্ব খাত থেকে দেবে ১১৩ কোটি দুই লাখ টাকা।

 

২০১৭ সালের জানুয়ারিতে প্রকল্পটি শুরু হলেও অর্থায়ন না থাকায় বস্তুতপক্ষে তেমন কোনো কাজ ছিল না। তবে প্রকল্পের আওতায় নিযুক্ত কর্মকর্তাদের ঠিকই বেতন দিতে হয়েছে। গত বছরের ডিসেম্বর পর্যন্ত বেতন বাবদ খরচ হয়েছে এক কোটি ৪৫ লাখ ১৫ হাজার টাকা।