Bangladesh
Bangladesh given direction to lead in Commonwealth programme
প্রধানমন্ত্রীর প্রেস সচিব ইহসানুল করিম কমনওয়েলথ মহাসচিবের বক্তব্যের উদ্বৃতি দিয়ে জানান- কমনওয়েলথ মহাসচিব বলেছেন, ‘কমনওয়েলথ ব্লু চার্টার এবং জলবায়ু ঝুঁকি ব্যবস্থাপনার ক্ষেত্রে বাংলাদেশের নেতৃত্ব দেয়া উচিত।’
‘কমনওয়েলথ ব্লু চার্টার’ মহাসাগর সংক্রান্ত নানা সমস্যার সমাধান এবং টেকসই মহাসাগর উন্নয়নের লক্ষ্যে কমনওয়েলথ সদস্যভুক্ত ৫৩টি সদস্য রাষ্ট্রের পারষ্পরিক সহযোগিতার ভিত্তিতে কাজ করার একটি অঙ্গীকারনামা।
প্রেস সচিব জানান, প্রধানমন্ত্রী কমনওয়েলথ মহাসচিবের প্রস্তাবে সম্মত হয়েছেন এবং বলেছেন, ‘তাঁর সরকার এ বিষয়ে কাজ করে যাচ্ছে।’ বৈঠকে প্রধানমন্ত্রী এবং কমনওয়েলথ মহাসচিব তথ্য প্রযুক্তি খাত এবং এসডিজি বাস্তবায়নে অগ্রগতি সংক্রান্ত বিষয়ে আলোচনা করেন।
এ প্রসঙ্গে প্যাট্রিসিয়া তথ্য প্রযুক্তি খাতে এবং এসডিজি (টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা) বাস্তবায়নের অগ্রগতিতে বাংলাদেশের চমকপ্রদ সাফল্যের ভুয়সী প্রশংসা করেন। তিনি বলেন, এ বছর কেনিয়ার নাইরোবীতে অনুষ্ঠেয় কমনওয়েলথ নারী সম্মেলনেও বাংলাদেশ গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করতে পারে।
প্যাট্রিসিয়া আরো বলেন, বাংলাদেশের এসডিজি বাস্তবায়নের উন্নত সংস্করণ থেকে বিভিন্ন কমনওয়েলথ সদস্য রাষ্ট্রগুলোও শিক্ষা লাভ করতে পারে। তিনি বলেন, কমনওয়েলথ’র ৫৩টি সদস্যভুক্ত রাষ্ট্রের মধ্যে ৪৯টি নিয়ে একটি ‘কন্টিনেন্টাল ফ্রি ট্রেড এরিয়া’ (উপমহাদেশীয় অবাধ বাণিজ্য এলাকা) গড়ে তোলা হবে।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানই সর্বপ্রথম বাংলাদেশ দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কর্মসূচি চালু করেন এবং বর্তমান সরকার তাঁর পদাংক অনুসরণ করেই জলবায়ু ঝুঁকি মোকাবেলার পদক্ষেপ গ্রহণ করছে।
এ বিষয়ে তাঁর সরকারের বিভিন্ন উদ্যোগ সম্পর্কেও প্যাট্রিসিয়াকে অবহিত করেন প্রধানমন্ত্রী।
শেখ হাসিনা এ সময় কমনওয়েলথকে ৫৩টি সদস্য রাষ্ট্রের একটি ‘আমব্রেলা অর্গানাইজেশন’ হিসেবে গড়ে তোলায় এর মহাসচিব প্যাট্রিসিয়ার ভূমিকার প্রশংসা করেন।
প্রধানমন্ত্রীর কন্যা সায়মা ওয়াজেদ হোসেন, মুখ্য সচিব মো.নজিবুর রহমান এবং লন্ডনে বাংলাদেশের হাইকমিশনার সাইদা মুনা তাসনীম এ সময় উপস্থিত ছিলেন।