Bangladesh

Bangladesh: Grenade Attack anniversary today

Bangladesh: Grenade Attack anniversary today

Bangladesh Live News | @banglalivenews | 21 Aug 2019, 09:19 am
নিজস্ব প্রতিনিধি, ঢাকা, আগস্ট ২১ : জাতি আজ শ্রদ্ধাবনতচিত্তে ইতিহাসের ভয়াবহতম গ্রেনেড হামলার ১৫তম বার্ষিকী পালন করছে। দেড় দশক আগে এইদিনে বঙ্গবন্ধু এভিনিউতে আওয়ামী লীগের সন্ত্রাস বিরোধী শান্তি সমাবেশে নারকীয় গ্রেনেড হামলা চালানো হয়। তখন বিএনপি-জামায়াত রাষ্ট্রীয় ক্ষমতায় ছিল।

মূলত আওয়ামীলকে নেতৃত্ব শূন্য করতে বিএনপি-জামায়াত তথা চার দলীয় জোট সরকার রাষ্টযন্ত্র ব্যবহার করে নৃশংসতম গ্রেনেড হামলা চালায়।


বর্তমান প্রধানমন্ত্রী ও তৎকালীন বিরোধী দলীয়  নেতা শেখ হাসিনা এবং আওয়ামী লীগের শীর্ষ স্থানীয় কয়েকজন নেতা সেদিন অল্পের জন্য এই ভয়াবহ হামলা থেকে বেঁচে গেলেও মহিলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বেগম আইভি রহমান ও অপর ২৪ জন নিহত হন।


এই হামলা ছিল পঁচাত্তরের ১৫ আগস্টের ধারাবাহিকতায় আরেকটি কলঙ্কজনক অধ্যায়। বারুদ আর রক্তমাখা বীভৎস রাজনৈতিক হত্যাযজ্ঞের দিন। মৃত্যু-ধ্বংস-রক্তস্নাত রাতের নারকীয় গ্রেনেড হামলার পঞ্চদশ বার্ষিকী আজ বুধবার ১৫ আগস্ট।


বিএনপি-জামায়াত জোট সরকার ক্ষমতায় থাকাকালে সভ্য জগতের এক অকল্পনীয় হামলা চালানো হয় ২০০৪ সালের এই দিনে।

গ্রেনেডের হিংস্র দানবীয় সন্ত্রাস আক্রান্ত করে মানবতাকে। রক্ত-ঝড়ের প্রচ-তায় মলিন হয়ে গিয়েছিল বাংলা বাঙালির মুখ। রাজধানীর বঙ্গবন্ধু এভিনিউয়ের আওয়ামী লীগ কার্যালয় মুহূর্তেই পরিণত হয় মৃত্যুপুরীতে। শোকাবহ রক্তাক্ত আগস্ট মাসেই আরেকটি ১৫ আগস্ট ঘটানোর লক্ষ্য থেকে ঘাতক হায়েনার দল গ্রেনেড দিয়ে রক্তস্রোতের বন্যা বইয়ে দিয়েছিল বঙ্গবন্ধু এভিনিউয়ের আওয়ামী লীগ কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনের সমাবেশস্থলে। টার্গেট ছিল এক ও অভিন্ন। বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনাসহ আওয়ামী লীগকে সম্পূর্ণ নেতৃত্বশূন্য ও মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ধ্বংস করতেই ঘাতকরা এ দানবীয় হত্যাযজ্ঞ চালায়।


জাতির সামনে আবারও স্পষ্ট হয়ে ওঠে স্বাধীনতাবিরোধী অপশক্তির একাত্তরের পরাজয়ের প্রতিশোধ স্পৃহা। বিএনপি-জামায়াত জোট ক্ষমতায় থাকার সময়ই খোদ রাজধানীতে প্রকাশ্যে চালানো হয়েছিল যুদ্ধক্ষেত্রে ব্যবহৃত মারণাস্ত্র গ্রেনেড দিয়ে এ ভয়াল ও বীভৎস হামলা। ওই সরকারের মন্ত্রী থেকে শুরু করে অনেকেই যে এ নারকীয় হামলার সঙ্গে জড়িত ছিল, তা তদন্তের মাধ্যমে জাতির সামনে স্পষ্ট হয়।


হিংস্র শ্বাপদের ভয়াল ছোবল থেকে সেদিন  নেতাকর্মীরা মানবঢাল রচনা করে বঙ্গবন্ধু কন্যা ও বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে অল্পের জন্য প্রাণে রক্ষা করতে পারলেও ওই নৃশংস হামলায় ঝড়ে পড়ে বেগম আইভি রহমানসহ ২৪ জনের তাজা প্রাণ। আহত হওয়া পাঁচ শতাধিক  নেতাকর্মীর অনেকেই ঘাতক গ্রেনেডের স্পিলিন্টারের দুর্বিষহ যন্ত্রণা নিয়ে ধীরে ধীরে এগিয়ে যাচ্ছেন মৃত্যুর দিকে। হাত-পা-চোখসহ বিভিন্ন অঙ্গপ্রত্যঙ্গ হারিয়ে দেশের অসংখ্য  নেতাকর্মী পঙ্গুত্ব বরণ করে জীবনধারণ করছেন।