Bangladesh

Bangladesh has best health system among SAARC nations

Bangladesh has best health system among SAARC nations

Bangladesh Live News | @banglalivenews | 29 Jul 2019, 12:08 am
নিজস্ব প্রতিনিধি, ঢাকা, জুলাই ২৯ : সার্কভুক্ত দেশের মধ্যে চিকিৎসাসেবায় বাংলাদেশ এগিয়ে আছে। তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ এ দাবি জানিয়ে বলেন, স্বামী পরিত্যক্তাদের জন্য ভাতার ব্যবস্থা করেছে সরকার, যা উন্নত দেশেও (ইউরোপে) নেই।

রোববার রাজধানীর সিরডাপ মিলনায়তনে মাসিক স্বাস্থ্য ব্যবস্থাপনার ওপরে প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত সাংবাদিকদের ফেলোশিপ সার্টিফিকেট ও অ্যাওয়ার্ড প্রদান অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব বলেন। মাসিক স্বাস্থ্য ব্যবস্থাপনা নিয়ে কাজ করা ঋতু প্রকল্পের জার্নালিস্ট ফেলোশিপ প্রোগ্রামের আওতায় প্রশিক্ষিত সাংবাদিকদের অবদানকে স্বীকৃতি দিতে পুরস্কার ও সার্টিফিকেট বিতরণী অনুষ্ঠানের আয়োজন করে রেড অ্যারেঞ্জ মিডিয়া ও কমিউনিকেশনস।


মন্ত্রী বলেন, ‘দেশ উন্নত হয়েছে ঠিকই, তবে জাতি গঠনে আমরা কতটুকু উন্নত সেটা ভাবার বিষয়। এটা ঠিক যে আমাদের রাষ্ট্রের উন্নয়ন হচ্ছে, তবে সমাজের কতটা উন্নয়ন হচ্ছে সে ব্যাপারে আমার নিজেরও কিছুটা সংশয় রয়েছে। বস্তুগত উন্নয়নের পাশাপাশি সামাজিক উন্নয়ন এখন সমান জরুরি। এ বিষয়ে সাংবাদিকদের ভূমিকা সবচেয়ে বেশি।’


তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশের মানুষের গড় আয়ু ভারত পাকিস্তানের চেয়ে বেশি। পাকিস্তানে ৬৭ বছর, ভারতে ৬৯ এবং বাংলাদেশে ৭৩ বছর। অন্য দেশের তুলনায় বাংলাদেশের স্বাস্থ্যসেবা যথেষ্ট ভালো। এ সরকার দেশজুড়ে কমিউনিটি ক্লিনিকের মাধ্যমে ৩০ ধরনের ওখুধ দিয়ে মানুষকে সচেতন করছে।’


মাসিক স্বাস্থ্য ব্যবস্থাপনা, জেন্ডার, যৌন ও প্রজনন স্বাস্থ্য এবং অধিকার বিষয়ে দেশব্যাপী সচেতনতা ও পলিসি অ্যাডভোকেসি মৃষ্টিতে ঋতুর জার্নালিস্ট ফেলোশিপ প্রোগ্রামের সাংবাদিকরা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছেন বলেও তিনি মন্তব্য করেন।
অনুষ্ঠানে উপস্থিত গণমাধ্যমকর্মীদের উদ্দেশ করে তথ্যমন্ত্রী বলেন, ‘প্রতিটি মানুষ গণমাধ্যমের ওপর নির্ভরশীল। এখন এর সঙ্গে যোগ হয়েছে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমও।’


হাছান মাহমুদ বলেন, একটা সময় আমাদের দেশে অটিস্টিক শিশুরা ঘরের কোণায় পড়ে থাকতো। তাদের নিয়েও প্রধানমন্ত্রী ও তার কন্যা কাজ শুরু করেছেন। ফলে ওইসব শিশু এখন বেরিয়ে এসেছে। এটা প্রমাণিত হয়েছে, তারা আমাদের সমাজের বোঝা নয়।’


অনুসন্ধানী প্রতিবেদনের বিষয়ে মন্ত্রী বলেন, ‘আমি নিজেও অনুসন্ধানী প্রতিবেদন পড়ি। প্রেস ইনস্টিটিউটকেও (পিআইবি) বলে রেখেছি যারা অনুসন্ধানী সাংবাদিকতা করেন তাদের পুরস্কৃত করতে। তাহলে আমরা অনেক সমস্যা সম্পর্কে জানতে পারব, এগিয়ে যেতে পারব।’