Bangladesh
Bangladesh Milk Sale: Protest in Pabna
মানববন্ধনে খামারি হারুন অর রশীদ বলেন, এ উপজেলায় প্রতিদিন গড়ে ৫০ থেকে ৬০ হাজার লিটার দুধ উৎপাদন হয়। যা দুগ্ধ সংগ্রহকারী প্রতিষ্ঠানগুলোর কাছে আমরা বিক্রি করে থাকি। কিন্তু তারা আর দুধ নিচ্ছে না। তাহলে আমরা দুধ নিয়ে কোথায় যাবো?
আরেক খামারি আলহাজ হোসেন বলেন, আমরা এনজিও থেকে ঋণ নিয়ে গরুর খামার করেছি, কিন্তু আজ দুধ বিক্রি করার জায়গা নেই। ঋণের কিস্তি দিতে পারছি না।
এ সময় খামারিদের হাতে ছিল বিভিন্ন রঙের ফেস্টুন যাতে লেখা ছিল ‘দুধ সংগ্রহ বন্ধ কেন? জবাব চাই দিতে হবে’। ‘দুধ সংগ্রহ করতে হবে’। ‘নিরীহ দুগ্ধখামারিদের আজ সংকট কেন? জবাব চাই।’ মানববন্ধন শেষে তারা রাস্তায় দুধ ঢেলে দিয়ে দুধ সংগ্রহ বন্ধের তীব্র প্রতিবাদ জানান।
সংশ্লিষ্ট সূত্র মতে, স্বাধীনতার পর বৃহত্তর পাবনার বেড়া, সাঁথিয়া, ফরিদপুর, ভাঙ্গুরা, শাহজাদপুরে ব্যক্তিগত পর্যায়ে এবং বাণিজ্যিকভাবে অনেকগুলো দুগ্ধ উৎপাদন খামার গড়ে ওঠেছে। দুগ্ধ উৎপাদন এবং ব্যাপক অর্থনৈতিক কর্মকা-ের মাধ্যমে এ অঞ্চলে কর্মসংস্থানের ব্যাপক সুযোগ সৃষ্টি হয়। এসব এলাকা এখন দেশের অন্যতম প্রধান দুগ্ধ উৎপাদনকারী এলাকা হিসেবে পরিচিত।
বাংলাদেশ দুগ্ধ উৎপাদনকারী সমবায় ইউনিয়নের দেয়া তথ্য মতে, পাবনা জেলায় প্রতিদিন প্রায় ৪ লাখ লিটারের বেশি দুধ উৎপাদিত হয়। এর মধ্যে ৭০ থেকে ৮৫ ভাগ লিটার দুধ প্রাণ, মিল্কভিটা, আফতাব, আকিজ, ব্রাকসহ বিভিন্ন সরকারি-বেসরকারি দুগ্ধ প্রক্রিয়াজাতকারী প্রতিষ্ঠান কিনে নেয়। বেসরকারি বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান দুধ কিনে প্রক্রিয়াজাত করে রাজধানীতে পাঠাতে এসব এলাকায় বেশ কয়েকটি সেন্টার স্থাপন করেছে। এসব প্রতিষ্ঠানের পাশাপাশি স্থানীয় ঘোষরা প্রতিদিন ৩০ থেকে ৫০ হাজার লিটার দুধ কিনে থাকে। বাদবাকি দুধ খুচরা বেচাকেনা হয়।
সূত্র মতে, সাঁথিয়ায় প্রতিদিন ১ লাখ ৭ হাজার লিটার দুধ উৎপাদন হয়ে থাকে। ফরিদপুর থেকে প্রতিদিন দেড় লাখ লিটার দুধ উৎপাদন হয়ে থাকে। বেড়াতেও প্রতিদিন কমপক্ষে এক লাখ লিটার দুধ উৎপাদন হয়ে থাকে। সুজানগর থেকেও এখন বিপুল পরিমাণ দুধ উৎপাদন হচ্ছে।