Bangladesh
Bangladesh not suffering from food deficit, say experts
বাংলাদেশ ধান গবেষণা ইনস্টিটিউট (ব্রি) বলছে, বাংলাদেশে আপাতত খাদ্যঘাটতির কোনো শঙ্কা নেই। তাদের গবেষণায় দেখানো হয়েছে, চালের উৎপাদন গত বছরের তুলনায় প্রায় ৩.৫৪ ভাগ বেড়েছে। গত বোরো ও আমন মৌসুমের উদ্বৃত্ত উৎপাদন থেকে হিসাব করে জুন পর্যন্ত দেশের ভেতরে ২০.৩১ মিলিয়ন টন চাল ছিল। আগামী নভেম্বর পর্যন্ত চাহিদা মেটানোর পরও ৫.৫৫ মিলিয়ন টন চাল দেশের ভেতরে উদ্বৃত্ত থাকবে। নভেম্বর পর্যন্ত ১৬.৫০ কোটি মানুষের চাহিদা মেটানোর পরও ৩৬-৭৮ দিনের চাল উদ্বৃত্ত থাকবে।
নভেম্বরের মধ্যে দেশের ফুড বাস্কেটে নতুনভাবে আউশ ও আমনের উৎপাদন যুক্ত হবে। ফলে বাংলাদেশে আপাতত খাদ্যঘাটতির কোনো শঙ্কা নেই— বলছে ব্রি। রোববার (৯ আগস্ট) সকালে ব্রি’র উদ্যোগে অনুষ্ঠিত চলমান করোনা পরিস্থিতিতে বাংলাদেশের খাদ্যনিরাপত্তা এবং খাদ্য সংকটের শঙ্কা শীর্ষক এক ওয়েবিনারে এই গবেষণা তথ্য প্রকাশ করা হয়।
প্রধান অতিথি হিসেবে এতে উপস্থিত ছিলেন কৃষিমন্ত্রী ড. মো. আব্দুর রাজ্জাক। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদার। সম্মানিত অতিথি ও মুখ্য আলোচক ছিলেন পরিকল্পনা কমিশনের সদস্য ও সিনিয়র সচিব (সাধারণ অর্থনীতি বিভাগ) ড. শামসুল আলম।
খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদার বলেন, খাদ্যশস্য আমদানির আগে কৃষকের স্বার্থ ও ভোক্তার স্বার্থ বিবেচনায় রাখতে হবে। কারণ, কৃষক না বাঁচলে দেশ বাঁচবে না। বিষয়টি অনুধাবন করতে হবে আগে। তিনি আরও বলেন, খাদ্য মজুতের বিষয়টি আগে থেকেই ভালোভাবে সার্ভে করে দেখতে হবে; যাতে দুর্যোগকালীন যথার্থ ব্যবস্থা গ্রহণ করা যায়। এক্ষেত্রে প্রয়োজন হলে খাদ্যশস্য আমদানিও করা হবে।
কৃষিমন্ত্রী আব্দুর রাজ্জাক বলেন, চলতি মৌসুমে বন্যাপীড়িত অঞ্চলগুলোতে খাদ্যের আবাদে কতটা ক্ষতি হয়েছে তা তাৎক্ষণিক পর্যালোচনা করে খাদ্য আমদানির বিষয়ে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে আলোচনা করে সিদ্ধান্ত নেয়া হবে। মন্ত্রী বলেন, চালের বাজারদর কৃষক ও ভোক্তার স্বার্থে যথাযথ রাখতে সরকার, কৃষক ও মিলার মালিকদের সঙ্গে যৌথভাবে উদ্যোগ নেয়ার এখনই সময়।
কৃষি মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. নাসিরুজ্জামানের সভাপতিত্বে আলোচনায় আরও অংশ নেন খাদ্য মন্ত্রণালয়ের সচিব মোছাম্মৎ নাজমানারা খানুম, কৃষি মন্ত্রণালয়ের বার্ষিক কর্মসম্পাদন ব্যবস্থাপনা সংক্রান্ত বিশেষজ্ঞ পুলের সদস্য ড. আব্দুস সাত্তার মণ্ডল, এমিরিটাস অধ্যাপক ড. এস এম নাজমুল ইসলাম, কৃষিবিদ মো. হামিদুর রহমান এবং বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রফেসর ড. লুৎফুল হাসান।