Bangladesh

Bangladesh observes Bangabandhu's medal winning anniversary

Bangladesh observes Bangabandhu's medal winning anniversary

Bangladesh Live News | @banglalivenews | 22 May 2019, 09:29 pm
নিজস্ব প্রতিনিধি, ঢাকা, মে ২৩ : আজ ২৩ মে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ‘জুলিও ক্যুরি’ শান্তি পদক প্রাপ্তির ৪৬তম বার্ষিকী।

 গণতন্ত্র, স্বাধীনতা ও শান্তি আন্দোলনে অবদান রাখায় ১৯৭৩ সালের এই দিনে বিশ্ব শান্তি পরিষদ বঙ্গবন্ধুকে এ পুরস্করে ভূষিত করে। এ সম্মান পাওয়ার পর বঙ্গবন্ধু নিজেই বলেছিলেন, ‘এ সম্মান কোন ব্যক্তি বিশেষের জন্য নয়। এ সম্মান বাংলাদেশের স্বাধীনতা সংগ্রামে আত্মদানকারী শহীদদের, স্বাধীনতা সংগ্রামের বীর সেনানীদের। জুলিও ক্যুরি শান্তিপদক সমগ্র বাঙালি জাতির।’


দিবসটি উপলক্ষে বিভিন্ন সামাজিক, রাজনৈতিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠন বিস্তারিত কর্মসূচি গ্রহণ করেছে । কর্মসূচির মধ্যে রয়েছে সেমিনার, আলোচনা সভা এবং পদক বিুরণ। ‘জুলিও ক্যুরি’ বঙ্গবন্ধু শান্তি সংসদ আজ বিকাল ৪টায় ইঞ্জিনিয়ার্স ইনিস্টিটিউট মিলনায়তনে আলোচনা সভা এবং বঙ্গবন্ধু শান্তি পদক বিতরণ অনুষ্ঠানের আয়োজন করেছে । তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ প্রধান অতিথি হিসেবে এ পদক বিতরণ করবেন। ‘জুলিও-ক্যুরি’ পদক প্রাপ্তির ৪৬ বছর পূর্তি উপলক্ষে রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ এবং প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পৃথক বাণী দিয়েছেন।


রাষ্ট্রপতি তাঁর বাণীতে বলেন, বিশ্বশান্তি পরিষদের শান্তি পদক কমিটি জাতির পিতার কর্মের স্বীকৃতিস্বরূপ। এটি ছিল বিশ্ব শান্তি প্রতিষ্ঠায় তাঁর অবদানের আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি। বাংলাদেশের জন্য প্রথম আন্তর্জাতিক সম্মান।


তিনি বলেন, জাতির পিতা ছিলেন বিশ্বের মুক্তিকামী, নিপীড়িত, মেহনতি মানুষের অবিসংবাদিত নেতা। শান্তি, সাম্য, স্বাধীনতা ও গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার জন্য তিনি আজীবন সংগ্রাম করেছেন। জেল, জুলুম, অত্যাচার, নির্যাতন সহ্য করেছেন।


আবদুল হামিদ বলেন, তাঁর অতুলনীয় সাংগঠনিক ক্ষমতা, রাষ্ট্রনায়কোচিত প্রজ্ঞা, মানবিক মূল্যবোধ, ঐন্দ্রজালিক ব্যক্তিত্ব বাঙালি জাতিকে স্বাধীনতা সংগ্রামের লক্ষ্যে ঐক্যবদ্ধ করে। তাঁর নির্দেশে বাঙালি জাতি মুক্তিযুদ্ধে ঝাঁপিয়ে পড়ে, অভ্যুদয় ঘটে স্বাধীন বাংলাদেশের।


প্রধানমন্ত্রী বলেন, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ‘সকলের সাথে বন্ধুত্ব, কারও প্রতি বৈরিতা নয়’ এবং ‘সকল বিরোধের শান্তিপূর্ণ সমাধান’কে পররাষ্ট্রনীতির মূলমন্ত্র হিসেবে গ্রহণ করেছিলেন। আমরা যখনই সরকার পরিচালনায় এসেছি, বিশ্ব শান্তি প্রতিষ্ঠায় জাতির পিতার নীতি ও আদর্শকে অনতসরণ করেছি। তিনি বলেন, অসাম্প্রদায়িক, গণতান্ত্রিক এবং প্রগতিশীল আদর্শকে শক্ত ভিত্তির ওপর প্রতিষ্ঠিত করেছি। আইনের শাসনের প্রতি আমাদের দৃঢ় অঙ্গীকার প্রতিবেশী দেশগুলোর সঙ্গে বিরোধ নিষ্পত্তিতে সাহায্য করেছে।