Bangladesh
Bangladesh observes Jail Killing Day
পচাঁত্তরের পনেরই আগস্ট জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে সপরিবারে হত্যার পর দ্বিতীয় কলংকজনক অধ্যায় হচ্ছে জাতীয় চার নেতা হত্যার দিনটি। পনেরই আগষ্টের নির্মম হত্যাকান্ডের পর তিন মাসেরও কম সময়ের মধ্যে মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম বীর সেনানী ও চার জাতীয় নেতা সৈয়দ নজরুল ইসলাম, তাজউদ্দিন আহমেদ, এএইচএম কামরুজ্জামান এবং ক্যাপ্টেন এম মনসুর আলীকে এই দিনে ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারের অভ্যন্তরে নির্মমভাবে হত্যা করা হয়। রাষ্ট্রীয়ভাবে এবং আওয়ামী লীগসহ বিভিন্ন দল-সংগঠনের উদ্যোগে সারাদেশে শোকাবহ এই দিবসটি পালিত হয়েছে।
রোববার সূর্যোদয়ের সাথে সাথে বঙ্গবন্ধু ভবন ও আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয়সহ সারাদেশে দলের শাখা কার্যালয়ে জাতীয় ও দলীয় পতাকা অর্ধনমিতকরণ এবং কালো পতাকা উত্তোলন ও কালো ব্যাজ ধারণের মধ্যদিয়ে আওয়ামী লীগের কর্মসূচি শুরু হয়। এ দিন বিকাল ৩টায় রাজধানীর কৃষিবিদ ইনস্টিটিউশন মিলনায়তনে স্মরণসভা অনুষ্ঠিত হয়। এতে সভাপতিত্ব করেন প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা।
দিবসটি উপলক্ষ্যে সকাল ৭টায় আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ধানমন্ডি ৩২ নম্বরে বঙ্গবন্ধু ভবনে সামনে রক্ষিত জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতিকৃতিতে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন। শ্রদ্ধার্ঘ্য অর্পণের পরে মহান জাতীয় নেতৃবৃন্দের সম্মানে তিনি সেখানে কিছুক্ষণ নীরবে দাঁড়িয়ে থাকেন। পরে আওয়ামী লীগের সভাপতি হিসেবে শেখ হাসিনা দলের কেন্দ্রীয় নেতা-কর্মীদের নিয়ে জাতির পিতার প্রতিকৃতিতে শ্রদ্ধাঞ্জলী অর্পণ করেন।
আওয়ামী যুবলীগ, ছাত্রলীগ, মহিলা আওয়ামী লীগ, শ্রমিক লীগ, কৃষক লীগ, যুব মহিলা লীগ ও স্বেচ্ছাসেবক লীগসহ আওয়ামী লীগের সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীদের পাশাপাশি অন্যান্য সামাজিক সাংস্কৃতিক সংগঠনও বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ করে বঙ্গবন্ধু ও চার নেতার প্রতি শ্রদ্ধা জানায়।
জাতীয় চারনেতার মধ্যে এ এইচ এম কামরুজ্জানকে রাজশাহীর কাদিরগঞ্জে তার পারিবারিক কবরস্থানে দাফন করা হয়। দিবসটি উপলক্ষে সেখানেও অনুরূপ কর্মসূচি পালিত হয়।
এছাড়াও জেল হত্যার ঘটনায় নিহত ক্যাপ্টেন এম মনসুর আলীসহ অন্য শহীদদের রুহের মাগফেরাত কামনায় মিলাদ ও দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়েছে।
পচাঁত্তর সালের এই দিনে মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম বীর সেনানী ও চার জাতীয় নেতা সৈয়দ নজরুল ইসলাম, তাজউদ্দিন আহমেদ, এএইচএম কামারুজ্জামান এবং ক্যাপ্টেন মনসুর আলীকে ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারের অভ্যন্তরে নির্মমভাবে হত্যা করা হয়।