Bangladesh
Bangladesh remembers Maolana
কর্মসূচির মধ্যে রয়েছে টাঙ্গাইলের সন্তোষে তার মাজারে পুষ্পস্তবক অর্পণ করে শ্রদ্ধা নিবেদন , আলোচনা সভা এবং দোয়া মাহফিল। স্থানীয় প্রশাসন, মাওলানা ভাসানী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়, আওয়ামী লীগ, বিএনপি, জাতীয় পার্টি, কৃষক শ্রমিক জনতা লীগসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক দল, বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠন এ উপলক্ষে পৃথক কর্মসূচি গ্রহন করেছে।
১৮৮০ সালের ১২ ডিসেম্বর সিরাজগঞ্জের ধানগড়া গ্রামে মওলানা ভাসানীর জন্ম। সিরাজগঞ্জে জন্ম হলেও মওলানা ভাসানী তার জীবনের সিংহভাগই কাটিয়েছেন টাঙ্গাইলের সন্তোষে। তিনি কৈশোর-যৌবন থেকেই রাজনীতির সাথে জড়িত ছিলেন। বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধের সময় তিনি প্রবাসী সরকারের উপদেষ্টা ছিলেন।
এ উপলক্ষে এক বাণীতে রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ বলেছেন, দেশের স্বাধীনতা সংগ্রামে মওলানা আব্দুল হামিদ খান ভাসানী অবিস্মরণীয় ভূমিকা পালন করেছেন। তিনি বলেন, মওলানা আব্দুল হামিদ খান ভাসানী ভারতীয় উপমহাদেশের রাজনীতিতে এক অবিস্মরণীয় নাম। গ্রামভিত্তিক এবং ঔপনিবেশিক শাসনের বিরুদ্ধে ছিল তাঁর রাজনীতি। তাঁর নেতৃত্বের ভিত্তি ছিল সমাজে খেটে খাওয়া মেহনতি মানুষ, কৃষক-শ্রমিক-সাধারণ জনগণ। কৃষক-শ্রমিক ও সাধারণ জনগণের অধিকার এবং স্বার্থ রক্ষার জন্য তিনি আজীবন সংগ্রাম করে গেছেন।
পৃথক এক বাণীতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, মজলুম জননেতা মওলানা আব্দুল হামিদ খান ভাসানী বাঙালি জাতিসত্তার বিকাশে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছেন। তিনি বলেন, ‘জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সঙ্গে তাঁর ছিল আদর্শিক ঐক্য ও রাজনৈতিক ঘনিষ্ঠতা। শোষণ, বঞ্চনাহীন ও প্রগতিশীল, গণতান্ত্রিক এবং অসাম্প্রদায়িক বাংলাদেশ গঠনের জন্য তিনি আজীবন সংগ্রাম করে গেছেন।’
ভাসানীর মৃত্যুবার্ষিকীতে তিনি তাঁর স্মৃতির প্রতি গভীর শ্রদ্ধা জানিয়ে বলেন, মেহনতি মানুষের অধিকার প্রতিষ্ঠায় মওলানা ভাসানী আজীবন সংগ্রাম করেছেন। পাকিস্তানি ঔপনিবেশিক শাসকদের অণ্যাচার-নিপীড়নের বিরুদ্ধে তিনি ছিলেন সোচ্চার ও উচ্চকণ্ঠ।