Bangladesh

Bangladesh to celebrate Eid tomorrow

Bangladesh to celebrate Eid tomorrow

Bangladesh Live News | @banglalivenews | 03 Jun 2019, 11:55 pm
নিজস্ব প্রতিনিধি, ঢাকা, জুন ৪ : এক মাস সিয়াম সাধনার পর খুশির ঈদ সমাগত। আজ চাঁদ দেখা গেলে কাল সারা দেশে উদযাপিত হবে মুসলমানদের বৃহত্তম ধর্মীয় উৎসব ঈদুল ফিতর। এবারের পবিত্র রমজান মাস ২৯ দিনের হলে আজ মঙ্গলবার চাঁদ দেখা যাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।

সে ক্ষেত্রে আগামীকাল সারা দেশে ঈদুল ফিতর উদযাপিত হবে। আর রমজান ৩০ দিনের হলে বুধবার চাঁদ দেখা না গেলেও বৃহস্পতিবার ঈদ হবে। এ বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেয়ার জন্য জাতীয় চাঁদ দেখা কমিটি আজ সন্ধ্যায় ইসলামিক ফাউন্ডেশনের বায়তুল মোকাররম সভাকক্ষে বৈঠকে বসবে। এ বৈঠকেই চূড়ান্ত হবে ঈদ কাল না পরশু হবে।


পবিত্র ঈদুল ফিতর উপলক্ষে দেশের প্রায় প্রতিটি ঘরে প্রস্তুতি সম্পন্ন হয়েছে। সাধ্যমতো সব পরিবারই নতুন জামা-কাপড় কিনেছে। খাবার তৈরির জন্য কেনা হয়েছে সেমাই, চিনি, দুধসহ সুস্বাদু খাদ্যসামগ্রী। ধর্মপ্রাণ মুসলমানরা ঈদের আগে দরিদ্র লোকদের ফিতরা-জাকাত দিয়ে থাকেন। এবারের সর্বনিম্ন ফিতরা নির্ধারণ করা হয়েছে ৭০ টাকা। ইসলামের বিধান অনুযায়ী ঈদের জামাতের আগেই ফিতরা পরিশোধ কওে দেয়া উত্তম।


ইতিমধ্যে রাজধানী ঢাকাসহ সারা দেশে ঈদের জামাতের সব প্রস্তুতি সম্পন্ন হয়েছে। আবহাওয়া অনুকূলে থাকলে রাজধানীতে ঈদের প্রধান জামাত অনুষ্ঠিত হবে সকাল সাড়ে ৮টায় সুপ্রিমকোর্ট প্রাঙ্গণে জাতীয় ঈদগাহে। ঈদগাহের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে র‌্যাব ও পুলিশসহ আইনশৃংখলা বাহিনীর সদস্যরা সার্বক্ষণিক নজরদারি বজায় রাখবেন। সাদা পোশাকে র‌্যাব এবং পুলিশ সদস্যরা তৎপর থাকবেন। ঢাকা উত্তর ও দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের ব্যবস্থাপনায় মহানগরীর ৯৩টি ওয়ার্ডে প্রায় ৫শ; মাঠে ঈদের জামাত অনুষ্ঠিত হবে। এছাড়া ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় খেলার মাঠে এবং জাতীয় সংসদ ভবনে দক্ষিণ প্লাজায় আরও দুটি পৃথক ঈদের জামাত অনুষ্ঠিত হবে। প্রতি বছরের মতো এবারও কিশোরগঞ্জের শোলাকিয়ায় সর্ববৃহৎ ঈদের জামাত অনুষ্ঠিত হবে। ইতিমধ্যে সেখানে ঈদের জামাতের সব প্রস্তুতি সম্পন্ন হয়েছে।


ইতিমধ্যে রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পবিত্র ঈদুল ফিতর উপলক্ষে আজ পৃথক বাণীতে দেশবাসীকে শুভেচ্ছা জানিয়েছেন।

 

ঈদের দিন সরকারি, আধাসরকারি ও স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠানসমূহের ভবনে জাতীয় পুাকা উত্তোলন করা হবে।

 

বনানীর ঢাকা গেট থেকে বঙ্গভবন পর্যন্ত প্রধান সড়ক এবং সড়ক দ্বীপসমূহে জাতীয় পতাকা এবং বাংলা ও আরবিতে ঈদ মোবারক লেখা ব্যানার ও ফেস্টুন দিয়ে সজ্জিত করা হবে। রাতে গুরুত্বপূর্ণ সরকারি ভবনসমূহে আলোকসজ্জা করা হবে।