Bangladesh
Bangladesh to solve Rohingya crisis through diplomacy
এতে বক্তব্য রাখেন মালেশিয়ার সাবেক পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. সাঈদ হামিদ আলবার, ঢাকায় নিযুক্ত মার্কিন রাষ্ট্রদূত আর্ল রবার্ট মিলার, কানাডিয়ান হাইকমিশনার বেনোইট প্রেফোনটাইনি, সাবেক পররাষ্ট্র সচিব ও রাষ্ট্রদূত শহীদুল হক এবং বর্তমান পররাষ্ট্র সচিব মাসুদ বিন মোমেন।
সঞ্চালনা করেন নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ের সহকারী অধ্যাপক ইশরাত জাহান সুলতানা। এতে সমাপনী বক্তব্য রাখেন নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক আতিকুল ইসলাম।
‘রোহিঙ্গা সমস্যা: পশ্চিমা, এশিয়ান এবং দ্বিপক্ষীয় প্রসঙ্গ’ শীর্ষক এ ওয়েবিনারে মার্কিন রাষ্ট্রদূত আর্ল রবার্ট মিলার সমস্যার সমাধান হবে আশাবাদ ব্যক্ত করে বলেন, রোহিঙ্গা ক্যাম্পে গেলে একজন মানুষের হৃদয় ভেঙে যাবে তাদের উপর বার্মিজ বাহিনীর বর্বরতা দেখে। তবুও আমরা আশা রাখছি কূটনৈতিক পদ্ধতিতেই এ সমস্যার সমাধান হবে। আর এই পরিস্থিতিতে বাংলাদেশ একা নয়। আমাদের সবার দায়িত্ব আছে।
সাবেক পররাষ্ট্র সচিব শহীদুল হক বলেন, বাংলাদেশ সব সময় মিয়ানমারকে সমর্থন করেছে। সেই ২০১৪ সাল থেকে জাতিসংঘের যেকোনো রেজ্যুলেশনে সব সময় মিয়ানমারের পক্ষে বাংলাদেশ সমর্থন দিয়েছে। ত্রিপক্ষীয় যেকোনো সমস্যায় বাংলাদেশ দ্বিপক্ষীয় আলোচনার মাধ্যমে সমাধানের পথ খুঁজেছে। আগেও দু’বার রোহিঙ্গা ইস্যুতে এই পদ্ধতি সফল হয়েছে। কিন্তু এবার হয়নি। মিয়ানমার শুরু থেকেই সময়ক্ষেপণ করে আসছে। আমাদের প্রধানমন্ত্রী মিয়ানমারের নেত্রী অং সান সুচি কে দু’বার বাংলাদেশ সফরের আমন্ত্রণ জানিয়েছিলেন। কিন্তু তিনি আসেননি। তারপরেও বাংলাদেশকে কূটনৈতিক পদ্ধতিতে এ সমস্যা সমাধানে কাজ করে যেতে হবে।
কানাডিয়ান হাইকমিশনার বেনোইট প্রেফোনটাইনি বলেন, রোহিঙ্গা সমস্যা সমাধানে নিজেদের অবস্থান থেকে কাজ করে যাচ্ছে কানাডা সরকার। এক্ষেত্রে যে বিষয়গুলো প্রাধান্য দেওয়া হচ্ছে তার মধ্যে অন্যতম হলো মানবিক সমস্যা সমাধানে অবদান রাখা, মিয়ানমারের ওপর চাপ বজায় রাখা, তাদের জবাবদিহিতার আওতায় আনা ও রোহিঙ্গাদের কণ্ঠ প্রসারের সুযোগ করে দেওয়া।
মিয়ানমারের প্রতি বাংলাদেশ সব সময় প্রতিবেশীসুলভ আচরণ করে আসছে উল্লেখ করে বাংলাদেশের পররাষ্ট্র সচিব মাসুদ বিন মোমেন বলেন, কঠিন যে বাস্তবতা আমাদের মনে রাখতে হবে সেটি হচ্ছে মিয়ানমার আমাদের প্রতিবেশী। সে দিক থেকে বাংলাদেশ মিয়ানমারের প্রতি সব সময় এক আদর্শ প্রতিবেশীর মতো আচরণ করে এসেছে।