Bangladesh

Bangladeshi girl and her tale at the hands of Saudi
Amirul Momenin

Bangladeshi girl and her tale at the hands of Saudi

Bangladesh Live News | @banglalivenews | 07 Dec 2019, 07:29 am
নিজস্ব প্রতিনিধি, ঢাকা, ডিসেম্বর ৭ : সৌদি আরবে বাংলাদেশি গৃহকর্মীদের যৌন ও শারীরিক নির্যাতনের ঘটনা অহরহ ঘটছে। নির্যাতনের শিকার হয়ে সৌদি আরব থেকে বাঁচার আকুতি জানিয়ে ভিডিও বার্তা পাঠানোর পর কয়েকজনকে দেশে ফিরিয়ে আনা হয়েছে। ইতোমধ্যে নির্যাতনের শিকার হয়ে অনেক নারী দেশে ফিরেছেন।

বাংলাদেশ থেকে সৌদি আরবে অভিবাসী শ্রমিক হিসেবে কাজ করতে যাওয়া শতাধিক শ্রমিক কয়েকদিন আগে বাংলাদেশে ফেরত এসেছেন; যাদের ৮১ জনই নারী। শুধু ২০১৮ সালেই সৌদি আরব থেকে ১০ হাজারের বেশি শ্রমিক বাংলাদেশে ফেরত এসেছেন। শারীরিক সম্পর্কে রাজি না হওয়ায় সৌদিতে গৃহকর্মীকে নির্যাতনের অভিযোগ অনেকের।


এদের মধ্যে একজন পারুল আক্তার (ছদ্মনাম)। মৌলভীবাজারের কমলগঞ্জ উপজেলার আদমপুর ইউনিয়নের বনগাঁও গ্রামের বাসিন্দা পারুল। সংসারে সচ্ছলতা ফেরাতে বিয়ের সাত মাসের মাথায় স্থানীয় আদম ব্যবসায়ী মোস্তফা কামালের প্রলোভনে পড়ে গত ২৮ এপ্রিল ঢাকার ফকিরাপুলের সৌদিয়া রিক্রুটিং এজেন্সির মাধ্যমে গৃহকর্মী হিসেবে সৌদির দাম্মাম শহরে যান পারুল।


সেখানে যাওয়ার পর গৃহকর্মীর কাজ না দিয়ে যৌনকর্মী হিসেবে তাকে ব্যবহার করা হয়। দেশে ফিরতে চাইলে তার ওপর নেমে আসে শারীরিক নির্যাতন। নির্যাতনের একপর্যায়ে সৌদির মালিক জানান চার লাখ টাকার বিনিময়ে যৌনকর্মী হিসেবে পারুলকে কিনে নিয়েছেন। অনেক কাকুতি-মিনতি ও সৌদি মালিকের হাত-পায়ে ধরেও নিজের সম্ভ্রম বাঁচাতে পারেননি পারুল। একাধিক জনের সঙ্গে শারীরিক সম্পর্কে রাজি না হলে নির্যাতনের অংশ হিসেবে বুকে ও গোপনাঙ্গে সিগারেটের ছ্যাঁকা দেয়া হয় তার।


পাশাপাশি বৈদ্যুতিক তার দিয়ে তার শরীরের বিভিন্ন স্থানে মারধর করা হয়। শারীরিক ও মানসিক নির্যাতনে জ্ঞান হারান পারুল। এরই মধ্যে একদিন পালিয়ে সৌদি পুলিশের সহায়তায় হাসপাতালে ভর্তি হন। হাসপাতাল থেকে নির্যাতনের কিছু ছবি ও ভিডিও স্বামী ও স্বজনদের কাছে গোপনে পাঠিয়ে দেন তিনি।


ওসব ছবি ও ভিডিও দেখে পারুলকে দেশে ফিরিয়ে আনার জন্য আদম ব্যবসায়ী মোস্তফা কামালকে চাপ দেন স্বজনরা। সেই সঙ্গে বিষয়টি পুলিশকে জানানো হয়। পরে কমলগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাকে বিষয়টি জানালে ছয় মাস ২৬ দিন পর ২৬ নভেম্বর পারুলকে বাংলাদেশে ফিরিয়ে আনা হয়।


পারুলের মা বলেন, গত ২৬ নভেম্বর মেয়েকে দেশে ফিরিয়ে আনা হয়। দেশে ফিরে সৌদিতে ঘটে যাওয়া নির্যাতনের বর্ণনা দিতে গিয়ে জ্ঞান হারায় মেয়ে। এরপর তাকে শ্রীমঙ্গলের মুক্তি মেডিকেয়ারে ভর্তি করা হয়। ভালো মেয়ে বিদেশে গিয়ে এখন মৃত্যুর মুখে।