Bangladesh
খিলক্ষেতের নিকুঞ্জ এলাকা গ্রেপ্তার দুই সন্দেহভাজন জঙ্গি
রাত সাড়ে ১১টার দিকে এই দুই ব্যাক্তিকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।
যে ব্যাক্তিরা গ্রেপ্তার হয়েছেন তাদের পরিচয় হল নাঈম আহমেদ ওরফে আনাস ওরফে আবু হামজা ওরফে আরিশা কুনিয়া এবং আনোয়ার হোসেন।
গ্রেপ্তার ব্যাক্তিদের কাছ থেকে ৩০টি ডেটোনেটর ও উগ্রবাদী মতাদর্শের কিছু বই পাওয়া গেছে, জানিয়েছেন পুলিশ।
অন্যদিকে, মিরপুরের মাজার রোডের অবস্থিত 'জঙ্গি আস্তানায়' শেষ হয়েছে র্যাবের অভিযান।
অভিযান শেষে, সেই আস্তানা থেকে বিপুল সংখ্যক বিস্ফোরক উদ্ধার করেছে র্যাব, জানিয়েছেন এক কর্মকর্তা।
পাঁচ দিনে ধরে ভবনটিতে অভিযান চলেছে।
র্যাবের আইন ও গণমাধ্যম শাখার পরিচালক মুফতি মাহমুদ খান আজ সাংবাদিকদের এই অভিযান শেষ হওয়ার বিষয় জানিয়েছেন।
সোমবার থেকে এই অভিযান চলছিল।
অভিযানের বিষয় খান সাংবাদিকদের জানানঃ " আমরা সেখান থেকে ১৭টি বড় আকৃতির বোমা, ৫০টি ছোট আকৃতির বোমা, ৩০টি গ্রেনেড, ১০০টি দেশীয় অস্ত্র, ১০ কেজি গান পাউডার, তিন কেজি সালফার, ১৫ কেজি স্প্লিন্টারসহ বেশ কিছু সরঞ্জাম উদ্ধার করেছি।”
ভবনের ভেতরে যে ২৩ টি ফ্রিজ পাওয়া গেছে তাঁর মধ্যে দুটি ফ্রিজের সঙ্গে ইম্প্রোভাইজড বোমার সংযোগ ছিল, খান বলেন।
ছয়তলা বাড়ির পঞ্চম তলার দুটি ইউনিটে সন্দেহভাজন জঙ্গি আবদুল্লাহ নিজের পরিবারের সদস্যদের নিয়ে থাকতেন।
টাঙ্গাইলের এলেঙ্গায় সোমবার একটি বাড়িতে অভিযান চালিয়ে ‘জেএমবির জঙ্গি’ দুই ভাইকে ড্রোন ও দেশীয় অস্ত্রসহ আটকের পর তাদের দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতেই র্যাব মিরপুরে এই অভিযান চালিয়েছিলেন।
দারুস সালাম থানায় এই অভিযানের বিষয় একটি মামলা করা হয়েছে।
মামলাটি করেছেন র্যাব-৪–এর নায়েক সুবাদার হারুন অর রশীদ।
মামলায় গ্রেপ্তার দেখান হয়েছে বাড়ির মালিক ও গলির নিরাপত্তাকর্মীকে।
নিহত জঙ্গি আবদুল্লাহ এর দেহ তাঁর পরিবার নেবেন না বলে জানিয়ে দিয়েছেন।
সোমবার রাত থেকে বাড়িটি ঘিরে রাখে দেশের নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্যরা।
পরে সেই বাড়িতে রাসায়নিক বিস্ফোরণ ঘটে।
নিহত হন জঙ্গি আবদুল্লাহসহ সাতজন।