Bangladesh
Bijoy Dibas: List of Rajakar to be released
কমিটির সভাপতি শাজাহান খানের সভাপতিত্বে বৈঠকে অংশ নেন কমিটির সদস্য মুক্তিযুদ্ধ বিষয়কমন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক, রাজি উদ্দিন আহমেদ, রফিকুল ইসলাম এবং এ বি তাজুল ইসলাম। বৈঠক শেষে কমিটির সভাপতি ও সাবেক নৌমন্ত্রী শাজাহান খান সাংবাদিকদের বলেন, একাত্তরে খুন, ধর্ষণ, নির্যাতন, লুণ্ঠনে যে সব বাঙালি বেতন নিয়ে পাকিস্তানি বাহিনীকে সহযোগিতা করেছেন, তাদের তালিকা কমিটির সভাপতির কাছে আসা শুরু হয়েছে।
মন্ত্রণালয় বলেছে, এই ১৬ ডিসেম্বর থেকে যতটুকু আসবে পর্যায়ক্রমে প্রকাশ করা হবে। একই সঙ্গে মুক্তিযোদ্ধাদের তালিকা প্রকাশ করা হবে। বৈঠকে কার্যপত্র থেকে জানা গেছে, গত ২১ মে ১৯৭১ সালের বেতনভোগী রাজাকারদের তালিকা সংগ্রহের জন্য জেলা প্রশাসকদের (ডিসি) কাছে চিঠি পাঠানো হয়ছিল। গণ ২৮ তারিখ ওই তালিকার জন্য আবারও তাগিদ দেয়া হয়। ডিসিদের কাছ থেকে পাওয়া তথ্য অনুযায়ী, খাগড়াছড়ি, মাগুরা, শেরপুর, গাইবান্ধা ও যশোরের শার্শা উপজেলায় কোন বেতনভোগী রাজাকার ছিল না।
চাঁদপুরে ৯ জন, মেহেরপুরে ১৬৯, শরীয়তপুরে ৪৪, বাগেরহাটে একজন ও নড়াইলে ৫০ জন রাজাকার ছিল। তবে এসব রাজাকারের নামের তালিকা সংসদীয় কমিটিতে দেয়া হয়নি।
প্রসঙ্গত, গত ২৫ আগস্ট সংসদীয় কমিটির বৈঠকে রাজাকারদের তালিকা সংগ্রহের কাজ শুরু হওয়ার কথা জানায় মন্ত্রণালয়। মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের চিঠির পরিপ্রেক্ষিতে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এ কাজ শুরু করে বলে জানানো হয়। গত ২৬ মে সংসদীয় কমিটির বৈঠকে মন্ত্রণালয় জানায়, রাজাকার, আলবদর, আলশামস, শান্তি কমিটির সদস্যদের তালিকা সংগ্রহ করে তা রক্ষণাবেক্ষণে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়কে আধা সরকারি (ডিও) চিঠি পাঠানো হচ্ছে।