Bangladesh

BNP hands in tension in hills, hints Qadir

BNP hands in tension in hills, hints Qadir

Bangladesh Live News | @@banglalivenews | 05 May 2018, 08:53 am
ঢাকা, মে ৫ঃ আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের জানিয়েছেন যে উনি মনে করেন যে পার্বত্য চট্টগ্রামে সংঘাত ও রক্তপাতে বিএনপির সম্পৃক্ততার ইঙ্গিত উনি পেয়েছেন।


উনি সংবাদ মাধ্যমেক বলেছেনঃ “বিএনপি এখন কঠিন চ্যালেঞ্জের মুখে। তারা আন্দোলনে ব্যর্থ, কোটা সংস্কারের মধ্যেও ঢুকে গেছে তারেক জিয়া। লন্ডন থেকে, দেখেননি টেলিফোনে সংলাপ? ওটাতে আল্লাহর রহমতে সফল হয়নি।"

 

“এখন গিয়া পাহাড়কে ধরছে। সেখানকার যে বিভেদ, রক্তপাতের মধ্যেও তারা ঢুকে পড়েছে এরকম ইঙ্গিত আমরা পাচ্ছি। এটা আমাদের সর্তক থাকতে হবে," উনি বলেন।

 

উনি বলেন বিএনপি এর জন্য নির্বাচন থেমে থাকবে না।

 

"বিএনপি নির্বাচনে না এলে বাংলাদেশে সংবিধান পরিবর্তন হবে না। থ্রেট করে লাভ নেই," উনি সোজাসুজি বলেন।

 

উনি বলেন খালেদা জিয়ার দল আন্দোলন করেও কোনও ফল পাবে না।

 

"শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে তারা আন্দোলন করে নয় বছরে নয় মিনিটের সফলতাও অর্জন করতে পারেনি। নয় বছরে পারেনি, আর নয় মাসে কী হবে?," কাদের বলেন।

 

ওনার দলের লোকেদের উনি ঐক্য বজায় রাখতে নির্দেশ দেন।

 

নিজের ভারত সফরের বিষয় কাদের বলেন সেই দেশের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী হাসিনা ও ওনার সরকারের উপরে আস্থা রাখেন।

 

পার্বত্য চট্টগ্রামে ১৯৯৭ সালের ২ ডিসেম্বর সরকারের সঙ্গে জনসংহতি সমিতি শান্তিচুক্তি স্বাক্ষর করলে এর বিরোধিতা করে একদল পাহাড়ি ছাত্র ও যুবক।

 

পরে ১৯৯৮ সালের ডিসেম্বরে তাদের নেতৃত্বে গঠিত হয় ইউনাইটেড পিপলস ডেমোক্রেটিক ফ্রন্ট (ইউপিডিএফ)।

 

এরপর আবারও ভাঙন দেখা দেয় জনসংহতি সমিতির মধ্যে। বর্তমানে পার্বত্য চট্টগ্রামে পাহাড়িদের আঞ্চলিক রাজনৈতিক সংগঠন রয়েছে চারটি।

 

প্রতিষ্ঠার পর থেকে এসব দলের মধ্যে চলছে পাল্টাপাল্টি খুনের ঘটনা। গত দুই দশকে প্রাণ হারিয়েছে এসব দলের প্রায় ৫ শতাধিক নেতাকর্মী ও সমর্থক।


সর্বশেষ ২৪ ঘণ্টার ব্যবধানে খুনের শিকার হয়েছেন জেলার নানিয়াচর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান শক্তিমান চাকমা এবং ‘ইউপিডিএফ গণতান্ত্রিক’ দলের প্রধান তপন জ্যোতি চাকমা ওরফে বর্মাসহ ৫ পাহাড়ি। এনিয়ে থমথমে হয়ে উঠেছে পাহাড়ের পরিস্থিতি। জনমনে ভর করেছে নানা শঙ্কা, ভয় ও আতঙ্ক। আঞ্চলিক রাজনীতিতে আধিপত্য ও প্রভাব বিস্তারে একের পর একখুনাখুনি হচ্ছে বলে স্থানীয় সূত্রের দাবি।

শুক্রবার প্রতিপক্ষ সন্ত্রাসীদের গুলিতে নিহত হন, ‘ইউপিডিএফ গণতান্ত্রিক’ দলের প্রধান তপন জ্যোতি চাকমা, একই দলের কে›ন্দ্রীয় নেতা কনক চাকমা, সুজন চাকমা ও সেতু লাল চাকমা। নানিয়াচর উপজেলা চেয়ারম্যান ও জনসংহতি সমিতি সংস্কারবাদী (এমএন লারমা) দলের শীর্ষনেতা অ্যাডভোকেট শক্তিমান চাকমাকে হত্যার মাত্র ১ দিনের মাথায় এ হত্যাকান্ডর ঘটনা ঘটে।


জনসংহতি সমিতি সরকারের সঙ্গে পার্বত্য শান্তিচুক্তি স্বাক্ষর করলে এর বিরোধিতা করে প্রসিত চাকমার নেতৃত্বাধীন একদল পাহাড়ি ছাত্র ও যুবক। পরে ১৯৯৮ সালের ডিসেম্বরে তাদের নেতৃত্বে গঠিত হয় ইউনাইটেড পিপলস ডেমোক্রেটিক ফ্রন্ট (ইউপিডিএফ)।


এরপর ২০০৭ সালে সন্তু লারমার নেতৃত্বাধীন জনসংহতি সমিতি ভেঙে রূপায়ন দেওয়ান, সুধাসিন্ধু খীসা, শক্তিমান চাকমা ও তাতিন্দ্র লাল চাকমাসহ কিছু নেতাকর্মীর নেতৃত্বে গঠিত হয় জনসংহতি সমিতি (এমএন লারমা) দল।


সর্বশেষ ইউপিডিএফ ভেঙে আত্মপ্রকাশ করে ইউপিডিএফ গণতান্ত্রিক। দল  প্রতিষ্ঠার ৬ মাসের মাথায় খুন হলেন ৩ সহকর্মীসহ ইউপিডিএফ গণতান্ত্রিক দলের প্রধান তপন জ্যোতি চাকমা ওরফে বর্মা।