Bangladesh
Boat has 272 candidates, Awami League files 258
এই প্রার্থীদের মধ্যে আওয়ামী লীগের আছেন ২৫৮ জন। বাকিরা আওয়ামী লীগের নেতৃত্বাধীন ১৪ দলীয় জোটের শরিক দলগুলোর। তাদের বাইরে জোট শরিক জেপির দু’জন নিজস্ব প্রতীকে ভোট করবেন। আওয়ামী লীগের সঙ্গে জোটগতভাবে নির্বাচনে যাওয়া জাতীয় পার্টির জন্য ২৬টি আসন ফাঁকা রেখেছে ক্ষমতাসীন দলটি। তবে জাতীয় পার্টির মহাসচিব মশিউর রহমান রাঙ্গা বলেছেন, মহাজোটের শরিক হিসেবে তাদের ২৯ টি আসন ছাড়া হয়েছে। রোববার নির্বাচন কমিশনে আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনার স্বাক্ষরে চিঠিতে দলের একক প্রার্থী ও তার শরিকদের নৌকা প্রতীক দিতে ২৭২ জনের তালিকা দেওয়া হয়।
আওয়ামী লীগের ২৫৮ জনের পাশাপাশি ওয়ার্কার্স পার্টির পাঁচ, জাসদের তিন, তরিকত ফেডারেশনের দুই, বাংলাদেশ জাসদের এক ও বিকল্পধারার তিনজন নৌকা প্রতীকে ভোট করবেন। জোটের অন্য শরিক জাতীয় পার্টি (জেপি) দুইজন দলীয় প্রতীক ‘বাই সাইকেল’ নিয়ে ভোটে থাকছেন।
আওয়ামী লীগ ৩০০ আসনের মধ্যে ২৭৪ জনের তালিকা দেওয়ায় বাকি ২৬টি আসন থাকছে জাতীয় পার্টির জন্য। এসব আসনে মহাজোটের শরিক দলটির প্রতীক লাঙ্গলের জন্য একক প্রার্থী রাখা হতে পারে। সেক্ষেত্রে লাঙ্গল ছাড়া জোটের অন্য শরিক দলের প্রার্থীদের মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার করা হতে পারে কিংবা দলীয়ভাবে ভোট করার ঘোষণা আসতে পারে। এদিকে জাতীয় পার্টি ১৭৩ জনের তালিকা নির্বাচন কমিশনে জমা দিয়েছে। দলটির পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, ২৯ আসনে মহাজোটের সঙ্গে ভোট করবে তারা। বাকি আসনগুলো ‘উন্মুক্ত’ বিবেচনায় তাদের প্রার্থীরা ভোটের লড়াইয়ে থাকছেন।
ইসি কর্মকর্তারা জানান, নির্বাচন কমিশনের কাছে প্রার্থীর পরিচয় প্রতীক দিয়ে। যে প্রতীকে ভোট করবেন, তিনি সংশ্লিষ্ট দলের। সে হিসাবে নৌকার প্রার্থী ২৭২ জন। বাকি ২৮টি আসনে জোটগতভাবে ভোট করতে হবে আওয়ামী লীগকে।
নির্বাচনে তাদের প্রধান প্রতিপক্ষ বিএনপি দলীয় ও তাদের জোটসঙ্গী দলগুলোর নেতাদের মিলিয়ে ২৯৮ জনকে ধানের শীষ প্রতীক বরাদ্দের জন্য নির্বাচন কমিশনে চিঠি দিয়েছে। পাঁচ বছর আগের দশম সংসদ নির্বাচন বিএনপি নেতৃত্বাধীন জোট বর্জন করে। তার আগে ২০০৮ সালের নবম সংসদ নির্বাচনে ২৬৪ আসনে একক প্রার্থী দিয়েছিল আওয়ামী লীগ। তাদের জোটসঙ্গী জাতীয় পার্টি প্রার্থী দিয়েছিল ৪৯ আসনে। ওই নির্বাচনে ২৬০ আসনে একক প্রার্থী দেয় বিএনপি। বাকিগুলোতে জামায়াতে ইসলামীসহ তাদের অন্য জোটসঙ্গীদের প্রার্থী ছিল।