Bangladesh

Brazilian girl in Coumilla

Brazilian girl in Coumilla

Bangladesh Live News | @banglalivenews | 06 Nov 2018, 07:04 am
নিজস্ব প্রতিনিধি, ঢাকা, নভেম্বর ৬ : ব্রাজিলে কি পাত্রের আকাল যাচ্ছে? না হলে মাত্র ৬ মাসের ব্যবধানে দুই দু’জন ব্রাজিলিয়ান তরুণী বাংলাদেশে এসে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হবেন কেন?

আসলে উভয় ক্ষেত্রেই প্রেমের টানই ছিল মুখ্য। গত মার্চে বাংলাদেশে এসে নোখালীর ছেলে হাবিবের সংগে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হন ব্রাজিলিয়ান তরুণী দিয়াগো সিলভা।

 

এবার এলেন কুমিল্লায় ব্রাজিলিয়ান তরুণী জুলিয়ানা। গত ৩১ অক্টোবর তিনি বাংলাদেশী তরুণ হিরু মিয়াকে বিয়ে করেন ইসলামী শরিয়ত মতে। ঢাকায় কাকরাইল একটি কাজি অফিসে ওই প্রেমিক যুগল বিয়ে করেন। প্রেমিক বাহরাইন প্রবাসী আবদুর রব হিরু কুমিল্লার লাকসাম উপজেলার গোবিন্দপুর ইউপির দোখাইয়া গ্রামের আবুল খায়েরের ছোট ছেলে। সিলেট মদন মোহন কলেজ থেকে রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগে শেষবর্ষে অধ্যয়নরত অবস্থায় জীবিকার তাগিদে পাড়ি জমান প্রবাসে। বছরখানেক আগে দেশে আসেন হিরু।


হিরু বলেন, ২০১২ সালের ৬ জুলাই বাহরাইন কর্মস্থলে অবসরে ইংরেজি ভাষা শিক্ষা সেন্টারে দুইজনের পরিচয় হয়। পরে ফেসবুকে জুলিয়ানার আইডিতে লাইক দেই। জুলিয়ানও আমাকে লাইক দেয়। এভাবেই শুরু হয়ে চলতে থাকে আমাদের প্রেম। একপর্যায়ে টেক্সট বিনিময় থেকে শুরু করে প্রায় প্রতিদিনই কথা হতো আমাদের। সেই থেকে দুইজনের মধ্যে প্রেম-ভালোবাসার সম্পর্ক গড়ে ওঠে। এরপর থেকে ব্রাজিলের প্রেমিকা জুলিয়ানার সঙ্গে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে বিয়ের সম্পর্কের কথাবার্তা শুরু করে ঘনিষ্ঠতা বেড়ে যায়। এই পর্যায়ে জুলিয়ানা তারবাবা মারকোর্স জিয়ানিংয়ের সঙ্গে আলোচনা করে বাংলাদেশে আসার সিদ্ধান্ত নেন। গত ৩১ অক্টোবর বাংলাদেশে আসেন ওই প্রেমিকা ও তার বাবা।


হিরু আরও বলেন, ঢাকায় এয়ারপোর্টে বাবা মেয়েকে রিসিভ করে কাকরাইল কাজি অফিসে জুলিয়ানাকে ৫ লাখ টাকা দেনমোহরে বিয়ে করি। এরপর মিরপুর-২ একটি ভাড়া বাসায় ওঠি। গত মঙ্গলবারে প্রেমিকা জুলিয়ানা ও তার বাবাকে নিয়ে নিজ বাড়িতে আসি। সবার দোয়া ও আল্লাহর ইচ্ছায় আমরা সুখের সংসার করছি। জুলিয়ানা কিছু বাংলা বলতে শিখেছে। আমাদের পরিবারের সব সদস্যরা এই সম্পর্ক নিয়ে খুবই খুশি।


এ গভীর প্রেমের খবরে আশপাশের বিভিন্ন গ্রাম থেকে অসংখ্য নারী, পুরুষ ও শিশুসহ লোকজন প্রেমিক আব্দুর রব হিরুর বাড়িতে ভিড় জমাচ্ছেন। গত ১ নভেম্বর হিরুর বাবা আবদুল খালেক এ দৃশ্য দেখে স্থানীয়দের নিয়ে বধূবরণ উপলক্ষে ৩০০ লোকের মেজবানের আয়োজন করেন।
স্থানীয় এক রিকশাচালক ওই নবদম্পতিকে নিয়ে আশপাশের এলাকা ঘুরে দেখান। এরপর জুলিয়ার বাবা রিকশা চালিয়ে মেয়ে এবং জামাইকে নিয়ে আনন্দ-উল্লাস করেন। বর্তমানে নবদম্পতি তাদের ভাড়া করা ঢাকার বাসায় অবস্থান করছেন।