Bangladesh
Bus mishap in Chittagong kills 3
আহতদের উদ্ধার করে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের বিভিন্ন ওয়ার্ডে ভর্তি করা হয়েছে বলে হাসপাতাল পুলিশ ফাঁড়ি সূত্রে জানা গেছে। শনিবার সকাল সাড়ে ৭টার দিকে কোরিয়ান ইপিজেডের মূল ফটকে এ ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় নিহতরা হলেন, বরিশালের বাসিন্দা গার্মেন্ট কর্মী মো. লতিফ (৫০), চট্টগ্রামের লোহাগাড়া থানার সাতঘর এলাকার বাসিন্দা গার্মেন্টস কর্মী মো. ইরফান (২৭) ও আনোয়ারা উপজেলার দৌলতপুর এলাকার বাসিন্দা সুলতানা রাজিয়া (৩৫)।
এছাড়া চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের বিভিন্ন ওয়ার্ডে চিকিৎসাধিন রয়েছে ইয়ামিন (১৮), সাথী (১৯), আইরিন (১৯), ইসপিকা চৌধুরী (২৬), শামীমা (২৪), ফারুক (৪৯), পিয়াংকা (২৪), তানিয়া আক্তার (২৫), তৈয়বা সুলতানা (২০), রমা চৌধুরী (২৫), নারগিস (২৫), রুমপি (২৮), উজ্জ্বল কান্তি দে (৩০), রুবি আক্তার (২৫), কাউছার আক্তার (২০), নাহিদা (২২), রাজু বড়ুয়া (৩২), মিনতি (৩৯), মিতালি (৩০), জয়া (২৪), লাভলী (১৮), নুর জাহান (২৩), শুকলা (১৮), রহিমা (২৪), শাখী (২০), উত্তম (৪৭), তৌহিদুল (৩০), সুমন কান্তি দে (৩৫), চেমন আরা (১৮), কাকলী (২২), রহিমা (২৩), রুবি (৩০), তানিয়া (২০), আমিন (৩৩) ও বিশ্বজিৎ (৩৭)।
চট্টগ্রাম মহানগর পুলিশের অতিরিক্ত উপ-কমিশনার (বন্দর) মো. আরেফিন জুয়েল বলেন, শনিবার সকালে আনোয়ারা কোরিয়ান রপ্তানি প্রক্রিয়াকরণ অঞ্চল (কেইপিজেড)র বিভিন্ন শিল্প কারখানার শ্রমিকরা চাকুরিতে যোগদানের উদ্দ্যেশে কেইপিজেডের মূল ফটকে অবস্থার করছিলেন। এমন সময় গার্মেন্টস শ্রমিকদের বহনকারী অপর একটি দ্রুতগামী বাস নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে অপেক্ষমান শ্রমিকদের চাপা দেয়। এতে ঘটনাস্থলে একজন এবং হাসপাতালে নেওয়ার পর আরো দুই জনের মৃত্যু নিশ্চিত হয়। তবে ৩ জন মৃত্যুও ঘটনায় বিক্ষুদ্ধ শ্রমিকরা সেখানে অবস্থানরত তিনটি বাস ভাংচুড় করে পুড়িয়ে দিয়েছে বলে স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে।