Bangladesh

Casino, alcohol recovered from Ajij's house

Casino, alcohol recovered from Ajij's house

Bangladesh Live News | @banglalivenews | 28 Oct 2019, 12:04 am
নিজস্ব প্রতিনিধি, ঢাকা, অক্টোবর ২৮ : বিতর্কিত ব্যবসায়ী আজিজ মোহাম্মদ ভাইয়ের ঢাকার গুলশানের বাড়িতে অভিযান চালিয়ে বিপুল পরিমাণ মদ ও ক্যাসিনো সরঞ্জাম উদ্ধারের কথা জানিয়েছে মাদক দ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর। রোববার বিকালে গুলশান ২ নম্বর সেকশনের ৫৭ নম্বর সড়কের ওই বাড়িতে এ অভিযান চলে।

পাশাপাশি দুটি ছয়তলা ভবনে অভিযান চালায় মাদক নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর। ভবন আলাদা হলেও একটি থেকে আরেকটিতে যাতায়াতের পথ ছিল। দুটি ভবনেই আজিজ মোহাম্মদ ভাইর আত্মীয়-স্বজন থাকেন।


অধিদপ্তরের কর্মকর্তারা বলেন, একটি ভবনের ছাদের এক কোনে ক্যাসিনো সামগ্রী ও সিসা বার এবং আরেক ভবনের চারতলার একটি কক্ষে বিপুল পরিমাণ মদ পাওয়া যায়। গত মাসে ক্যাসিনো বন্ধে ঢাকার ক্রীড়া ক্লাবগুলোতে র‌্যাবের অভিযানের পর তারা এ ধরনের আরও অভিযান চালিয়ে আসছিল। এরপর অভিযানে নেমেছে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর।


অলিম্পিক ইন্ডাস্ট্রিজের মালিক আজিজ মোহাম্মদ ভাই চলচ্চিত্র প্রযোজক হিসেবেই বেশি পরিচিত। চিত্রনায়ক সোহেল চৌধুরী ও সালমান শাহ হত্যাকান্ডে জড়িত হিসেবে তার নাম এসেছিল। অলিম্পিকের পাশাপাশি আমবী ফার্মাসিউটিক্যালসের চেয়ারম্যান আজিজ মোহাম্মদ ভাই; তার স্ত্রী নওরীন আজিজ এই কোম্পানির ব্যবস্থাপনা পরিচালক।


শেয়ার কেলেঙ্কারির এক মামলায় গত বছর আজিজ মোহাম্মদ ভাইকে গ্রেপ্তারে পরোয়ানা জারি করেছিল পুঁজিবাজার বিষয়ক ট্রাইদব্যুনাল। তার আগ থেকেই তিনি বিদেশে অবস্থান করছেন। রোববারের অভিযানে গুলশানের ওই বাড়ি থেকে দুই তত্ত্বাবধায়ক মো. পারভেজ ও নবীন মন্ডকে আটক করেছে মাদক নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের কর্মকর্তারা।


নবীন সাংবাদিকদের বলেন, গত সাত-আট বছর ধরে তিনি এখানে কাজ করলেও কখনও আজিজ মোহাম্মদ ভাইকে দেখেননি। তিনি জানান, একটি ভবনের চারতলার ফ্ল্যাট আজিজের স্ত্রী নওরীন ব্যবহার করেন। ওই ভবনের ছাদে সীসা বার, ক্যাসিনোর সামগ্রী পাওয়ার কথা জানান মাদক নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের কর্মকর্তারা। ওই ভবনের তিনতলায় থাকেন ওমর মোহাম্মদ ভাই, তার বাবা প্রয়াত রাজা মোহাম্মদ ভাই হলেন আজিজের সহোদর। ওমরের ফ্ল্যাটেও কয়েকটি মদের বোতল পাওয়া যায় বলে জানান।


মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের অতিরিক্ত পরিচালক ফজলুর রহমান সাংবাদিকদের বলেন, ‘আমরা জানতে পেরেছি, ছাদের সিসা বারটি ওমর মোহাম্মদ ভাই চালাত। তবে তাকে পাওয়া যায়নি।’


আরেক ভবনের পাঁচ ও ছয় তলায় আজিজ মোহাম্মদ ভাইয়ের দুই বোন সখিনা মীর আলী ও নুরজাহান হুদা বসবাস করেন। দোতলা ও তৃতীয় তলায় বোনের সন্তানরা বসবাস করে। পারভেজ বলেন, তিনি এক মাস আগে এই ভবনের কাজে যোগ দেন।


এই ভবনের চারতলার এক পাশের ফ্ল্যাটের একটি কক্ষে পাওয়া যায় বিপুল পরিমাণ মদ। ওই ফ্ল্যাটের অন্য কক্ষগুলো ছিল খালি।  যে কক্ষে মদ পাওয়া গেছে, সেই কক্ষের দিকে যাওয়ার তাদের ‘নিষেধ ছিল’ বলে জানান পারভেজ।