Bangladesh

Casino case: In gold seizing incident seven cases filed

Casino case: In gold seizing incident seven cases filed

Bangladesh Live News | @banglalivenews | 28 Sep 2019, 12:16 pm
নিজস্ব প্রতিনিধি, ঢাকা, সেপ্টেম্বর ২৮ : গেন্ডারিয়া থানা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি এবং ওয়ান্ডারার্স ক্লাবে ক্যাসিনোর অংশীদার এনামুল হক এনু ও তার সঙ্গীদের বাসা থেকে বিপুল পরিমাণ অর্থ-স্বর্ণালঙ্কার ও অস্ত্র উদ্ধারের ঘটনায় সাতটি মামলা করা হয়েছে।

আসামিদের সবাইকে পলাতক দেখিয়ে মানি লন্ডারিং প্রতিরোধ আইন, বিশেষ ক্ষমুা আইন ও অস্ত্র আইনে রাজধানীর ওয়ারী, গেন্ডারিয়া ও সূত্রাপুর থানায় আলাদা সাতটি মামলা করে র‌্যাব।


এনামুল হক এনু ও তার ভাই গেন্ডারিয়া থানা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক রুপন ভূঁইয়া, এনামুলের কর্মচারী আবুল কালাম আজাদ ও এনামুলের বন্ধু হারুন অর রশিদ এসব মামলার আসামি।


র‌্যাব-৩ এর অধিনায়ক লে. কর্নেল শাফিউল্লাহ বুলবুল জানান, অভিযানের দিন (বুধবার) রাতেই রাজধানীর ওয়ারী থানায় দুটি মামলা করা হয়। অস্ত্র ও মানি লন্ডারিং আইনে পৃথক মামলার নম্বর- ৩৩ ও ৩৪। পাঁচটি মামলা হয়েছে গেন্ডারিয়া ও সূত্রাপুর থানায়। গেন্ডারিয়া থানার মামলা নম্বর ২৮ এবং সূত্রাপুর থানার মামলা নম্বর- ২৭, ২৮, ২৯ ও ৩০।
র‌্যাব-৩ সিও বলেন, চার আসামির বাসার ভল্ট থেকে বিপুল পরিমাণ অর্থ, স্বর্ণালঙ্কার ও অস্ত্র উদ্ধারের ঘটনায় সাতটি মামলা করা হয়েছে। আসামিরা পলাতক। তাদের গ্রেফতারের বিষয়টি প্রক্রিয়াধীন।


উল্লেখ্য, মঙ্গলবার সকাল থেকে রাজধানীর ৩১ নং বানিয়ানগর, ৮৩১ নং লালমোহন সাহা স্ট্রিট ও নারিন্দার ২২১ নং শরৎগুপ্ত রোডে পৃথক তিনটি অভিযান চালায় র‌্যাব। অভিযানে পাঁচটি সিন্দুক থেকে নগদ ৫ কোটি টাকা, ২টি পিস্তল, ১টি শটগান, ১টি রিভলবার, ২টি ইয়ারগান ও ৭৩০ ভরি সোনা উদ্ধার করা হয়। সে সময় র‌্যাব-৩-এর অধিনায়ক লে. কর্নেল শাফিউল্লাহ বুলবুল জানান, প্রথম অভিযানে এনামুল ও তার ভাই গেন্ডারিয়া থানা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক রুপন ভূঁইয়ার বাসা থেকে তিনটি সিন্দুকে ১ কোটি ৫ লাখ টাকা, ৭৩০ ভরি সোনা ও পাঁচটি অস্ত্র উদ্ধার করা হয়।


দ্বিতীয় অভিযানে ৮৩১ নং লালমোহন সাহা স্ট্রিটের এনামুলের কর্মচারী আবুল কালামের বাসার একটি সিন্দুক থেকে ২ কোটি টাকা ও গুলিসহ একটি রিভলবার উদ্ধার করা হয়।

তৃতীয় অভিযানটি চালানো হয় নারিন্দার শরৎ গুপ্ত রোডের ২২১ নম্বর রোডে এনামুলের বন্ধু হারুন অর রশিদেরর বাসা থেকে থেকে প্রায় ২ কোটি টাকা উদ্ধার করা হয়।


মতিঝিলের ওয়ান্ডারার্স ক্লাবের অংশীদার এনামুল। বিপুল পরিমাণ টাকার সুনির্দিষ্ট উৎসের তথ্য জানতে না পারলেও ক্যাসিনোর টাকা বলে ধারণা করছেন অভিযান সংশ্লিষ্টরা। এত টাকা লুকিয়ে রাখার জন্য বেশি জায়গার প্রয়োজন, তাই টাকা দিয়ে সোনা কিনে রাখতেন এনামুল।