Bangladesh

Chawkbazar fire tragedy: Missing student's family now faces cheating

Chawkbazar fire tragedy: Missing student's family now faces cheating

Bangladesh Live News | @banglalivenews | 26 Feb 2019, 08:16 am
নিজস্ব প্রতিনিধি, ঢাকা, ফেব্রুয়ারি ২৬: রাজধানীর চকবাজারে অগ্নিকা-ের পর নিখোঁজ রয়েছেন ফাতেমাতুজ জোহরা বৃষ্টি ও তার বান্ধবী রেহনুমা দোলা। পরিবারের সদস্যরা তাদের সন্ধানে থাকালে একটি ফোন আসে বৃষ্টির বাবা জসিম উদ্দিনের কাছে।

বলা হয়, এক লাখ টাকা দিলে মেয়েকে ফেরত দেওয়া হবে। ডিজিটাল আর্থিক সেবা (ডিএফএস) ‘নগদ’-এর মাধ্যমে ৫০ হাজার টাকা পাঠানোর পর থেকে ওই মোবাইল নম্বরটি বন্ধ রয়েছে।


এ ঘটনায় লালবাগ থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি করেছেন বৃষ্টির বাবা জসিম উদ্দিন। সংশ্লিষ্ট তদন্ত কর্মকর্তা জানান, থার্ড পার্টির মাধ্যমে এই ফোন কলটি বৃষ্টির বাবার কাছে করা হয়েছিল। এটা ডিজিটাল প্রতারণা। প্রতারককে শনাক্ত করার কাজ চলছে।


নিখোঁজদের পরিবার সূত্রে জানা গেছে, গত ২০ ফেব্রুয়ারি শিল্পকলা একাডেমিতে কবিতা আবৃত্তির অনুষ্ঠান থেকে ফিরছিলেন বৃষ্টি ও দোলা। পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে বৃষ্টির সর্বশেষ কথা হয় রাত ১০টা ০৪ মিনিটে। চকবাজারে আগুন লাগে ১০টা ৩৮ মিনিটে। এরপর থেকে বৃষ্টি ও দোলা নিখোঁজ। তাদের মোবাইল ফোনও বন্ধ পাওয়া যায়। ফোন বন্ধ পেয়ে ঢাকা মেট্রোপলিটন গোয়েন্দা পুলিশের সহায়তায় নিখোঁজ দুজনের মোবাইল ফোন ট্র্যাক করে জানা যায়, অগ্নিকা-ের ঘটনাস্থলের পাশেই ছিল তাদের অবস্থান। এ তথ্য জানার পর ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালসহ (ঢামেক) রাজধানীর বিভিন্ন হাসপাতালে খোঁজ করেও তাদের সন্ধান পাওয়া যায়নি।


পরদিন ২১  ফেব্রুয়ারি বৃষ্টির বাবা জসিম উদ্দিনের মোবাইলে বৃষ্টির নম্বর থেকে একটি কল করা হয়। বলা হয়, মেয়েকে ফেরত চাইলে এক লাখ টাকা পাঠান। জসিম উদ্দিন মেয়ের সঙ্গে কথা বলতে চাইলে প্রতারকচক্র আগে ৫০ হাজার টাকা পাঠাতে বলে। প্রতারকচক্র ০১৬৩৯২৩৮১৯৩ নম্বরে ‘নগদ’ ওয়ালেট -এ টাকা পাঠাতে বললে তিনি ৫০ হাজার টাকা পাঠান। এরপর থেকে ওই ফোন নম্বরটি বন্ধ পাওয়া যায়।


এ প্রতারণার ঘটনায় লালবাগ থানায় একটি অভিযোগ করেছেন বলে জানিয়েছেন বৃষ্টির বাবা জসিম উদ্দিন। তিনি বলেন, ‘আমি মেয়েকে ফেরত পেতে চেয়েছিলাম। পুলিশ বলছে এটা প্রতারণা।’