Bangladesh

China not keeping its promise of helping Bangladesh financially as promised

China not keeping its promise of helping Bangladesh financially as promised

Bangladesh Live News | @banglalivenews | 15 Sep 2019, 07:02 am
একটি ঘটনা থেকে ভালোমতই বোঝা যাচ্ছে যে ২০১৬ সালে বাংলাদেশকে করা আর্থিক প্রতিশ্রুতি ঠিক এখনও পরিপূর্ণ করতে পারেনি চীন। আর এই বিষয়টি পরিষ্কার কারণ এখনও পর্যন্ত সেই দেশ বাংলাদেশকে মাত্র ৯৮১.৩৬ মিলিয়ন মার্কিন ডলার দিয়েছে, যা কিনা তাদের  আর্থিক প্রতিশ্রুতির ২০ শতাংশ।

চীন বাংলাদেশকে তাদের উন্নয়নের কাজ করবার জন্য ২০ বিলিয়ন ডলার দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল।

 

চীনের রাষ্ট্রপতি শি জিনপিং ২০১৬ সালে বাংলাদেশ সফরে এসেছিলেন আর সেই সময় এই প্রতিশ্রুতি করেছিল সেই দেশের সরকার।

 

বাংলাদেশের কর্তৃপক্ষ মনে করেন যে ২০২০ মধ্যে এই টাকা দেওয়ার কথা থাকলেও তা চীন দেবে না। অর্থাৎ তারা  নির্দিষ্ট সময়সীমার মধ্যে এই টাকা দেবে না।

 

 সুত্র অনুযায়ী, বাংলাদেশের ও চীনের অর্থ মন্ত্রালয় একটি যৌথ ওয়ার্কিং গ্রুপ বানানোর সিদ্ধান্ত নেয় ২০২০ সালের মধ্যে চীনের অর্থ সাহায্যে এই দেশে বানানো ২৭ টি প্রকল্পের মন্থর গতিতে চলার বিষটির একটি উত্তর পাওয়ার জন্য।

 

সুত্র জানায় যে এই গ্রুপ সিদ্ধান্ত নেবে আর এই প্রকল্পগুলিতে বাইরের অর্থ সহযোগিতা লাগবে কি না।

 

প্রসঙ্গত, এখন পর্যন্ত ২৭ টির মাঝে ছয়টি প্রকল্পের জন্য চীনের সাথে ঋণ চুক্তি স্বাক্ষরিত হলেও পাঁচটি এগিয়ে চলেছে।

 

কলাপাড়ার তাপবিদ্যুৎকেন্দ্রের ঘটনাঃ

কিছুদিন আগে বাংলাদেশের মাটিতে পটুয়াখালীর কলাপাড়ার তাপবিদ্যুৎকেন্দ্রের সহিংসতার ঘটনায় চীনের এক নাগরিক প্রান হারিয়েছেন।

 

তবে, এই ঘটনাটি দুই দেশের, তথা ইসলাম ধর্মী দেশগুলি ও চীনের, সম্পর্কের নিরিখেও খুব গুরুত্বপূর্ণ।

 

কিছু মাস আগে তাপবিদ্যুৎকেন্দ্রের বয়লারের ওপর থেকে সবিন্দ্র দাস নামে এক বাংলাদেশি শ্রমিক পড়ে প্রান হারান। এই থেকেই এই ঘটনার শুরু।

 

এই মৃত্যুকে ঘিরে চিন ও বাংলাদেশি শ্রমিকদের মধ্যে সংঘর্ষ বেঁধে যায়।

 

সংঘর্ষে গুরুতর আহত চীনা শ্রমিক ঝাং ইয়াং ফাং বরিশালের শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হলে পরে সেখানেই সে প্রান হারান।

 

ছয়জন চীনা শ্রমিক এবং তাপবিদ্যুৎকেন্দ্রের কর্মকর্তাসহ চারজন ব্যাক্তি এই ঘটনায় আহত হয়েছেন।

 

এই ঘটনায় বেশ কিছু ব্যাক্তিকে গ্রেপ্তার করা হয়েছিল। 

 

চীনা নাগরিক ঝাং ইয়াং ফাংয়ের হত্যা মামলায় জড়িত আছেন ভেবেই এই মানুষদের গ্রেপ্তার করা হয়।

কেন গুরুত্বপূর্ণ এই ঘটনাঃ

 

বিগত কিছু বছর ধরে চীনের নিজের দেশের ভিতরে উইঘুর মুসলিমদের উপরে যে অত্যাচার চালিয়ে যাচ্ছে সেই বিষয় বহু দেশ নিন্দা প্রকাশ করেছেন।

 

বলাই যায়, এই ঘটনা কিছুটা হলেও পরিষ্কার করেছে যে কিভাবে কাজের ক্ষেত্রে অসাবধান পরিস্থিতির তৈরি করে এমন মৃত্যুর ঘটনাগুলিকে চেপে রাখার প্রয়াস করছে দেশটি।

 

সব মিলিয়ে মুসলিম দুনিয়ার সাথে এক বিবাদে ধুকেছে এশিয়ার এই গুরুত্বপূর্ণ দেশ।


যদিও ভারতকে এক কোণে করবার প্রয়াসে চীন আজ পাকিস্তানের মিত্র কিন্তু বলা জেতেই পারে যে বাংলাদেশ হোক বা বালোচিস্তান, অথবা বেশ কিছু মুসলিম দেশের সাথে আজ সম্পর্কে দাগ লেগেছে।

 

যদিও চীন বহু ক্ষেত্রে বাংলাদেশে টাকা ঢেলেছে তবে এই দেশটির বিরুদ্ধে রাগ ও ক্ষোভও জন্মেছে আজ সাধারন মানুশের মনে।

 

বিবিসি এর এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে যে এই দেশে আসা চীনের কর্মচারীদের সাথে বেশ কিছু জায়গায় সমস্যা হচ্ছে সাধারন মানুষের।

 

তবে, এলাকার মানুষদের মতে চীন এই কাজের জায়গায় ঘটা মৃত্যুর ঘটনাগুলিকে ধামা চাপা দেওয়ার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে।

 

আগেও ২০১৬ সালে চীনা সাহায্যে তৈরি প্রকল্পের কাজের সময় বাংলাদেশের মাটিতে অশান্তি হয়েছে। চীনা মদত পুষ্ট তাপ বিদ্যুৎ কেন্দ্র ঘটনের সময় বিপুল প্রতিবাদের মুখে পরে পুলিশকে গুলি চালাতে হয়েছিল গ্রামের মানুষদের উপরে।

 

বিবিসির প্রতিবেদন অনুযায়ী এই ঘটনায় চারজন প্রান হারান।