Bangladesh

Chinese national was killed in Dhaka for money

Chinese national was killed in Dhaka for money

Bangladesh Live News | @banglalivenews | 19 Dec 2019, 04:00 am
নিজস্ব প্রতিনিধি, ঢাকা, ডিসেম্বর ১৯ : অবশেষে রাজধানীর বনানীতে চীনা নাগরিক গাউজিয়ান হুইকে (৪৩) হত্যার রহস্য উদঘাটন এবং দুই হত্যাকারিকে গ্রেফতার করতে সক্ষম হয়েছে।

তারা হচ্ছেন বাসার দুই সিকিউরিটি গার্ড- আব্দুর রউফ (২৬) ও এনামুল হক (২৭)।

 

আসামীরা ইতিমধ্যে খুনের দায় স্বীকার করে আদালতে জবানবন্দী দিয়েছে। বুধবার রাজধানীতে ডিএমপি মিডিয়া সেন্টারে এক সংবাদ সম্মেলনে এ কথা জানান ডিএমপির অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (ডিবি) মো. আবদুল বাতেন। এসময় নিহত চীনা নাগরিক গাউজিয়ান হুই’র পরিবার-পরিজন উপস্থিত ছিলেন।

 

এর মধ্য দিয়ে চীনা নাগরিক হত্যা রহস্যের অবসান হলো বলে আশা করা হচ্ছে। ঢকায় চীনা দূতাবাস গাউজিয়ান হুই’র হত্যাকারীদের গ্রেফতারের আগে তার লাশ গ্রহণে অস্বীকৃতি জানিয়ে আসছিল।

 

এর আগে মঙ্গলবার আসামী দুজনকে গ্রেফতার করে মহানগর গোয়েন্দা (ডিবি) পুলিশ। গ্রেফতারের সময় তাদের কাছ থেকে ১ লাখ ১৯ হাজার নগদ টাকা উদ্ধার করা হয়। গত বুধবার (১১ ডিসেম্বর) সকালে বনানীর ‘এ’ ব্লকের ২৩ নম্বর সড়কের ৮২ নম্বর বাড়ির ফাঁকা জায়গার মাটি খুঁড়ে তার মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। ওই ভবনে থাকতেন তিনি। ওই চীনা নাগরিক পদ্মা সেতুতে পাথর সরবরাহসহ সরকারের কয়েকটি মেগা প্রকল্পে কাজ করতেন।

 

ডিএমপির অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার মো. আবদুল বাতেন জানান, গ্রেফতার দুইজন বনানীর ২৩ নম্বর রোডের ৮২ নম্বর বাসার সিকিউরিটি গার্ড হিসেবে কর্মরত ছিল।

 

তারা ওই বিল্ডিংয়ের ছাদে বসবাস করত। হত্যাকা-ের বেশ কয়েকদিন আগে রউফ ইনামুলকে প্রস্তাব দেয় যে, চীনা নাগরিক হুই অনেক বড় ব্যবসায়ী, অনেক টাকা-পয়সা নিয়ে আসা-যাওয়া করে এবং ফ্ল্যাটে একা থাকে। তাকে শেষ করে দিয়ে যা নিতে পারব তা দিয়ে জীবনে কিছু করা যাবে। পরিকল্পনা অনুযায়ী তারা সুযোগ খুঁজতে থাকে। এদিকে তারা নিশ্চিত হয় যে, বিল্ডিংয়ে সিসিটিভি ক্যামেরাতে ভিডিও রেকর্ড হয় না।

 

প্রথমে ৬ ডিসেম্বর তারা হুই’কে হত্যার চেষ্টা করে। ওই দিন তারা সন্ধ্যায় চীনা নাগরিক গাউজিয়ান হুই-এর ডুপ্লেক্স ফ্ল্যাটে কলিং বেল দেয়। কিন্তু ভেতর থেকে কেউ দরজা না খোলায় ভয়ে তারা আবার ফিরে আসে। প্রথম প্রচেষ্টায় ব্যর্থ হয়ে ১০ ডিসেম্বর তারা আবার পরিকল্পনা করে যে, আজকে ‘কাজ শেষ করতেই হবে’। পরিকল্পনা অনুযায়ী ইনামুল তার নিজের ব্যবহৃত গামছা সাথে নিয়ে যায়। মাগরিবের আযানের পরপরই তারা হুই-এর ফ্ল্যাটের সামনে যায় এবং রউফ কলিং বেল দেয়।

 

গাউজিয়ান হুই দরজা খুলে ওদের দিকে বিস্ময়ে তাকান। তিনি বাংলা ও ইংরেজি ভাষা জানতেন না। তবে ইশারায় জানতে চাচ্ছিলেন যে, কী বিষয়? তখন ইনামুল বলে, ‘ওয়াটার, ওয়াটার’। মানে বুঝাতে চায় যে, তারা পানি খাবে। মুহূর্তের মধ্যেই তারা দরজা দিয়ে ভেতরে ঢুকে পড়ে এবং ইনামুল গলায় গামছা পেঁচিয়ে ধরে আর রউফ কোমরের দিকে জাপটে ধরে। অল্প সময়ের মধ্যেই হুই-এর নাক-মুখ দিয়ে রক্ত বের হয়ে যায়। ধস্তাধস্তির এক পর্যায়ে হুই রউফের বাম হাতের বৃদ্ধাঙ্গুলিতে কামড় দেন। তারা ২/৩ মিনিটের মধ্যেই হুই-এর মৃত্যু নিশ্চিত করে।