Bangladesh

Chittagong: Shahadat against Rezaul

Chittagong: Shahadat against Rezaul

Bangladesh Live News | @banglalivenews | 29 Feb 2020, 07:38 am
নিজস্ব প্রতিনিধি, ঢাকা, ফেব্রুয়ারি ২৯ : চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন (চসিক) নির্বাচনে মেয়র পদে আওয়ামী লীগের প্রার্থী রেজাউল করিম চৌধুরী মাসখানেক আগেও নগরবাসীর কাছে অপরিচিত ছিলেন। সে হিসেবে বয়সে তরুণ ও বেশ পরিচিত বিএনপি মনোনীত মেয়র প্রার্থী ডা. শাহাদাত হোসেন। গত ১০ বছরে বেশ কয়েক দফায় গ্রেফতার হয়ে কারাগারে যেতে হয়েছে এমবিবিএস ডিগ্রিধারী শাহাদাতকে। বর্তমানে তিনি ৪৮ মামলার আসামি। বিপরীতে তার প্রধান প্রতিদ্বন্দ্বী রেজাউল করিমের বিরুদ্ধে কোনো মামলা নেই।

বৃহস্পতিবার (২৭ য়োরি) চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন নির্বাচনে মেয়র পদে এ দুই প্রধান প্রতিদ্বন্দ্বী মনোনয়নপত্রের সঙ্গে জমা দেয়া হলফনামায় এসব বিষয় উল্লেখ করেছেন। হলফনামা বিশ্লেষণ করে দেখা গেছে, চসিক নির্বাচনে মেয়র পদে আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী রেজাউল করিম চৌধুরীর চেয়ে শিক্ষাগত যোগ্যতা ও সম্পদে এগিয়ে রয়েছেন বিএনপির প্রার্থী ডা. শাহাদাত হোসেন। এছাড়া শাহাদাতের বিরুদ্ধে মামলা ও ব্যাংক ঋণও রয়েছে অনেক।


এদিকে চট্টগ্রাম শহরের চান্দগাঁও থানাধীন বহদ্দারহাট এলাকার খ্যাতনামা বহদ্দার বাড়ির মরহুম হারুন অর রশীদ চৌধুরীর বড় ছেলে রেজাউল করিম চৌধুরীর শিক্ষাগত যোগ্যতা বিএ পাস। রাজনৈতিক জীবনে কোনো মামলা-মোকদ্দমার মুখোমুখি হননি তিনি। পেশায় ব্যবসায়ী এ রাজনীতিবিদ মেসার্স চৌধুরী এন্টারপ্রাইজ নামে একটি প্রতিষ্ঠানের স্বত্বাধিকারী।


অপরদিকে, চট্টগ্রাম নগরের বাকলিয়া থানাধীন পশ্চিম বাকলিয়ার ডিসি রোড এলাকার আহমদুর রহমানের ছেলে শাহাদাত হোসেন। তিনি এমবিবিএস ডিগ্রিধারী, পেশায় চিকিৎসক।
হলফনামায় উল্লেখ করা হয়েছে, আওয়ামী লীগের মেয়র প্রার্থী রেজাউল করিমের বিরুদ্ধে কোনো ধরনের মামলা নেই। বিএনপি মনোনীত প্রার্থী ডা. শাহাদাত হোসেনের বিরুদ্ধে বিভিন্ন আদালত ও নগরের বিভিন্ন থানায় ৪৮টি মামলা রয়েছে। তবে মামলাগুলো রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত বলে দাবি এ বিএনপি নেতার। এসব মামলার মধ্যে ৪৩টি বিচারাধীন। দুটি মামলা উচ্চ আদালতের আদেশে স্থগিত এবং তিনটি তদন্তাধীন আছে। দ্রুত বিচার আইনে করা একটি মামলায় শাহাদাত হোসেন খালাস পেয়েছেন।


হলফনামায় রেজাউল করিম চৌধুরীর নামে মোট ৭১ লাখ ৬৫ হাজার ৪৩৮ টাকা অস্থাবর সম্পদ দেখানো হয়েছে। আর ডা. শাহাদাতের নামে অস্থাবর সম্পদ দেখানো হয়েছে ৪ কোটি ২৩ লাখ ৯ হাজার ২২৭ টাকা।