Bangladesh
রোহিঙ্গা বিষয়ে হেগের আদালতে বিচারের পথ তৈরির চেষ্টা
ভোয়ার খবরে বলা হয়, আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালত বিষয়টি বিচারের এখতিয়ার রাখে বলে রুল পাওয়া গেলে রোহিঙ্গা বিতাড়ণের বিষয়ে তদন্ত করার পথ তৈরি হবে ফাতোও বেনসুদার সামনে। আবেদনে তিনি বলেন- এটা বিমূর্ত কোনো প্রশ্ন নয়। বরং এ আদালত ওই ঘটনার তদন্ত এবং সম্ভব হলে বিচারিক ক্ষমতা প্রয়োগ করতে পারে কি না- তা সরাসরিই জানতে চাওয়া হয়েছে।
বিচারিক এখতিয়ার নিয়ে এই প্রশ্নের মূল কারণ হল- বাংলাদেশ আন্তর্জাতিক এ আদালতের সদস্য হলেও মিয়ানামার তা নয়। তবে প্রসিকিউটর বেনসুদা মনে করছেন, দেশত্যাগে বাধ্য করা যে ধরনের আন্তঃসীমান্ত অপরাধ, তার ধরণ বিবেচনায় নিয়ে আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালতের বিচারিক এখতিয়ারের পক্ষে রুল এলে, তাতেও বিষয়টি বিচারের জন্য একটি আইন কাঠামো দাঁড় করানো যাবে।
অবশ্য আন্তর্জাতিক আইনে দেশত্যাগে বাধ্য করার অপরাধকে সংজ্ঞায়িত করার ক্ষেত্রে যে অস্পষ্টতা রয়েছে এবং এ বিষয়ে বিচার করার ক্ষেত্রে আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালতের যে সীমাবদ্ধতা রয়েছে, তাও স্বীকার করেছেন ফাতোও বেনসুদা।
মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যের গ্রামে গ্রামে নির্বিচারে হত্যা, জ্বালাও-পোড়াওয়ের মধ্যে গতবছর ২৫ অগাস্ট থেকে এ পর্যন্ত সাত লাখের বেশি রোহিঙ্গা পালিয়ে বাংলাদেশে আশ্রয় নিয়েছেন।
জাতিসংঘ একে ‘জাতিগত নির্মূল অভিযান’ হিসেবে বর্ণনা করে আসছে। আন্তর্জাতিক আইনে দেশান্তরে বাধ্য করার বিষয়টি মানবতার বিরুদ্ধে অপরাধের মধ্যে পড়ে। এর আগে আন্তর্জাতিকভাবে প্রতীকী বিচারের মাধ্যমে মিয়ানমার সরকার ও দেশটির সেনাবাহিনীর বিরুদ্ধে গণহত্যার অভিযোগ আনা হলেও ফাতোও বেনসুদাই প্রথম বিষয়টি আন্তর্জাতিক আদালতে তোলার চেষ্টা করলেন। তিনি এ বিষয়ে শুনানি করতে আদালতের কাছে আবেদন করেছেন। সংশ্লিষ্ট অন্যান্য পক্ষ ও আগ্রহীদেরও সেই শুনানিতে রাখতে বলেছেন।
ক্যাপশান: বিতাড়িত রোহিঙ্গারা আশ্রয়ের খোঁজে ছবি : ইউএনএইচসিআর