Bangladesh
Class 4 student writes letter to PM Hasina
গতকাল মঙ্গলবার শীর্ষেন্দু বিশ্বাসকে দেয়া সেই আশ্বাসে সিলমোহর মারেন প্রধানমন্ত্রী। এদিন জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটি (একনেক) ২৪ হাজার ১১৩ কোটি ২৭ লাখ টাকা ব্যয়ে ‘মাতারবাড়ী পোর্ট ডেভেলপমেন্ট’ প্রকল্পসহ মোট ৯ প্রকল্পের অনুমোদন দিয়েছে।
এই প্রকল্প ব্যয়ের মধ্যে সরকারের নিজস্ব তহবিল থেকে পাওয়া যাবে ৬ হাজার ১৫১ কোটি ২৬ লাখ টাকা, সংস্থার নিজস্ব অর্থায়ন ২ হাজার ২১৩ কোটি ২৫ লাখ টাকা এবং প্রকল্প সাহায্য হিসেবে বৈদেশিক ঋণ পাওয়া যাবে ১৫ হাজার ৭৪৮ কোটি ৭৬ লাখ টাকা।
ওই বৈঠকে সভাপত্বি করেন একনেক ক চেয়ারপারসন ও প্রানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
পরিকল্পনা কমিশন সূত্র জানায়, ‘কচুয়া-বেতালী-পটুয়াখালী-লোহালিয়া-কালাইয়া সড়কের ১৭তম কিলোমিটারে (জেড-৮০৫২) পায়রা নদীর ওপর সেতুটি নির্মাণ’ করা হবে। প্রকল্পটি সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয়/সেতু বিভাগের উদ্যোগে বাংলাদেশ সেতু কর্তৃপক্ষ বাস্তবায়ন করবে। এতে খরচ ধরা হয়েছে ১ হাজার ৪২ কোটি ২৭ লাখ ৭৯ হাজার টাকা। ২০২০ সালের মার্চ থেকে ২০২৫ সালের ডিসেম্বরের মধ্যে প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করা হবে।
২০১৬ সালের ১৫ আগস্ট পটুয়াখালী সরকারি জুবিলী হাইস্কুলের চতুর্থ শ্রেণির ছাত্র শীর্ষেন্দু বিশ্বাস জেলার মির্জাগঞ্জ উপজেলায় পায়রা নদীতে একটি সেতু নির্মাণের অনুরোধ জানিয়ে প্রধানমন্ত্রীর কাছে একটি চিঠি লেখে। পরে প্রধানমন্ত্রী নিজেই চিঠির জবাব দেন। প্রধানমন্ত্রী ওই চিঠির জবাবে বলেন, শীর্ষেন্দুর চিঠি পেয়ে তিনি উচ্ছ্বসিত। নৌকায় নদী পার হওয়ার ঝুঁকি নিয়ে ছেলেটির উদ্বেগের প্রশংসা করেন তিনি।
গত বছরের ৮ সেপ্টেম্বর লেখা প্রধানমন্ত্রীর চিঠিটি ২০ সেপ্টেম্বর শীর্ষেন্দুর বিদ্যালয়ে পৌঁছায়। প্রধানমন্ত্রীর কাছে লেখা চিঠিতে শীর্ষেন্দু লেখে, ‘আমি বাংলাদেশের একজন নাগরিক। আমার বাবার নাম বিশ্বজিৎ বিশ্বাস এবং মায়ের নাম শীলা রাণী সন্নামত। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের মৃত্যুবার্ষিকীতে আয়োজিত একটি অনুষ্ঠানে বঙ্গবন্ধুর শৈশবকাল নিয়ে রচনা লিখে আমি তৃতীয় স্থান অর্জন করি।’
শীর্ষেন্দু আরও লিখে, ‘আমাদের গ্রামের বাড়ি ঝালকাঠি জেলায়। আমাদের গ্রামের বাড়ি যেতে পটুয়াখালীর মির্জাগঞ্জ উপজেলার পায়রা নদী পার হয়ে যেতে হয়। ওই নদীতে প্রচণ্ড ঢেউ। কখনও নৌকা ডুবে যায়, কখনও কখনও ট্রলার ডুবে যায়। এসব দুর্ঘটনায় অনেকেই প্রাণ হারিয়েছেন। আমি আমার বাবা-মাকে হারাতে চাই না। কারণ আমি তাদের খুব ভালোবাসি। তাই আমাদের জন্য মির্জাগঞ্জের পায়রা নদীতে একটি সেতু তৈরির ব্যবস্থা করুন।’
শীর্ষেন্দু তার মা-বাবার একমাত্র সন্তান। তার বাবা পটুয়াখালী শহরের একটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে কর্মরত এবং তার মা সমাজকল্যাণ অধিদফতরে চাকরি করেন। পটুয়াখালী শহরের পুরান বাজার এলাকার একটি ভাড়া বাড়িতে থাকেন তারা।