Bangladesh

Court directs to give 1 crore as compensation to Rajiv

Court directs to give 1 crore as compensation to Rajiv

Bangladesh Live News | @banglalivenews | 08 May 2018, 08:44 am
নিজস্ব প্রতিনিধি, ঢাকা, মে ৮ : দুই বাসের রেসে, না ফেরার দেশে চলে যাওয়া কলেজছাত্র রাজীবের দুই ভাইকে এক কোটি টাকা ক্ষতিপূরণ দেয়ার নির্দেশ দিয়েছেন হাই কোর্ট।

বাস দু’টি ছিল সরকারি বিআরটিসি এবং ব্যক্তি মালিকানাধীন স্বজন পরিবহনের। তাদেরকে এই অর্থ দিতে হবে।

 

ওই এক কোটি টাকার অর্ধেক, অর্থাৎ ৫০ লাখ টাকা পরিশোধের জন্য দুই পরিবহনের মালিককে এক মাসের সময় দিয়েছে আদালত।

 

রিটকারীপক্ষের আইনজীবী জানান, রাজীবের খালা জাহানারা পারভীন এবং রাজীবের গ্রামের বাড়ি বাউফলের সাবেক চেয়ারম্যান নূর মোহাম্মদের ছেলে কাস্টমস কর্মকর্তা ওমর ফারুকের নামে মতিঝিলে সোনালী ব্যাংকের প্রধান শাখায় একটি যৌথ অ্যাকাউন্ট খোলা হবে।

 

বিআরটিসি এবং স্বজন পরিবহনের মালিককে এক মাসের মধ্যে ২৫ লাখ টাকা করে মোট ৫০ লাখ টাকা জমা দিতে হবে ওই অ্যাকাউন্টে।

 

আর টাকা জমা দেওয়ার বিষয়টি ২৫ জুনের মধ্যে আদালতকে লিখিতভাবে জানাতে হবে।

 

২৫ জুন বিষয়টি আবার আদালতে এলে তখনই বাকি ৫০ লাখ টাকার বিষয়ে নির্দেশনা দিতে পারে আদালত।

 

গত ৩ এপ্রিল রাজধানীর কারওয়ান বাজারে বিআরটিসি ও স্বজন পরিবহনের রেষারেষিতে বিআরটিসির যাত্রী রাজীবের ডান কনুইয়ের ওপর থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়।

 

তার মাথার সামনে-পেছনের হাড় ভেঙে যাওয়া ছাড়াও মস্তিষ্কের সামনের দিকে আঘাত লাগে। ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় গত ১৭ এপ্রিল রাতে সরকারি তিতুমীর কলেজের এই শিক্ষার্থীর মৃত্যু হয়।

 

ওই দুর্ঘটনা এবং রাজীবের মৃত্যু পুরো বাংলাদেশকে নাড়িয়ে দিয়ে যায়।

 

দুই বাসের চাপায় ঝুলতে থাকা রাজীবের হাতের ছবি সংবাদমাধ্যমে এলে ওই প্রতিবেদন যুক্ত করে ৪ এপ্রিল হাই কোর্টে একটি রিট আবেদন করেন সুপ্রিম কোর্টেও আইনজীবী রুহুল কুদ্দুস কাজল।

 

এ বিষয়ে শুনানি শেশে রাজীবের চিকিৎসা ব্যয় বিআরটিসি ও স্বজন পরিবহনকে বহন করতে নির্দেশ দেন আদালত। ওই রুল শুনানির আগেই রাজীবের মৃত্যু হলে রুহুল কুদ্দুস কাজল ক্ষতিপূরণের দাবি জানিয়ে আদালতে একটি সম্পূরক আবেদন করেন।

 

পটুয়াখালীর বাউফলের ছেলে রাজীব যখন তৃতীয় শ্রেণিতে, তখনই মারা যান তার মা। বাবাও চলে যান রাজীব অষ্টম শ্রেণিতে ওঠার পর।

 

ঢাকার যাত্রাবাড়ীতে খালার বাসায় থেকে, কঠোর পরিশ্রমে স্নাতক পর্যায়ে পৌঁছে গিয়েছিলেন ওই তরুণ।

 

তিতুমীর কলেজে পড়াশোনার ফাঁকে একটি কম্পিউটারের দোকানে কাজ করে আর আত্মীয়-স্বজনের সহায়তায় নিজের পাশাপাশি ছোট দুই ভাইয়ের পড়ালেখার খরচ চালাচ্ছিলেন তিনি।

 

রাজীবের দুই ভাই মেহেদী হোসেন ও আবদুল্লাহ একটি মাদরাসার সপ্তম ও ষষ্ঠ শ্রেণীর ছাত্র।

 

আদালতের নির্দেশনা অনুযায়ী ক্ষতিপূরণের বিষয়ে শুনানির জন্য খালা জাহানারা পারভীনের সঙ্গে তারাও মঙ্গলবার আদালতে উপস্থিতি ছিল। 

 

ক্যাপশান:  আদালতে খালা ও আইনজীবীর সংগে রাজীবের দুই ভাই