Bangladesh
COVID-19: Maximum area sin Dhaka turned to Red Zone
রোববার (১৪ জুন) স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় থেকে এ তথ্য জানা গেছে। আগে থেকেই বলা হচ্ছে, করোনাভাইরাসে আক্রান্তের আধিক্য বিবেচনায় রেড জোন, ইয়েলো জোন ও গ্রিন জোনে চিহ্নিত করে ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে বাস্তবায়ন হবে স্বাস্থ্যবিধি ও আইনি পদক্ষেপ।
এ বিষয়ে স্বাস্থ্যসেবা বিভাগ সূত্রে জানা যায়, কোন কোন এলাকা রেড জোন হবে তা এখনো প্রকাশ করা হয়নি। আজই তালিকা প্রকাশ হতে পারে। তিনি বলেন, সংক্রামক ব্যাধি আইনে এ সংক্রান্ত তালিকা প্রকাশের ক্ষমতা স্বাস্থ্য অধিদফতরের মহাপরিচালককে দেয়া আছে। তবে লকডাউন বাস্তবায়নের ক্ষেত্রে স্থানীয় সরকার, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়, জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়সহ অন্যান্য মন্ত্রণালয়ের সহযোগিতা প্রয়োজন হবে।
জানা গেছে, করোনা প্রতিরোধে গঠিত জাতীয় টেকনিক্যাল কমিটি ঢাকার ৪৫টি এলাকাকে অত্যন্ত ঝুঁকিপূর্ণ বা রেড জোন হিসেবে চিহ্নিত করে তা লকডাউনের সুপারিশ করেছে। এর মধ্যে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের ২৮টি এবং ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের ১৭টি এলাকা রয়েছে।
ঢাকা উত্তর সিটির গুলশান, বাড্ডা, ক্যান্টনমেন্ট, মহাখালী, তেজগাঁও, রামপুরা, আফতাবনগর, মগবাজার, এয়ারপোর্ট, বনশ্রী, রাজাবাজার, মোহাম্মদপুর, কল্যাণপুর, গুলশান, উত্তরা, মিরপুরকে রেড জোন হিসেবে ঘোষণার সুপারিশ করেছে টেকনিক্যাল কমিটি।
ঢাকা দক্ষিণ সিটিতে রেড জোনের জন্য সুপারিশকৃত এলাকার মধ্যে আছে- যাত্রাবাড়ী, ডেমরা, মুগদা, গেন্ডারিয়া, ধানমন্ডি, জিগাতলা, লালবাগ, আজিমপুর, বাসাবো, শান্তিনগর, পল্টন, কলাবাগান, রমনা, সূত্রাপুর, মালিবাগ, কোতোয়ালি, টিকাটুলি, মিটফোর্ড, শাহজাহানপুর, মতিঝিল, ওয়ারী, খিলগাঁও, পরীবাগ, কদমতলী, সিদ্ধেশ্বরী, লক্ষ্মীবাজার, এলিফ্যান্ট রোড ও সেগুনবাগিচা।
গত ৯ জুন দিনগত রাত ১২টা থেকে রাজধানীর পূর্ব রাজাবাজার এলাকাকে পরীক্ষামূলকভাবে ‘রেড জোন’ হিসাবে লকডাউন করে স্বাস্থ্যগত ও আইনি পদক্ষেপ বাস্তবায়ন করা হচ্ছে। প্রাথমিকভাবে ১৪ দিনের জন্য এই লকডাউন কার্যকর করা হবে সেখানে।