Bangladesh
Cox's Bazar cops refuse to take Shipra's complaint, send her to Ramu police station
জানা যায়, মঙ্গলবার দিবাগত রাত সাড়ে ১১টার দিকে শিপ্রা, তার আইনজীবী মাহাবুবুল আলম টিপু ও সহযোগী সাহেদুল ইসলাম সিফাতসহ কক্সবাজার সদর থানায় যান। রাত ১২টার দিকে তাঁরা থানা থেকে বের হয়ে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হন। এই সময় শিপ্রা ও সিফাত কোন কথা বলেননি। তবে শিপ্রার আইনজীবী বলেন, যেহেতু উনি (শিপ্রা) মানসিকভাবে বিপর্যস্ত, তাই এখন কথা বলবেন না। আমরা আপনাদের সাথে আবার বসব। আমরা আগে মামলাটা ফাইল করি।
সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে মাহাবুবুল আলম টিপু বলেন, কক্সবাজার সদর থানা তাদের মামলাটি নেয়নি। ওসি তাদের বলেছেন, যেহেতু শিপ্রাসহ পুরো টিমের ডিভাইস রামু থানা জব্দ করেছে তাই এই অভিযোগটা ওই থানায় দেয়াই সংগত।
এর আগে,ব্যক্তিগত ছবি ফেসবুকে পোস্টকারী পুলিশ কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলা করবেন বলে এক ভিডিও বার্তায় ঘোষণা দিয়েছিলেন শিপ্রা দেবনাথ।
নিহত মেজর (অব.) সিনহা মো. রাশেদের সফরসঙ্গী ও রাজধানীর স্ট্যামফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী শিপ্রা দেবনাথ ভিডিও বার্তায় বলেন, ‘আমি স্টামফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ে অষ্টম সেমিস্টারে অধ্যয়নরত, এবং ফ্রিল্যান্সার মিডিয়া কর্মী। আজ একটি নৃশংস ঘটনা দেশবাসীর কাছে তুলে ধরতে চাই।’
তিনি বলেন, ‘পুলিশ বাহিনী আমাদের গর্ব। অথচ ৩১ জুলাই রাতে এই বাহিনীর 'কুখ্যাত' ওসি প্রদীপ ও তার সহচর ইন্সপেক্টর লিয়াকত মেজর সিনহা মোহাম্মদ রাশেদকে ঠা-া মাথায় গুলি করে হত্যা করে।'
পুলিশের বিরুদ্ধে গুরুত্বপূর্ণ ডিভাইস নিয়ে যাওয়ার অভিযোগ করে শিপ্রা বলেন, ‘মেজর সিনহা হত্যাকাণ্ডের পর রাতে এসে আমাদের কটেজ থেকে পুলিশ আমাদের দুটি মনিটর, ল্যাপটপ, ডেস্কটপ, ক্যামেরা, লেন্স, তিনটি হার্ডড্রাইভ এবং আমাদের ফোন ডিভাইস সব নিয়ে যায়। জব্দ তালিকায় যার কোনোটির উল্লেখ নেই। আমি জানি না, এখন কীভাবে বা কার কাছে সেসব ফেরত চাইব।'
শিপ্রা দেবনাথ আরো বলেন, ‘একজন মানুষ হত্যাকে ধামাচাপা দেওয়ার জন্য আমার টুঁটি চেপে ধরে আমাকে আত্মহননের দিকে ঠেলে দিলে লাখো তরুণ-তরুণী এর প্রতিশোধ নেওয়া থেকে নিশ্চয় বিরত থাকবে না।'