Bangladesh

বাংলাদেশে বাংলা নববর্ষের অনুষ্ঠান এবারও বিকাল ৫টার মধ্যে শেষ করতে হবে

বাংলাদেশে বাংলা নববর্ষের অনুষ্ঠান এবারও বিকাল ৫টার মধ্যে শেষ করতে হবে

| | 04 Apr 2018, 06:42 am
ঢাকা ৪ এপ্রিল ২০১৮ : বাংলাদেশের বৃহত্তম সার্বজনীন উৎসব ‘বাংলা নববর্ষ’ উদযাপনে এবছরও বিধিষিধ থাকছে।

এবারও পহেলা বৈশাখে রাজধানীর রমনা বটমূল, বিশ্ববিদ্যালয়সহ বিভিন্ন এলাকায় উন্মুক্ত অনুষ্ঠানগুলো বিকাল ৫টার মধ্যে শেষ করতে বলা হয়েছে। ২০১৬ সালে পহেলা বৈশাখে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের টিএসসিতে যৌন নিপীড়নের ঘটনার অজুহাত দেখিয়ে গতবছরের ন্যয় এবারও অনুষ্ঠান কাটছাট করতে বলা হচ্ছে। মূলত: পহেলা বৈশাখের অনুষ্ঠান যত প্রলম্বিত হয়, পুলিশের দায়িত্বও তত বাড়ে। বিশেষ করে আলোর স্বল্পতা শুরু হলে তাদের নজরদারি বাড়াতে হয়। এর পিছনে অন্য যুক্তিও আছে । বাংলাদেশের মৌলবাদিরা পহেলা বৈশাখের বিরোধী। তারা একে ইসলাম বিরোধী কাজ মনে করে। প্রায় দুই দশক আগে ২০০১ সালে রমনা বটমূলে অনুষ্ঠান চলাকালে মৌলবাদিরা বোমা হামলা চালায়। তবে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর তৎপরতায় মৌলবাদিরা এখন অস্তিত্ব সংকটে।

 

বাংলা নববর্ষ বরণ উপলক্ষে মঙ্গলবার সচিবালয়ে আইন শৃঙ্খলা সংক্রান্ত এক সভা শেষে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আছাদুজ্জামান খান কামাল সাংবাদিকদের বলেন, ‘আমরা শুধু উন্মুক্ত স্থানে বিকাল ৫টার পর অনুষ্ঠান বন্ধ করতে বলছি। কারণ নিরাপত্তা সবার আগে। আমরা বলেছি বাইরে এই নববর্ষের অনুষ্ঠান করা যাবে না। তবে হলরুমে কিংবা কনভেনশন হলে, কমিউনিটি সেন্টারে, বাসার ভেতরে অনুষ্ঠান করতে কোনো বাধা নেই। ধানমন্ডির রবীন্দ্র সরোবরেও সন্ধ্যা ৭টা পর্যন্ত অনুষ্ঠান চালাতে বাধা থাকবে না।’ 
 

তবে সংস্কৃতিকর্মীরা এই সিদ্ধান্তের বিরোধিতা করছেন। তাদের বক্তব্য, পহেলা বৈশাখের মূল আকর্ষণই বৈশাখী মেলা, যা রাত পর্যান্ত গড়ায়। সংস্কৃতিকর্মীদের সঙ্গে এক হয়ে সংস্কৃতিমন্ত্রী আসাদুজ্জামান নূর বলেন, ‘বিকাল ৫টার মধ্যে অনুষ্ঠান শেষ করার সিদ্ধান্তটি গ্রহণযোগ্য নয়। আমরা সাংস্কৃতিক জাগরণের কথা বলছি। কিন্তু এ ধরনের সিদ্ধান্তের কারণে যে অপশক্তির বিরুদ্ধে আমরা লড়াই করছি তারা পরোক্ষভাবে লাভবান হচ্ছে।

ক্যাপশান:   বৈশাখে মঙ্গল শোভাযাত্রা (ফাইল ছবি)