Bangladesh
Dance club owners brought girls from Dubai to Dhaka
সম্প্রতি নারায়াণগঞ্জের তারাবো মোড়ের সামনে থেকে চার তরুণীকে দুবাই নিয়ে যাওয়ার সময় মোট ছয়জনের একটি সংঘবদ্ধ দলকে গ্রেফতার করে র্যাব। তারা হলেন- মো. অনিক হোসেন, মো. আক্তার হোসেন, মো. আফতাউল ইসলাম ওরফে পারভেজ, মো. মনির হোসেন ওরফে সোহাগ, আ. হান্নান ও মো. আকাশ।
তদন্তে র্যাব জানতে পারে, গ্রেফতার ছয়জন ভিন্ন ভিন্ন পর্যায়ে কাজ করেন। তাদের মধ্যে অনিক হোসেন ও আক্তার হোসেন বিভিন্ন মাধ্যম থেকে তরুণীদের সংগ্রহ করতেন। এসব তরুণীর পাসপোর্ট প্রস্তুতকারী দালাল আফতাউল ইসলাম। মনির হোসেন ও আবদুল হান্নান দুবাইয়ের ড্যান্স ক্লাব এবং আকাশ ট্রাভেল এজেন্সির মালিক।
একসঙ্গে জিজ্ঞাসাবাদে ওই ছয়জন জানায়, তারা প্রথমে নিম্নবিত্ত পরিবারের সুন্দরী মেয়েদের টার্গেট করেন। এক্ষেত্রে গার্মেন্টসের মেয়েদের ওপরও নজর ছিল তাদের। এছাড়া বিভিন্ন পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের স্লিম ও সুন্দরী মেয়ে যাদের বাবা-মা নেই অথবা পরিবারের সঙ্গে সুসম্পর্ক নেই- এমন তরুণীদের তারা টার্গেট করতেন। তাদের বয়স ১৫ থেকে ২৫ বছরের মধ্যে। প্রাথমিক নির্বাচনের পর তাদের টাকার প্রলোভন দেখিয়ে ড্যান্স একাডেমিতে ভর্তি হতে বলা হয়।
সেখানকার ফি অনেক কম। ড্যান্স একাডেমি থেকে মাসে একটি শো হয় ঢাকার বিভিন্ন থিয়েটারে।
তদন্তে আরও জানা গেছে, প্রাথমিক প্রস্তুতি সম্পন্নের পর ওই নারী পাচারকারী সিন্ডিকেটের এজেন্টরা তরুণীদের ছবি বিদেশের ড্যান্স বারের মালিককে পাঠান। ছবি দেখে প্রাথমিকভাবে নির্বাচিত হওয়ার পর ড্যান্স বারের মালিক অথবা তার প্রতিনিধি সরাসরি তরুণীদের নির্বাচনের জন্য ঢাকা আসেন। তাদের দেখার জন্য ঢাকার কোনো রেস্টুরেন্ট, হোটেল অথবা লং-ড্রাইভের নামে অত্যাধুনিক হাইস মাইক্রোতে সাক্ষাৎকারের ব্যবস্থা করা হয়।
নির্বাচনের ক্ষেত্রে তারা মূলত অপেক্ষাকৃত দুর্বল ও ভীত প্রকৃতির তরুণীদের টার্গেট করেন। যাতে ওই তরুণী পরবর্তীতে পুলিশ বা কারও কাছে মুখ খুলতে সাহস না দেখায়। চূড়ান্তভাবে নির্বাচিত তরুণীদের পাসপোর্ট তৈরির ব্যবস্থা করেন পাচারকারী সিন্ডিকেটের দায়িত্বপ্রাপ্ত সদস্য। ট্রাভেল এজেন্সির মালিকের মাধ্যমে নথিপত্র ম্যানেজ করে স্বল্পতম সময়ের মধ্যে তারা তরুণীদের ট্যুরিস্ট ভিসা করিয়ে দেন।
এরপর ঢাকার বিমানবন্দরে ইমিগ্রেশন অফিসারের মুখোমুখি হলে কী বলতে হবে সে বিষয়ে তাদের আলাদাভাবে ব্রিফ করা হয়। প্রতিটি মেয়ে দেশের বাইরে পাচারের জন্য তারা ১০ থেকে ১৫ লাখ টাকা করে পান।