Bangladesh
Deputy Speaker feels Agartala case convicts should be given national heritage
তিনি বলেন, এ মামলার অভিযুক্তরা বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্বে জীবন বাজি রেখে পাকিস্তান থেকে তৎকালীন পূর্ব পাকিস্তানকে আলাদা করার জন্য একটি সশস্ত্র বিপ্লবের পরিকল্পনা করেছিলেন। এদের কয়েকজনকে স¦াধীনতা পদক দেয়া হয়েছে। অবশিষ্টদের এ পদকে ভূষিত করার পাশাপাশি জাতীয় বীরের মর্যাদা দিয়ে সম্মাননা জানাতে হবে।
বুধবার রাজধানীর শাহবাগ জাতীয় জাদুঘরে কবি সুফিয়া কামাল মিলনায়াতনে একাত্তর ফাউন্ডেশন ও ঐতিহাসিক আগরতলা পরিষদের উদ্যোগে ‘আগরতলা মামলার শুনানি দিবস’ উপলক্ষে আয়োজিত আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তৃতায় ডেপুটি স্পিকার একথা বলেন।
‘শেখ মুজিবুর রহমান বাঙালী জাতিকে দিয়েছেন এক নতুন আত্ম-পরিচয়, যে পরিচয়ে বাঙালী পথ চলতে শিখেছে এ কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, বিশ্বের বুকে এক সমৃদ্ধ জাতি হিসেবে পরিচিত করতে জাতির পিতা নিয়েছিলেন অগ্রণী ভূমিকা। যে জাতি শুধু লাঙল-কাস্তে-হাতুড়ি দিয়ে জীবন সংগ্রামে লিপ্ত ছিলো সে জাতিকে শিখিয়েছেন আত্ম-মর্যাদা রক্ষায় কিভাবে অস্ত্র হাতে তুলে নিতে হয়, কিভাবে মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে স্বাধীনতর সূর্যকে ছিনিয়ে আনতে হয়।’
ডেপুটি স্পিকার বলেন, ‘জাতির পিতার জন্ম না হলে বাংলাদেশ স্বাধীন হতো না। এ মামলায় বঙ্গবন্ধু প্রধান আসামী ছিলেন বলেই গণ আন্দোলন জোরদার হয়েছিল। কারন তখন দেশ জুড়ে একটাই স্লোগান ছিলো- জেলের তালা ভাঙবো, শেখ মুজিবকে আনবো। তোমার নেতা আমার নেতা, শেখ মুজিব, শেখ মুজিব।’
সাবেক ডেপুটি স্পিকার কর্ণেল শওকত আলীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বক্তৃতা করেন, আগরতলা মামলায় অভিযুক্ত কর্ণেল শাসুল আলম, মাজেদা শওকত আলী, ৭১ ফাউন্ডেশনের সভাপতি ডা: খালেদ শওকত আলী প্রমুখ।